শুক্রবার, ৩১ জুলাই, ২০১৫

দায়ভার ~ দেবার্ঘ্য বিশ্বাস

আমার ফিরে যাওয়ার দায়ভার
না হয় আমার ই থাক,,,
তুমি না হয় ঠাই নাও
সুতানুটির বনেদিয়ানায়।।।
আমার ফিরে না আসার দায়ভার
না হয় আমার ই থাক,,,
তুমি না হয় চিঠি লিখো
আভিজাত্যের ইশারায়! 
ছোটবেলা থেকেই মনের সুপ্ত কোণে ছোট্ট একটা স্বপ্ন উঁকি দিয়ে যেতো ...আমিও একদিন সম্পাদনা করবো । বাবা সে সময়ে ছোটদের একটি পত্রিকা প্রকাশ করতেন । নাম ' আগামী '...বাবা কে দেখতাম দিন রাত ডুবে থাকতেন কাজের মধ্যে , এডিটিং , সম্পাদনার কাজে কোনরকম ত্রুটি রাখতেন না তিনি , বাবা কে দেখেই ছোট আমি র মনের গহনে কখন যে বাসা বেঁধে গিয়েছিলো এই ইচ্ছেটি ! 
সাহিত্যের প্রতি আমার এই ঐকান্তিক ভালবাসার হাত ধরেই রোদ্দুরের জন্ম । সৃষ্টির জন্মলগ্ন থেকেই ঠিক করে নিয়েছিলাম ফেসবুকের অন্য গ্রুপগুলির চেয়ে রোদ্দুরকে আমি স্বতন্ত্র মর্যাদায় চিহ্নিত করবো ...আর এই চার মাস ধরে  সে মর্যাদা রোদ্দুর বহন করে চলেছে । রোদ্দুরের এই উজ্জ্বল পথচলায় আপনাদের সকলের সহযোগিতার কথা বিশেষ ভাবে উল্লেখ্য । 
আপনাদের সকলের আন্তরিক শুভ কামনায় উজ্জ্বল হয়ে উঠুক রোদ্দুর ...এই আত্যন্তিক প্রচেষ্টা সফল হোক 

                       Because ..  I believe  magic exicts in our mind 


শুভেচ্ছান্তে , 

পিয়ালী বসু 

তোমাকে দেখছি ~ পিয়ালী বসু


তোমাকে দেখছি নজর এড়িয়ে
তোমাকে দেখছি রোজ
তোমাকে দেখছি নজর এড়িয়ে
প্রতিদিন কাক ভোর
তোমাকে দেখছি নজর এড়িয়ে
কফি চলকানো কাপ
তোমাকে দেখছি নজর এড়িয়ে
বেহিসেবী প্রতি রাত
তোমাকে দেখছি নজর এড়িয়ে
তোমাকে দেখছি রোজ
তোমাকে দেখছি এলোকেশী হয়ে
তোমাতে মরছি রোজ । 

রঙ~ পিয়ালী বসু


মন খারাপের কোন রঙ হয়না, ছেড়ে আসা সম্পর্কেরও নয়
ট্রেসিং পেপারের মতই তারা বড় স্বচ্ছ
অনেকদিনের ইচ্ছে ছিল
তোর সঙ্গে একসাথে বসে
দার্জিলিং টি খাবো
সেসব নাহয়
আজ থেকে লিখব ধুসর সাদা কালো রঙে !

খেয়াল ~রঘুনাথ মণ্ডল


শরীরের গন্ধ পাবো না জানি ভীনদেশী মেয়ের
কিন্তু একটি কবিতা পারবে শরীরের প্রতি অন্গের ছোঁয়া নিতে
দুরে থেকে ছোঁব
কলম দিয়ে
সুখে ভাসবো
সাথে প্রসব যন্ত্রনা ভাগ করে নেব !

মন ~ স্বাতী বসু পাল


পালক গুলো খসে পড়লো একটু একটু করে
কেউ জানলো না , কেউ বুঝলো না
শুধু দক্ষিণের জানলাজুড়ে
কিছু চাঁদের আলো নিমেষে পথ হারালো

অবন্তিকা ~অনিরুদ্ধ দাস


অবন্তিকা---/
তোর ঠোঁটের কালো তিলেই/
আমার---- ঘর -গৃহস্থালি ।

Returning Home Late at Night ~ Swastik Roy


I was drenched as the street, and
The yellow light kept shining –
Upon both of us.
It’s raining only under the lights. Beyond
This rain – there is the darkness.
Where
May be I can dry up my bones for a while.
Or repose – with a drink or two – or may be more –
Under the rain – till it is morning again.

PRICE ~ Durba Mitra


Searing pain..
Upto
The Uterus.
Daily
Fornication.
And
You
Call it
MAKING Love?
Nothing
But
The Price
To pay
For
A security.

অবয়ব ~ শ্বেতা ব্যানার্জী


বিন্দু দিয়ে ছুঁতে চাওয়া
ত্রিভুজের মুষ্টিবদ্ধ বাহুর স্পর্শে
এক পূর্ণতার জীবন
পেতে সাধ হয়
ভালোবাসার অবয়ব!!!

বর্ষাবরণ(-২)~ সায়ক ঘোষ


টেবিলে জমা পুরনো চিঠি ভিড় জমায়,
শহর জুড়ে নিম্নচাপ বৃষ্টি নামায়।
কিছু চিঠি আদরমাখা, কিছু ঝগড়ুটে;
বৃষ্টি নামে ঝমঝমিয়ে শহুরে যানজটে।
ইতস্তত বইয়ের ফাঁকে চ্যাপ্টা গোলাপ;
তানপুরাতে পাশের বাড়ির, বৃষ্টি আলাপ।
এই শহরের বৃষ্টি তোমার বড্ড চেনা!
বৃষ্টি দিনেই লজ্জা চোখে চুমোয় কেনা।
এ বৃষ্টিও ফুরিয়ে যাবে অন্য মেঘে,
খেলনাবাটি সাঙ্গ হবে আসছে মাঘে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাস আনুমানিক-
নাটক শেষে সব চরিত্র কাল্পনিক।

পুনশ্চঃ চিঠির শেষে লেখা আছে “হে বন্ধু বিদায়”।

নষ্ট বিস্কুট ~ সুধাংশু চক্রবর্ত্তী


মাসখানেক ধরে আত্মীয়দের বাড়ি বাড়ি ঘুরে কাটিয়ে বাড়িতে ফিরেছি। বাড়িতে এসে হাতমুখ ধুয়ে আয়েস করে বসলাম চা-বিস্কুট নিয়ে। তখনই নজরে এলো বিস্কুটের কৌটোর মুখটা আলগা করে লাগিয়ে রেখে গেছিলাম। একারণেই বিস্কুটগুলো খাওয়ার অযোগ্য হয়ে গেছে নেতিয়ে গিয়ে এবং ছত্রাকের হাতে পড়ে। ভাবলাম কাকপক্ষীদের খাইয়ে দেবো একটা একটা করে। সেইমতো কৌটোটা নিয়ে ছাদে যেতেই হাতের কাছে পেয়ে গেলাম একটা কাক। একটা বিস্কুট ছুঁড়ে দিতেই কাকটা ছুটে এসে মনানন্দে বিস্কুটের অনেকটাই খেয়ে নিলো গপ গপ করে। তারপর কিছুটা মুখে পুড়ে নিয়ে উড়ে গেল বাসার দিকে। নিজের শাবকদের খাওয়াবে বলে।
পরদিন সকালে বিস্কুট নিয়ে ছাদে যেতেই গোটা চারেক কাক উড়ে এলো। গোটা তিনেক বিস্কুট ওদের খেতে দিলাম। কাকগুলো বিস্কুটের দিকে এগিয়ে যেতেই একটা কাক মুখে ‘কঁ-ও-কঁ-কঁ’ শব্দ করে কিছু একটা বললো বাকী কাকদের। সেই শুনে কাকগুলো বিস্কুটের কাছে এসে প্রথমে খুব মন দিয়ে দেখলো। তারপর সামান্য ঠুকরে খেয়েই উড়ে চলে গেল খাওয়া অসমাপ্ত রেখে। দেখে অবাকই হলাম।
পরদিন সকালে যথারীতি ছাদে গেলাম বিস্কুটের কৌটো হাতে। ছাদে যেতেই এক ঝাঁক কাক উড়ে এসে আমার মাথার ওপর চক্কর দিতে দিতে বেদম ডাকতে লাগলো কর্কশ স্বরে। দু-একটা কাক ঠোকরও মারার চেষ্টা করলো আমাকে। ওদের আক্রমণের হাত থেকে নিজেকে বাঁচাতে চেয়ে এক দৌড়ে চলে এলাম নিচে। কিন্তু কাকগুলোর বাড়ির চারপাশে উড়ে ডেকে চলা থামলো না তা’বলে। হাবভাব দেখে মনে হলো যেন আমাকেই খুঁজছে! ওরা কি তাহলে বুঝতে পেরেছে নষ্ট বিস্কুটগুলো নিজে খেতে না পেরে ওদের খাওয়াচ্ছিলাম!

ডিয়ার ~ রিক্তা চক্রবর্তী

ডিয়ার ,
চারপাশে এখন বর্ষণ মুখর শহর বন্দনা
বিষণ্ণ সকাল আর বিকেল পেরিয়ে আসা
প্রতিটি মুখে এখন আনন্দ বন্দনা
এরা কি ভুলে গেছে ?
এক চোখ স্বপ্ন নিয়ে বিদেশে আসা সেই একলা মেয়েটির কথা ?
এরা কি ভুলে গেছে ?
প্রতিটি একলা লড়াইয়ে বিজয়িনী সেই একলা মেয়েটির কথা ?
ডিয়ার ,
আমরা কিন্তু ভুলিনি তোমায়
ভুলিনি তোমার লড়াই
আজও প্রতি রাতের বির্মূত স্তব্ধতা ভেঙে
তোমারি বন্দনা গান গাই ।

ফতোয়া –( তিন ) ~ লুতফুল হোসেন


চুল নিয়ে চোখ নিয়ে পড়েছো যে কবি !
খুব সাধু সাধু সেজে !
কোন নারীটা থাকলো বাকী আসতে
বলো কবিতায় নেমে !
নারীকূল নিয়ে এই যে এতো খেলো প্রেম !
কে দিয়েছে তোমায় বলো নারীদের নিয়ে এমন সব
অন্তরঙ্গ কল্প-কথার অবাধ অধিকার !
মৃত্যুদন্ড তোমার জন্য আজ জেনো হেম ।

দোসর খুঁজেছে~ নীল মলয়

তোমার ঠোঁট ব্যৰ্থ হলো
আশ্ৰয় খুঁজে নিতে,
তোমার শরীর চাইলো
ভরন-পোষণের দায়িত্ব;
দেওয়াল জুরে দাপা-দাপি
মিছে স্বপ্নের প্রশ্রয়.
শীত রংএর শাড়িটা
তোমায় মানায়নি এতটুকু
অপছন্দের পছন্দ
হয়তো এমনই হয়.
তবু দোসর খুঁজেছে তোমায়
যেমন করে ব্যৰ্থ প্রেমিক
স্মৃতি রোমন্থনে বাঁচে;
তোমার কপাল গোধূলির প্রত্যয়ে ! 

অচেনা শহরের পথে হারাবার রথে ~ লুতফুল হোসেন


প্রাগ থেকে পায়ে হেঁটে যেতে চাই
ভিয়েনা কিংবা ভেনিস,
নিকারাগুয়ার মেঠো পথ
থেকে উগান্ডা-কাম্পালা,
সেন্টপিটার্সবার্গ শহর
ঘুরে রিগা অথবা মিনস্ক !
গন্ডোলায় চড়বার শখ
টানেনি আমাকে তেমন ।
শুধু এক অচেনা শহর
ঘুরে, পথে পথে, খুব শখ ছিলো,
হারাবো দিব্যি আমাকে ।
লস এঞ্জেলেস কিংবা
লাস ভেগাসের নিয়ন রাত,
ঘুমকাতুরে বিরহে ফেলে
ডেনভার কলোরাডো ওহাইও,
দিনের ল্যান্ডস্কেপ ফ্রেমে আঁটা
গ্রেহাউন্ড জানালার চোখে,
রাতের তারার আলোক
নির্দেশ মাখা লাল মাটি লেপা
পথের পাঁজরে, ক্লান্ত
ফেননিভ বিয়ারের সখ্যে
মৃদু কম্পণাংকে আঁকা
পদক্ষেপে অবিরাম হেঁটে –
শখ ছিলো খুব, কোনো এক দিন,
অচেনা শহরের কোনো পথে
নিরুদ্দেশ হবার মতো
সূত্রবিহীন হারিয়ে
যাবো, পুরোনো পত্রিকার
পাতায় ছাপা কোনো তারিখ
বিলীন বাতিল চাকরীর
বিজ্ঞাপনের মতোন ।
খুব যতনে গোনা পুরোনো
কিছু অক্ষর ছাড়া, যার কোনো
মানে নেই আজ একটুও ! ঠিক
সেই রকম, হারিয়ে যাবো ...
নিজেকেই নিজে খুঁজে না নিলে
যমেও পাবে না খুঁজে টুজে ।
সিডনী সাঙহাই হ্যানয়
কিংবা টাইম স্কোয়ার,
ম্যানহাটন বা নরফল্ক !
চেরাপুঞ্জি মাসাইমারা
দার্জিলিং থেকে নীলগিরি,
কোলকাতা কলম্বো বালি
চেন্নাই ক্যান্ডি গৌহাটি !
নির্ভেজাল ইচ্ছে ছিলো,
অচেনা শহরের পথ ঘুরে,
বেমালুম যাবো খুব হারিয়ে ।
চেনা শহরের পথগুলো সব
এতো বেশী চেনা, এতো বেশী বশ !
বেহেড মাতাল হলেও
করতলের মতোন, কেনা,
যেখানে কখনো কিছুতেই
চাইলেও হারানো যাবেনা ।
আমার এখন তাই খুব
অচেনা বিভূঁই শহরের
পথ চাই মহা দুর্বোধ্য
নারীর মনের মতোন,
সহস্র বছরেও যাকে
এক রত্তি হয়ে ওঠে না
চেনা । রহস্যময়ী যে,
চিরকাল অজানা অধরা !
নারীতে আমাকে টানেনা
বুঝিবা আদৌ একটুও ।
একাগ্র ভীষণ চাই –
কোনো অচেনা শহরের বুকে,
জনশূণ্য ফুটপাথে কাত
হয়ে, বশ্য বিয়ারের মুখে
চুমু এঁকে, তার বিশ্বস্ত
শরীর বুকে চেপে, ভোরের
আলোর অপেক্ষায় বোঁজা,
মেঘাচ্ছন্ন দৃষ্টি
মাখা চোখে, নিদ্রাদেবীর
দিকে উঁচু বৃদ্ধাংগুলি রেখে,
নিজের সংগে মগ্ন
গভীর অন্তরংগ
আলাপনে, রাতের তারার
উদারতার আশকারাতে,
প্লাথ বা খৈয়ামের অবয়ব
ছায়াময় নক্ষত্রের সাথে,
অর্থহীন বাতচিতে, রাত
নেশাতুর সকাল হলেই,
পথের ঠিকানা খোঁজার
তাগাদায়, ফের পা বাড়াবো
অপেক্ষাতুর অজানায় !

প্রেম (৩) ~ নূপুরকান্তি দাস


স্পর্শের মহাদেশ না পেলাম
ধুলো তো পেয়েছি
তটরেখা বনাঞ্চল না পেলাম
করতল ছুঁয়েছি!

প্রলাপ- (১) ~ অনিরুদ্ধ দাস


তোমার পাশে দাঁড়িয়ে
গোলাপের লাজানো মুখ
আজও ---
জাতকের মতো জাগে! 

বিস্ময় ~ ফ্লোরা সরকার

ছেলেটা এখনও আকাশ দেখে অবাক হয়
তার বিস্ময় দেখে আমি বিস্মিত হই
যেদিন থেকে মানুষ কোনোকিছু দেখে বিস্মিত হয়না
সেদিন থেকে তার কিছুই থাকেনা
সবকিছু সে হারিয়ে ফেলে
এমনকি
নিজেকেও। 

অনুসরণকারী ( ২) ~ উদত্ত সেনগুপ্ত


এই শুঁকছি হাওয়া
শুঁকছি মাটিতে
পরলাম ভিড়ের মুখ
কোথায় পালাবি
জলের মুখোশ পরি
মেঘের মুখোশ
কুয়াশায় ভর করে ভাসি
আমাকে এড়াবি কীকরে
লুকোতে পারবি পাউড়ি
কানে মুখ ওড়ানো চাউনি
কী লুকোবি পর্দা টেনে দিয়ে
তোর পিছনেই থাকব
ছায়াও আমায় ছেড়েছে
আছি এই ওই দেখ ভোঁ ভাঁ

নির্ভীক ~ মৃণাল কোটাল


নির্ভীক সময় দাঁড়িয়ে
উত্তরের অপেক্ষায়
কিছু মরুপথ রেখে যায়
ধ্বসে যাওয়া জীবনের জীবাশ্ম

মরণ সাধার ধ্যানে ~ লুতফুল হোসেন


দমকা হাওয়া হঠাৎ এসেই
জানালা পেরিয়ে কাগজ উড়িয়ে,
করলো যতনে টেবিলে জমানো
কথার অযুত বাহানা গুলোকে সাফ্ ।
বেহায়া আলোক মুখটা লুকিয়ে
সন্ ধি ভাঙার সুযোগ মিলতে
সহসা সকল আঁধার উড়িয়ে
পুরোটা ঘরেই জাগিয়ে তুললো রাত ।
আষাঢ় শ্রাবণ মাসেরা কিযেনো
কুটিল গোপন ফন্ দি ফিকিরে
মরিয়া মেতেছে, যেনোবা কবির
ভাবনা তাড়ানো মহিমা মাখানো কাজ ।
জানেনা আদপে কাগজে আঁকানো
আবেগ মাখানো কথার দ্যোতনা
ঘুণের কামড়ে কবিকে খেয়েছে
পোকার মতোন সারাটা জীবন ভর ।
কিছুটা উদাসী মাতাল বাতাস
খেয়ালী জলের কতক ফোঁটায়
কিয়দ হেঁয়ালী ছড়িয়ে ভেবেছে –
তাতেই হারাবে তাবৎ ভাবনা আজ !
আকাশ কতোটা গভীর জেনেছে
মনের খবর ! চাঁদের নরোম
রূপালী আলোক যতোটা ছুঁয়েছে
নাজুক ভাবুক মনের গভীর তান !
ততোটা যতনে নারীও টানেনি,
বুকের শেকড়ে কিছুটা আনেনি,
খেয়ালী বীণায় সুরের মাতমে,
ভুলেও খানিক বাজাতে পারেনি গান ।
অবাক কথার কবিতা গড়ার
আপন আকুতি প্রাণের গহীনে
হৃদয় লোবাণে যাপনে তাহারে
নিয়ত পুড়িয়ে পুরোটা করেছে ছাই ।
যতোই দাপুটে ঝড়ের শরীরে
আঘাতে হন্ তা চালাক চাবুক,
গোপন গভীরে লোহিত কণিকা
কথাকে আগলে জিইয়ে রেখেছে প্রাণে ।
পংক্তি বোনার স্বগত স্বভাব
বহতা নদীর জলের মতোন
কুশলী কথার মোড়োকে মোড়ানো
যাতনা বিলাসী কবিকে রেখেছে
সতত ক্লিশের গভীরে দাঁড়িয়ে
প্রাণের আবেগে জীবন মাতানো
হাসির দমকে মরণ সাধার ধ্যানে ।

কদম ফুল~ মৃণাল কোটাল

সেই যে কবে হারিয়ে যেতে ছেয়েছি অচেনা রাস্তায়,
ভীষন বৃষ্টিতে।
মুখ মনে পড়ে ,এক গুচ্ছ, কদমফুল.....।
রোদ হলেএইখানে,খেলা করে জোড়া শালিক
ভরা সন্ধ্যায় ফিরে যায়।
টিনের চালা হতে বৃষ্টি পড়া দেখতে দেখতে ,
হাত খানা ধরে কেও এক দিন বলেছিল, “এস বৃষ্টিতে ভিজি” ।
তুমিও ছেয়েছিলে একগুচ্ছ কদম ফুল,
গত বর্ষায় যতবার বলেছিলে ,তার থেকেও বেশিবার ভুলে গেছি ।
সেই যে কবে হারিয়ে যেতে চেয়েছিলাম ,
অচেনা রাস্তায় ভীষণ বৃষ্টিতে ...............,
বেমালুম সব ভুলে গেছি!

তোমায় খোঁজে না ~ সুধাংশু চক্রবর্ত্তী


হে দীনদয়াল, এ জগতের কিছুই কি দেখো না
মানুষজন আর তেমন করে তোমায় খোঁজে না ।
খুঁজতো যদি খুঁজতো তবে মনের ভেতরেই
সকাল বিকেল মাইক বেয়ে ঝরে পড়তে না

মেঘ মল্লার ~ জয়তী ভট্টাচার্য অধিকারী

তোরই সাথে এক বিকেলে ভিজব বলে
নতুন করে শিখছি আবার মেঘ মল্লার
রং-বেরঙের বর্ষাতি আর ছাতার ভিড়ে
দূরপাল্লার বাস গুমটির অবুঝ দেওয়াল।
বৃষ্টিভেজা জিন্স-টিশার্টে ঝুঁকিয়ে মাথা
এনক্যুয়ারি কাউন্টারে ঝাঁকড়া চুলে,
প্রতিবাদের ঝড় তুলে দুই ক্লান্ত পায়ে
দাঁড়িয়ে ছিলি, দেখলি হঠাৎ দু’চোখ তুলে।
ঘুরে গেছে বছর, সেটাই কালের নিয়ম
ভুলে গেছিস অনেক কিছুই...কমপ্রোমাইজ?
আমার রাতে আজও শুধুই জোনাক জ্বলে
একলা রাতের নির্জনতায় স্যাক্রিফাইস।
যোগাযোগের রাস্তা ছিল হাজার রকম
ঘাটতি ছিল মনের পথে পা বাড়ানোয়
হয়ত আবার সূর্য ডুবে আসবে যখন
হঠাৎ হবি মুখোমুখি শেষ ঠিকানায়।

The birth of a hope ~ Jayati Bhattacharya Adhikari


A sudden breeze touched my hairs,
As I was enjoying my morning prayers,
I opened my eyes and saw the beauty of the nature
Which is dream project of any expert painter.
The rays of the rising sun enlightened the world,
My soul was touched
With the chirping of the birds.
Another day begins,
Another hope grows,
And my love remains same,
Dedicated to someone’s name.
The more ignored, the more it glows.

বিকালের কাব্য-(১) ~ অনিরুদ্ধ দাস


এক মুঠো আকাশ পাঠালাম
তোমার মাথার উপরে
শিশির ঝরা বিকালে
জোলের মাঠে দাঁড়িয়ে,
রাণিভবানীর বুকে---সরাল ঝাঁকের
কোলাহল ---বুকে নিয়ে।

নবাণ্ণের ধানের ধানমুড়াই
খুঁজে চলা তিতিরের মতো,
পশ্চিম আকাশে আবিরের
ভিয়েন-চুম্বন ---ঠোঁটে,
টিয়া ফেরে নীড়ের আশা নিয়ে
বুকে---পাঁকুড় গাছের স্তব্ধতা
বুড়োদিঘির পাঁড়ে ---থমকে আছে
গোখরোর খোলসে ;
ফুড়ুৎ ফাড়ুৎ শব্দে
চড়াই-এর হানাদারির কোলাজ ---
কাব্যি করে বুকে।
মাছরাঙার কান্না--- দিগন্তে হয় ধূসর
দীঘ`শ্বাস বুকে নিয়ে,
গরগরা বিষাদ নিয়ে
পায়ের কাছে করে লুটোপুটি;
চালতাফুলে ভ্রমরের হানাদারি
মোঁচড় টানে বুকে।

বুধবার, ৮ জুলাই, ২০১৫

অসময় ~ রঘুনাথ মণ্ডল


রোদ বৃস্টি মাথায় নিয়ে প্রেম করেছি
সরীসৃপের মতো হেঁটেছি
বর্ষা এসেছে বকুলের শরীরে 
লুকিয়ে দেখা অশরীর রোমহর্ষক
সম্পর্ক রোপণ করে হারিয়ে যাওয়া লতা জড়িয়ে ধরেছে
অস্তাচলে কেও কথাও নেই
শুধু ছায়া

সিনেমাস্কোপ~ পিয়ালী বসু


প্রথমেই বলে রাখি , এটা কোন গদ্য নয় , এমনকি কবিতাও নয় , একটা ঝাপসা মাইনাস দুই চশমার মধ্যে দিয়ে একটু কষ্ট করে দেখুন , পৌষ মেলা ! বোলপুর ! সালটা আপনি কল্পনা করে নিন, তবে অবশ্যই সেটা ৯০ এর দশক , কালো দা র দোকানে দারুণ ভিড় ! ভিড় ঠেলে এগিয়ে আসছে বাসন্তী আর কমলার কম্বিনেশন শাড়িতে একটি ২২, ২৩ এর মেয়ে ! কানে ম্যাচিং টেরাকোটার দুল ! কাউকে খুঁজছে বোধহয় , কপালে হাল্কা তিনটে ভাঁজ জমাট বাঁধছে, মোবাইল এর চল নেই তখন , কাজেই অপেক্ষা করা ছাড়া মেয়েটির কাছে অন্য কোন রাস্তা খোলা নেই , বাইরে বেশ ঠাণ্ডা ! চশমার কাচটা আরও ঝাপসা হচ্ছে , তবুও চোখ রাখুন , একটি মাঝ বয়েসী লোক কে হেঁটে আসতে দেখা যাচ্ছে , বুকের কাছে জাপটে ধরা রঙ চটা একটা মান্ধাতা আমলের ব্যাগ ! কাঁচা পাকা চুলে এখনো বেশ ঝরঝরে !
আমরা ফিরে যাচ্ছি ২৫টা বসন্ত আগে ! সেইবারের পৌষ মেলায় , বিশ্বভারতীর অরণির সাথে যেবার সঙ্গীত ভবনের এলা র প্রথম দেখা ! এর পরের দৃশ্য গুলো ভেবে নিন আপনি , আসলে সেগুলি বেশ ক্লিশে , বোলপুরের ব্যাক ড্রপে একটি প্রেম কাহিনীর বেড়ে ওঠায় যেসব দৃশ্য দেখা যায় আর কি ,
কালো দা র দোকানের কাছে এসেই চোখাচুখি মাঝ বয়েসী আর ২২ , ২৩ এর , দূর থেকে শোনা যাচ্ছে না তাদের কথা গুলি , শুধু তাদের বডি ল্যাঙ্গুয়েজ জানান দিচ্ছে তাদের মধ্যেকার কথা ফুরিয়ে এসেছে ,
বলে রাখি, এটা কোন গদ্য নয় , এমনকি কবিতাও নয়, একটা ঝাপসা মাইনাস দুই চশমার মধ্যে দিয়ে দেখা এই দৃশ্য টি আসলে অরণির ! মাইনাস দুই চশমার মধ্যে দিয়ে দেখা তার এলা র বয়েস এই ২৫ বছরেও যে বাড়ে নি !
আর এই দৃশ্য টা আপাতত আমার চোখে ফ্রিজ শটে !!

টিফিন বাক্স ~ মৌমিতা ভট্টাচার্য


ছোট্ট তনিমা নতুন স্কুলে ভর্তি হয়েছে।মামুয়া একটা কি সুন্দর নীলরঙের টিফিন বাক্স কিনে দিয়েছে আর মা রোজ কতরকমের টিফিন বানিয়ে দেয় ।কোনোদিন জোকারের মুখ দেওয়া স্যান্ডউইচ কোনোদিন বা ফুলের মত।
টিফিনের ঘন্টা বাজলেই সে আগে দৌড়ে খেলতে চলে যায়।একটু খেলে এসে সে আরাম করে টিফিন খাবে।
আজও সে তাই করল।কিন্তু একী
!তার টিফিন বাক্স খালি কি করে হলো?আজ যে মা তার বড় প্রিয়
ডিম স্যান্ডউইচ দিয়েছিল! গেল কই! এত ক্ষিদে পেয়েছে!
সেদিনের পর থেকে দুএকদিন পরপর একই ঘটনা ঘটতে থাকে।
তনিমা বুঝতেই পারেনা কে তার খাবার খেয়ে নেয়।সে বড় ভালো মেয়ে ।কখনো কারোর নামে ম্যামের কাছে নালিশ করে না,তবে পাসে বসা নতুন মোটু ছেলেটার দিকে মাঝে মাঝে সন্দেহের দৃষ্টিতে তাকায়।
সময় গড়িয়ে চলে তার আপন গতি তে।
তনিমা স্কুল কলেজ আর ইউনিভার্সিটির গন্ডি ছাড়িয়ে আজ বিয়ের পিড়িঁতে।
আজ তার ফুলশয্যা।
রজত ঘরে ঢুকলে আড় চোখে তাকে দেখে তনিমা।মা বাবার পছন্দ করা ছিপছিপে লম্বা ফর্সা রজতশুভ্র মিএকে তারও বেশ পছন্দ।
রজতের পুরো পরিবার বিদেশে থাকার দরুণ তাদের মধ্যে আলাপচারিতার বিশেষ সুযোগ
হয়নি।বলতে গেলে দুজনেই দুজনের কাছে অধরা ।তাই নিয়েই তনিমার বুকে তোলপাড় চলছে।কেমন হবে রজত স্বামী হিসেবে!এক চাপা অস্বস্তি চলে তার মনে।
পাশে এসে বসে রজত।
তনিমার হাতে হাত রাখতেই সমস্ত শরীরে লাগে রোমাঞ্চ।
বউয়ের আঙুলে হীরের আঙটি পরিয়ে দিয়ে সে বলে তনি আজ আমরা সারারাত গল্প করব আর একে অপরকে জানবো।
বাকীর জন্যে পড়ে থাকলো সারাজীবন।
সঙ্গে সঙ্গে তনিমার সমস্ত অস্বস্তি উধাও।
নানা একথা সেকথার পর এসে পড়ে ছোটবেলাকার কথা এবং স্কুলজীবনের কথাও।
খুব উৎসাহ নিয়ে তনিমা তার টিফিন বাক্সের গল্প বলতে বলতে আনমনা হয়ে পড়ে ।কথার মধ্যে পাশে বসা মোটু ছেলেটির প্রতি সন্দেহের কথাও বলতে ভোলে না সে ।আজও সে ওই রহস্যের কিনারা করতে পারেনি।
হঠাৎ হাসির শব্দে তার
চমক ফিরে আসে।
অবাক হয়ে দেখে রজত পেট চেপে হোহো করে হাসছে।
তনি তোমার টিফিন বাক্সর রঙ কি নীল ছিল?
আর স্কুলের নাম কি সাউথ পয়েন্ট?
তনিমা হতভম্ব।
দুজনে দেখা হলো
মধুযামিনী রে।

নিছক গল্প নাকি ইতিহাস ~ অরূপজ্যোতি ভট্টাচার্য


কৃষ্ণনগর থেকে বহরমপুরের দিকে প্রায় 20 Km গেলে বেলপুকুর বটতলা বলে একটা বাস স্টপ আসে। সেখান থেকে 8 km ভেতরে গেলে একটা ভাঙ্গা মন্দির আছে। সেটা নাকি চৈতন্যদেবের মামার বাড়ি। কিছুদিন আগে বাংলার রূপ দেখতে আমার বেলপুকুর যাওয়ার সৌভাগ্য হয়েছিল। সেই সুত্রে দেখে এলাম চৈতন্যদেবের মাতুল ভিটে। গ্রামের রাস্তার সরু পথ ধরে একটা খালের ধার দিয়ে হাটতে হাটতে গন্ধবহের মিষ্টি সুরে মন ভরে যাচ্ছিল। যদিও গরমের দাবদাহ তখনও ঝলসে দিচ্ছে গাছপাল। তবে বাঁশ গাছের ছায়া আমায় আড়াল করে রাখছিল সেই রোদের তেজ থেকে। চমকে উঠলাম এক স্থানীয় লোকের কথায়। সেই খাল ই নাকি আদি গঙ্গা। বর্তমান গঙ্গার তটভূমি কৃষ্ণনগর আর নবদ্বীপ কে দুই পাড়ে রেখে বয়ে চলেছে। আর সেই খাল টা আদি গঙ্গা হলে নবদ্বীপ আর শান্তিপুর হয় গঙ্গার একই দিকে। স্থানীয় লোকের কথায় এই তথ্যের নাকি লিখিত প্রমান ও আছে। যদিও আমার স্বল্প লেখাপড়ায় সেরকম কোনো তথ্য আমি বইতে পড়িনি।
বাড়ি ফিরতে ফিরতে হঠাত মনে পরে গেল চৈতন্যদেবের সেই গণ আন্দোলন। চৈতন্য চরিতামৃত যেটুকু মনে পরে তাতে ঘটনাটা এইরকম। মুসলিম শাসক প্রবল দাপটে ছিনিয়ে নিচ্ছে গরীব প্রজাদের ধন মান আর সাথে আরো অনেক কিছুই। চৈতন্যদেব পরামর্শ দিলেন হরিনাম করো। ঢোল করতাল বাজিয়ে নগর পরিভ্রমণ। তরবারির আঘাতের প্রতিবাদ কৃষ্ণনাম এ। চৈতন্যদেবের নির্দেশে একদল কিত্তনিয়া শান্তিপুর থেকে, আর এক দল নবদ্বীপ থেকে, আর একদল কৃষ্ণনগর থেকে শুরু করলো নগর পরিভ্রমন। গন্তব্যস্থল গাজী সাহেবের প্রাসাদ। না কোনো রক্তপাত নয়। কোনো প্রহার নয়। শুধু কৃষ্ণনাম। ভয় পেয়ে গেলেন গাজিসাহেব। বসলেন আলোচনায়। ভারতের ইতিহাসে সেটাই বোধহয় প্রথম অসহযোগ আন্দোলন। মহাত্মা গান্ধীর প্রায় চারশ বছর আগে।
সেই সাথে মিলে গেল আর একটা অঙ্কের হিসেব। নবদ্বীপ আর শান্তিপুর তাহলে একসময় একই দিকে ছিল। তাহলে সেই খাল ই ছিল আদি গঙ্গা। এতবড় একটা ইতিহাস এর জীবন্ত নিদর্শন দেখে মনে পড়ে গেল -...... দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া, ঘর হতে শুধু দুই পা ফেলিয়া।

পরকীয়া-২ অনিরুদ্ধ দাস


আস্তে আস্তে দখল করে
গড়ছো, উপনিবেশ ---
মনজুড়ে বন্যা বন্যা আবেশ---
শুধু প্লাবনের হানাদারি
সপ্তপদীর নিভু নিভু সূষ`,
পশ্চিম দিগন্তে বিলীয়মান
ঘুমঘুম মাদকে ---সব ভেসে যাচ্ছে
মৃগনাভি প্রেমের ---ধূপধূপ নেশায়
ফুলহার---সুদূর তেপান্তরে ;
আয়ান ঘোষের মত নিশ্চল যাপন
অভ্যাসে ---ধ্রুবতারার মত জ্বলজ্বল,
দহনে মগ্ন আত্নসুখ---
মগ্ন এক সাধনায় বিলীন
সৌরঘড়ির মত শুধু
উল্টানোর অপেক্ষায়...
মরুহরিণের মত ছুটে যাওয়া
চোখে, জোৎস্নার নেশানেশা,
বন্ধ্যা জমির দাদনের মত জীবন
শুধু কলম্বাসিক অভিষানের
নেশায় ---হেলেন হরণের
ঝুঁকি নিয়ে ---এ অভিসার;
শুধু এইটুকু স্থিতধী নিয়ে ---
মোমের মত জ্বলি ---অনুক্ষণ...
দীপাবলির রাত হব বলে । 

প্রেমিকাকে ~ সুকান্ত চক্রবর্তী


এই দেখ,নিয়েছি সন্ন্যাস,
বিস্তীর্ণ মাঠে
দাড়িয়ে একা ।
কেন,মনে নেই ?
বলেছিলে,
প্রেমপ্রীতি সব ন্যাকা ।
কি ভাবছো আর?
ভেবোনা কিছুই,
না ভাবলেই সব ঠিক ।
দিবস গড়ায়,
রাত্রি ঝিমায়,
ঘড়ি সেই টিকটিক ।
সবুজ শান্তি
পেয়েছি আমি,
এবার সব ই শীতল ।
গোঁড়ায় দিয়েছি
শিকর গাঁথুনি,
সব ছেড়ে, নিশ্চল ।
বসন্তে দেখো,
আমার ছায়ায়
বুদ্ধ আছে বসে ।
চাওয়া পাওয়ার
বাকল আমার,
পড়ছে সব ই খসে !

সমর্পিতব্য মুখোশ ও নগ্নতার এলিজি ~ লুতফুল হোসেন



একে একে খুলে ফেলো সমস্ত মুখোশগুলো !
উন্মোচিত হোক তবে পুরোটাই আজ
নিখাদ উন্মিলনী মগ্নতায়,
সহজ পূর্ণিমা সমান নগ্নতায় ।
কার্পাস বা সিনথেটিকের কোনো
প্রহসন বিহীন । যেনো বুঝি সূতাও
সেখানে না তোলে আড়াল দেয়াল
কোনো কিয়দ আচ্ছাদনে, আমার
নতুবা তোমার, কোনোই খেয়াল
গোপন কথার হিস্যা বা ধরো
ভাবনার কারুকাজে, না তা ও না ।
এই ধরো সূর্য বা চাঁদটার মতো
সব সুন্দর আর অসুন্দরের
নিরেট খোলামেলা উপস্থাপনের ঠিক
যতটুকু কাছাকাছি যাওয়া যায় তার
সমান নিপাট নগ্নতায় হোক
উন্মোচিত আমাদের শরীর মন
স্বপ্ন ও দুঃস্বপ্নেরা, শঠতা আর
মেকী খাতিরের ভন্ডামিরা, ভান ও
ভনিতার হাওয়াই মিঠাই, প্রহসন
ফ্লার্ট প্রগলভতাময় বেলুনেরা ।
কদাকার শরীরের ভাঁজগুলো অতোটা
নয় দৃষ্টিকটু - তোমার মনে
মিথ্যের পোর্ট্রেটে আঁকা ভাবনাগুলো
ঠিক যতোটা । নির্ভয়ে তাই দ্বিধাহীন
খুলে ফেলো সকল পোষাক তোমার
যেমন আমিও খুলছি আমার ।
একটু সাহস করো । পেরে যাবে খুব
অনায়াসে দেখো, শুধু চাইলেই ভালোবেসে ।
ওখানেও খাদ ছিলো কিছু ! তবে থাক । তুমি
বাদ দাও । তোমার হবেনা । আমিও
চেতনার গহীন খুঁটে আঁটকে আছি
যেমন অনিমেষে কোনো সংশয় ভরা
দ্বিধা ও দ্যোতনার ন-হণ্যতে !
[ নগ্নতার সমান নিষ্পাপ আমরা তো
পারিনি হতে কখনোই, যেমন আজও । ]

Amélie, তুমি আজ হেডফোনে পিয়ানো ~ নূপুরকান্তি দাস


একর্ডিয়নে হাঁক দিয়ে
রোদেলা দিন কি আনো?
শহরে নেমে’
ওড়নার পিছু পিছু
ফুসলে নিয়ে গেছো
বারান্দার সব প্রজাপতি
‘হোক না কিছু ক্ষতি!’ বলে
মাছবাজার, ময়লার স্তুপ
নর্দমা পেরিয়ে নির্বিকার
হারমোনিকার সুরে মজে
সার্কাসের টিকিট কিনে
পথ হারিয়ে নাজমা ম্যাডামের
ট্রাপিজে চড়তে’
সমস্ত শহর
ভোকাট্টা
ফেঁসে গেছে
সেলফোন টাওয়ারে
চূড়ায় চূড়ায়
তুমি তবে প্রজাপতি-চোর,
স্বপ্ন কেটে কেটে
নেলকাটারে
রাতভর
সেতারের মীড়
আনন্দ রোমন্থন
ব্লুটুথ হেডফোনে
মুভিশেষে অথচ
বিষণ্ণ ভায়োলিন তুমি —
চোখ দুটো
কেঁদে ফোলা ফোলা।
ওদিকে বাইরে হরতাল,
ব্যারিকেড উঠছে
তোমাকে যেতে দেবেনা বলে
দ্যাখোনা
মোড়ে মোড়ে
জমে গেছে
কি বেয়াড়া জটলা!

১৩ পার্বণ ~ পিয়ালী বসু


১৩টা পার্বণ
তোর ভালবাসায় মাখামাখি হওয়া হয় নি
তেরোশ’ তেত্রিশ প্রকারের মায়া আর স্নেহ মাখিয়ে
তোকে স্নান করানো হয় নি ...
সম্পর্কের পাতাগুলি কি এভাবেই ছিঁড়ে ফেলতে হয় ?
What lips my lips have kissed, and where, and why,
I have forgotten, and what arms have lain
ছায়া লাগা বিষণ্ণ বিকেলে
কতদিন বসা হয়নি দক্ষিণ বারান্দায়
সত্যিই কি খেলা শেষ আজকের মতো ?
সেই ঘরটার জানলা , তার পর্দায় , টেবিলে , চেয়ারে আর সেই খাটে
ফেলে আসা ভালবাসার ছায়া
অলস দুপুর আর নিঃসঙ্গ রাত সয়ে যাওয়া
আর ফেলে আসা কিছু শরীরী অবয়ব
I cannot say what loves have come and gone,
I only know that summer sang in me
A little while, that in me sings no more
.
ক্লান্ত , ভরন্ত শরীরের ব্যারিটোন জুড়ে আজ শুধুই
It must have been love , but I lost it somehow

Destined to be alone ~ জয়তী ভট্টাচার্য অধিকারী


এক বদ্ধ দরজার সামনে অনন্ত অপেক্ষায়,
কেটে যাচ্ছে সকাল-দুপুর-সন্ধ্যে...
ছোপধরা বোতলের গলা জড়িয়ে নেতিয়ে পড়ে থাকে
পোকা লাগা মানিপ্ল্যান্টের শিথিলতা,
কারুর প্রতি কোন অভিযোগ নেই তার।
আর কালপুরুষ...
তুমি অস্ত্রহাতে অদৃশ্য শত্রুর মোকাবিলায় নিবেদিত প্রাণ। অক্লান্ত।
তোমার চোখে মুক্তির আকুতি। তোমার হৃদয়ে প্রতিবাদের ঝড়।
তোমার লুব্ধকও ধৈর্য হারিয়ে ছুট দিয়েছে
আরও দৃঢ় কোন পায়ের ছায়া খুঁজতে।
এক আকাশ নক্ষত্রপুঞ্জের মাঝে
কোন যোগতারা তোমার দিকে ফিরে দেখল কি না
You really don’t bother!
সারারাত জেগে থাকা তোমার নিয়তি…
“The only person you are destined to become is the person you decide to be”.
যেদিন গুটি কেটে বেরিয়ে আসবে
ঝলমলে পাখনায় ভেসে যেতে যেতে,
সেই ব্রাহ্মমূহুর্তে কী বলবে আমাকে?
“You are destined to be alone”…?

মঙ্গলবার, ৭ জুলাই, ২০১৫

স্বপ্ন~ রিক্তা চক্রবর্তী


গোধূলি রাঙা বিকেল
ভাগ হতে থাকা পথের মাঝে
আমার সব দ্বিধা দ্বন্দেরা খেলা করে 

রাত বাড়ে
ল্যাম্প পোস্ট জুড়ে হলুদ আলোর ঝিঁঝিঁ
আমার সব স্বপ্ন কে আছড়ে মারে
ধাপার মাঠের স্তুপ ভর্তি হয়
আমার স্বপ্ন আবর্জনায়

একা নয় ~ অরুণ চট্টোপাধ্যায়



ভাবি বসে নির্জনেতে
বেশ তো একা আমি,
পেছন ফিরে তাকিয়ে দেখি
ছায়া অনুগামী।
আঁধার রাতে বসে ভাবি
এই তো আমি একা,
ছমছমে রাত কম্পিত বুক
করতে এল দেখা।
নদীর কূলে বসে ভাবি
একাই আছি বসে,
পাড়ে ভেঙ্গে ঢেউটি তখন
কলকলিয়ে হাসে।
একলা ঘরে ভাবছি বসে
একাই করব জয়,
ওমা দেখি সঙ্গে আছে
আমার পরিচয়।

কাঁদতে গেলে ~ জয়তী ভট্টাচার্য অধিকারী


কাঁদতে গেলেও
চারটে দেওয়াল একটা ছাদ লাগে...
আর লাগে দুটো চোখ,
অকাতর অশ্রুগ্রন্থি,
নিঃশব্দে ভিজে গাল বেয়ে গড়িয়ে আসা
বিবর্ণ রক্তের ফোঁটা কিছু...
কাঁদতে গেলেও
একটা ধু ধু প্রান্তর লাগে
কেউ যেন দেখে না ফেলে!

মৃত্যু ~ অরিজিৎ বাগচী


শিহরিত শব্দের ঝন্‌ঝন্ চিৎকার মুহূর্তে থেমকে গেলে ,নিজেকে খুঁজে পাই হালকা ছায়া হীন বিন্দুর মুক্ত অবস্থায় ।।
অদূরে পড়ে থাকা নিথর শরীর টা আমিত্বের ধূলো ছিটালে ,অনাদির পথে লীন হয় বাতাসের গোঙানি ।।
হাজার শ্রমিকের লাশ কাটা ঘরে, কাটাকুটির তীক্ষ্ণ বাইবেল, 
শরীর যখন উজাড় করে - স্বত্বা তখনও ঈষৎ লালচে ।।
ভাবনা বোধের বাইরে কিছু সক্রিয় নিরব ইন্দ্রিয় , আর কিছু হাহাকার ঘিরে রাখলেও, শেষে শক্তির রাশ আলগা হয়ে পড়ে ।।
পঞ্চভূতের কোরাসে চেনা খাঁচা টা মিশে গেলে , নিস্তব্ধ নিস্তেল হয়ে নিভে যায় আমার প্রদীপ ।।
শূন্যতার অন্ধকারে ডুবে যায় প্রান হজার প্রানের ঘুমন্ত জগতে , পড়ে থাকে শুধু স্মৃতি আর স্বত্বা - কালের গর্ভে হারিয়ে যাওয়ার অনুমতি অপেক্ষায় ।।

~ এ সংসারে সংযোগগুলি ভুলে যাওয়া কিংবা শেষ টাই শুধু সত্যি,বাকি সবটাই মিথ্যে ।।~

বিবর্তন ~ পিয়ালী বসু

একটা বয়সের পর
রক্তকরবীর স্বপ্ন সঁপে দিতে হয় অন্যের হাতে
ভ্রষ্ট সুখের লগ্ন ভুলে যেতে হয়
ইচ্ছাকৃত ভাবেই
একটা বয়সের পর 
আত্মকথা কেও সঁপে দিতে হয়
অগণিত মানুষের মিছিলে

~বয়স হওয়াটা প্রমিজিং একটা বিবর্তন মাত্র । তাই নির্দ্বিধায় মেনে নিতে হয় তাকে । প্রিয়তম দোসরের চোখে ঘুম আনার ছেলেমানুষী খেলা ভুলে একটা বয়সের পর নিজেকেই ঘুমিয়ে পড়তে হয় ...চিরনিদ্রায় ~

অঙ্গদ ~ সৌগত মজুমদার

ক্ষণজন্মা ক্ষণিকের কাল / রক্ত জমা ঠোঁট
সর্পিল আলিঙ্গন, লেহন চিরকাল / নীল বিষ নিয়ে ...
... তুমিই কি অঙ্গদ ?

একাকীত্ব ~ রিক্তা চক্রবর্তী


একাকীত্ব দানা বেঁধেছে
ঘরের দেওয়াল জুড়ে
প্রতি দুপুরে 
নিস্তব্ধ একাকীত্বের মাঝে
আমি শব্দের আল্পনায় তোমার ছবি আঁকি
প্রতি মাঝ রাতে
নিস্তব্ধ একাকীত্বের মাঝে
রুপকথার রাজ্যের ভেতর
আমি তোমাকে খুঁজে পাই 

অন্য মৃত্যু ~ নীলাঞ্জন ব্যানারজ্জী

কতটা স্পষ্ট হলে তুমি 
প্রেমিকের মৃত্যু ঘনায় 
জেনে নিয়ো 
কে জানে হয়তো কোন 
অবয়বজাত মুগ্ধতা 
অন্য জীবন তাকে 
দিয়েছিলো কিছুটা হলেও ...

রহস্যময়তাটুকু থাকতো নাহয় 
এখন সে মৃত্যুও বেছে নেবে 
অর্বাচীনের মতো সবচেয়ে যন্ত্রণাময় ...

নাহয় শিখেই নিতে 
প্রেমিকা জীবন পেতে গেলে  
কতটা স্পষ্ট হওয়া যায় । 

বুনন ~ সুপ্রভাত লাহিড়ী


শুধু একবার ঘুরে দাঁড়াও,
কিংবা বলা যায় এটা বহু আগেই
উচিত ছিল আমার।
এখন পায়ের তলায় বিছানো সরষে,
সময় বুনে যাচ্ছে জীর্ণ কার্পেট!

ফিরিয়ে দেওয়া ~ সুধাংশু চক্রবর্তী


আলপথ দিয়ে দ্রুত পায়ে হেঁটে চলেছে অদিতি । চোখের তারায় একরাশ অন্ধকার ঝুলে রয়েছে । খবর পেয়েছে মৃত্যুর পরোয়ানা ঝুলছে মায়ের শিয়রে ।
সদর দরজার চৌকাঠ ডিঙোতে যেতেই বাধা পেলো – কাকে চাই ?
- আমি অদিতি । চিনতে পারছো না বাবা ?
- অদিতি বলে কেউ নেই আমাদের । একজন ছিলো । মারা গেছে বছর খানেক আগেই । ঘরে ছেড়ে চলে যাবার পর পরই ।
- ভুল করেছিলাম । আমাকে ক্ষমা করবে না ?
- কক্ষনো না । একবার বাইরে পা রেখেছো যখন তোমার আর স্থান হবে না এখানে । ফিরে যাও যেখান থেকে এসেছো ।
- শুনলাম মা নাকি মরো মরো অবস্থায় ? একবার চোখের দেখাও দেখতে পাবো না ?
- না-না । তাকে এক্ষুনি মরতে দিতে পারি না । লড়ুক মৃত্যুর সাথে নিজের মতো করে । যতক্ষণ পারে ।
অদিতি দেখলো ঘরের ভেতরের অন্ধকারটা আরও দ্বিগুণ হয়ে গেল ।

অশনি সংকেত ~ সুপ্রভাত লাহিড়ী


যাচ্ছিলাম মেদিনীপুর থেকে বাঁকুড়া, ভোর ভোর গাড়িতে। পথে একটু বিশ্রাম, একটু প্রাতরাশ, পথের পাশের ধাবাতে।
গরম গরম রুটি, আলু ছেঁচকি। শালপাতায় ভোজ হচ্ছে। হঠাত্‍-ই শিশুকণ্ঠ, 'একটা রুটি দে না বাবু।' চমকে তাকাতেই নজরে আসে বাচ্বা মেয়েটাকে, মাযের কোলে। ধাবার গা লাগানো শালের গুঁড়িতে। উচ্বকিত নারীকণ্ঠ আরও চমকে দেয়, 'আঃ, খাতি দে না বাবুটারে। কতখানি পথ আসিল, যাবেও বা কতখানি বটে। ধকল নেয় নাকি এ নরম শরীল!' এ সবই শিশুকন্যাকে মায়ের শাসন আর কি। অবশ হাতে খসে পড়ল মুখের গ্রাস। নজর রাখছে মা ও মেয়ে। একটু দূরত্ব হলেও নজর এড়ায় না এক চিলতে ব্যঙ্গের হাসি আমার অপ্রস্তুত চোখ। চকিতে দৃষ্টি নামিয়ে নিতেই মা শেষ করে তার শাসনাবলী, 'চোখে দেখেই ক্ষিদে মেটা না ছা।'
দু-শালপাতা ভরে রুটি-ছেঁচকি ওদের হাতে তুলে দিয়ে গাড়িতে গিয়ে বসলাম।আমার চোখ জোড়া ছিল মাটির দিকে। এক শিরশিরানি অনুভুতি!
গাড়ি ছাড়ল। পিছনে তাকাবার সাহস হরিয়েছি। ভীরুমন বলছে, 'শাল-মহুয়ার রাজত্বে জেগেছে ক্ষিদে, কেড়ে নেবার ক্ষিদে। তির্যক চাহনি, তির্যক মন্তব্য। ক্ষুদার্তের রুদ্ররোষের বিষাক্ত তীরের ফলা! আয়োজন প্রস্তুত। শুধু একটি ফুলকির অপেক্ষা। যা এঁকে দেবে রক্তবিন্দু হয়ে বঞ্চনার সেই কদর্য চিত্র!

Alone Forever ~ Durba Mitra


Husband and son..
Relatives..
Friends..
Commodities..
Memorabilia..
Even lovers...
They do
Fill me up.
But
My soul?
Alone yet..
Alone forever,
I guess.

Untouchable By Law ~ Durba Mitra

All I wanted..
Was a singular 
Touch.
It
Was denied.
Because 
I refused..
To
Sign a mere paper..
Marriage licence.

Alarm ~ Durba Mitra


It forgot..
The day..
Remembered
Only the time.
I forgot..
Son was out of town..
Hubby was sleeping.
He forgot..
Physical love..
Is a necessity.
Platonic Love??
You make me laugh.

উইল ~ পিয়ালী বসু


মৃত্যুর প্রাক্কালে উইল করে যাবো
আমার যাবতীয় নামহীন প্রেম , কুৎসা , অবৈধ সম্পত্তি
সব... সবই
দিয়ে যাব তাকে
এক্ মাত্র তাকেই
আমার খোঁজ করে বাড়ি থেকে যখন চিঠি আসবে
আমার সমস্ত বদভ্যাস 'নিঃশেষে হজম করে
সে শুধু এটুকুই জানাবে ,...
"মফস্বল এর নাম না জানা শহরগামী
কোন এক ট্রেনে চড়ে সে ভুল স্টেশনে নেমে গেছে" !

Mirror ~ Debasish Ghosh


Looking at the mirror,
I believed ultimately
There's someone atleast
Who knows me in the city.

Consummated ~ Durba Mitra


The Pastor
Declared..
" You
May kiss
The Bride."
Couple of Decades..
She had obeyed..
Never thought..
Where and when..
She wanted it or not.
Now
She wanted..
To declare
When..
Where..
How..
But..
His mind..
And
Body..
Had slept off.

SUNRISE IN MY IRIS ~ Durba Mitra


Wintery morning..
Wanted to burrow..
Further into the quilt.
The cell shrieked out..
"May we watch
The Sunrise together? "
"What?
I mean why?
Where?
Let the Sun be..
And let me
Sleep some more . "
"I wish to..
See all the colors..
Dancing
In your Iris."
So..
Here I am..
Facing the East..
There he is..
Facing the West..
Watching
The same Sunrise.

Cyclic Love ~ PJ Poesy


How ordinary is it to love?
As ordinary as trees let go their leaves
And trees have been in this habit lastingly
With each release, the fallen drift in perpetuity
Humus we are, shaken ruinous
Discarded poet's words, what we fall towards
Words hide in decay's warmth, leaf mold's devotion
Piled fertilizer, condition's unreturned emotion
Yet, giving nutrient to what will bud again

Dialectics ~ Lutful Hussain


virtual
have killed things around those
are real !
but yet
the beat in left of center, can
you rate !
in a touch
of meager hand and fingers bonded
in a clutch !
virtual
can it really take things over
those real !

সোমবার, ৬ জুলাই, ২০১৫

স্পর্শ ~ পিয়ালী বসু



স্পর্শ ছাড়া কি বর্ষণ ঘটে ?
অথবা বর্ষণ ছাড়া প্রেম ?
পাল্টে যাচ্ছ তুমি প্রিয়তম মনে ও মনান্তরে
ধ্বস নামছে , ডুবে যাচ্ছি আমি
ঠোঁট ছুঁয়ে নেমে আসছে ধারাবর্ষণ
অবিরল ...অকারণে !

পরীক্ষা ~ রিক্তা চক্রবর্তী


কলেজ ক্যান্টিনে আজ জমাট আড্ডা । তবে রাকা নেই এ আড্ডায় ।আজ কি যেন পরীক্ষা আছে তার । সুজয় সকালে ফোন করতে তেমনটাই শুনেছে । 
রাকা পড়াশোনায় খুব ভাল । হয়তো কোন entrance exam দিচ্ছে ।
------------------------------------------
দুপুর ১২ টা ।
ক্যান্টিন জুড়ে থমথম শূন্যতা ।
আজ পরীক্ষায় জানা গেল রাকার ক্যান্সার । advance stage
আলট্রা সোনগ্রাফি পরীক্ষায় !

বাসন্তী রংয়ের ঘুড়ি ~ সুধাংশু চক্রবর্তী



দশতলা ফ্ল্যাটের ঝুলন্ত ব্যালকনি থেকে আকাশের বুকে চোখ রাখতেই রণিতের বিষণ্ণ মনটা খুশীতে ভরে গেল । প্রায় হাতের কাছেই দু’টো রঙ্গীন ঘুড়ি উড়ছে পত্‌পত্‌ করে ! একটা ঘুড়ি নীল-সাদা রঙের । অপরটা বাসন্তী রঙের । নীল-সাদা রঙের ঘুড়িটা বাসন্তী রঙের ঘুড়িটার আশেপাশেই উড়ে বেড়াচ্ছে নিজের খেয়াল খুশী মতো । রণিত ব্যালকনিতে কেন এসেছিলো তা ভুলে গিয়ে সেদিকেই তাকিয়ে থাকলো হা-করে । ঘুড়ি দুটোকে দেখতে দেখতে কেন জানে না হঠাৎ মৃত মা-বাবার কথা তার মনে পড়লো । গতবছর দিল্লী বেড়াতে গিয়ে সেখানেই এক পথ দুর্ঘটনায় দু’জনেই চলে গেলেন রণিতের একেবারে ধরাছোঁয়ার বাইরে । রণিত সেইথেকে একলা পৃথিবীর বাসিন্দা হয়ে গেছে । আজ রবিবার । সে নিঃসঙ্গ হয়ে বিরক্ত হয়ে যাচ্ছিলো একাকীত্বে ডুবে থেকে । ঘরে কেউ নেই যে দুটো কথা বলে মন হালকা করবে । চাকরির সুবাদে দিনের কিছুটা সময় অফিসে কাটিয়ে একাকীত্ব ভুলে থাকতে পারে । কিন্তু রবিবার বা ছুটির দিনে তাকে ডুবে থাকতে হয় একাকীত্বের অন্ধকারে । তেমন কাছের কোনো বন্ধুবান্ধবও এই শহরে নেই যে গিয়ে আড্ডা মেরে আসবে ।
ঘুড়ি দু’টোর দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতেই হোঁচট খেলো মনেমনে । ঘুড়ি দুটো কি তার চিরকালের জন্যে হারিয়ে যাওয়া বাবা-মা ! বাবা নীল-সাদা রঙের গেঞ্জি পছন্দ করতেন । একটা ব্যবহার করেছেন বহুকাল । এমন কি নতুন একটা কিনে গায়ে চড়িয়ে বেড়াতে গেছিলেন । মায়ের আবার ভারী পছন্দ ছিলো বাসন্তী রঙ । তেমন রঙের নতুন একটা শাড়ি এখনো তোলা রয়েছে আলমারিতে । ইচ্ছে ছিলো বেড়িয়ে এসে শাড়ির পাট ভাঙবেন । তা আর হয়ে উঠলো কোথায় ? রণিতের এখন চোখ ফেরাতে ইচ্ছে করলো না ঘুড়ি দু’টোর ওপর থেকে ।
হঠাৎই কোত্থেকে একটা কালো চাঁদিয়াল ঘুড়ি এসে ভোকাট্টা করে দিলো বাসন্তী রঙের ঘুড়িটাকে ! বাসন্তী রঙের ঘুড়িটা কাটা পড়ে দূরে ভেসে যেতে যেতে হঠাৎ মায়ের মুখ হয়ে গেল রণিতের চোখের সামনেই ! রনিত দেখলো, বাবাকে ছেড়ে যাবার দুঃখে মা কাঁদছেন ! রণিত আরও দেখলো, নীল-সাদা ঘুড়িটা লাট খেতে খেতে সুতোয় জড়িয়ে নিতে চেষ্টা করছে বাসন্তী রঙের ঘুড়িটাকে । অথচ ঘুড়িটা বারবার ফসকে যাচ্ছে । নীল-সাদা ঘুড়িটা একসময় বিফল হয়ে ফিরে এলো নিজের জায়গায় । রণিত দেখলো, নীল-সাদা ঘুড়িটা ঝপ্‌ করে বাবার মুখ হয়ে গেল ! আরও দেখলো, বাবার চোখেও জল ঝরছে মা’কে ধরে রাখতে না পেরে !
রণিত নিঃশব্দ কান্নায় ভেসে যেতে যেতে ভাবলো, একবার যখন এত কাছে পেয়েছে তখন মাকে আর কিছুতেই হারিয়ে যেতে দেবে না । বাবা পারলেন না বলে মা কি ভেসে যাবেন অজানা পথে ? ছেলে হয়ে তা কি হতে দেওয়া যায় ? যায় না বলেই রণিত আর কালবিলম্ব না-করে বাসন্তী রংয়ের ঘুড়িটা লক্ষ্য করে ঝাঁপ দিলো দশতলা ফ্ল্যাটের উঁচু ব্যালকনি থেকে । ঘুড়িটা যে এখনো বেশী দূরে চলে যায়নি !

চিঠি ~ পিয়ালী বসু


আজ সকালের ডাকে পেলাম তোমার চিঠি !!!!!।আহহহ!! ইমেইল এর স্তূপের বাইরে এ এক অন্য আস্বাদ!!...I am trumbling..shivering......স্মৃতি এভাবেই ফিরে এল আবার...Words are no more chains...I am not sinking anymore...I am flying without my wings...আজ তাই আর কোন গল্প নয় , আজ বরং সত্যিটা নিয়ে নাড়াচাড়া করা যাক , - "truth is STRONGER than fiction". জানি সত্যিটা বদলাবে , একের পর এক পরত পেরিয়ে শেষমেশ মিথ্যা হয়ে উঠবে , আর গল্পগুলি থেকে যাবে চিরকালীন । তবুও আজকের সন্ধেটা শুধু তোর জন্য

Snow-obscured heights
mist-shrouded slopes:
but this spring evening...Is only for you

ব্যবধান ~ সৌগত মজুমদার




কিছুটা আছে। কিছুটা নেই।
খানিকটা আবার আবছা হয়, নিজের অজান্তেই।
অনেক সময়, এমন ও হয়।
নিজের কাছের অনেক কিছুই হারিয়ে ফেলতে হয়।
এখুনি জাস্ট হোল। একটা ছিল মুহুর্ত
এমনিই চলে গেল।
তাতে কি আমার তোমার ছায়ার কোনো

গ্রন্থি ~ মৌমিতা ভট্টাচার্য



সাত সাগর আর তেরো নদীর দুই পাড়ে আমরা দুজন।
তবুও তোমার আকাশের কালো মেঘ
বৃষ্টি ঝরায় আমার মনেও।
বন্ধুত্বের অচ্ছেদ ভালোবাসার বন্ধনে
আমি তুমি আবব্ধ
গ্রন্থিতে গ্রন্থি আছে জীবনজুড়ে।।
ফেলে আসা দিন গুলি ------মনে পড়ে?
কথায়কথায় ঝগড়া আড়ি ভাব?
পরীক্ষার হলে চকিত চাউনি
ধরা পড়ে যাবার ভয়
আর অপ্রস্তুত হাসি!!
কালের নিয়মানুসারে হারিয়ে যাওয়া
মোনের গোপন কুঠুরিতে থাকা
মুখখানির বারবার ফিরে ফিরে আসা
সময়ের ওঠাপড়া আর হঠাৎ ফিরে পাওয়া।।
আজ বুঝি কিছু কথা ছিল অব্যক্ত
জমা হয়ে ছিল হ্রদয়ের গভীরতম স্থানে
এক টুকরো বরফ হয়ে।।
মন করেছে অঙ্গীকার--------নিঃশব্ধে
আমি আছি থাকবো ।
চিরকাল ।
থাক্ না আমাদের মাঝে ঔই বিপুল পারাবার।।

প্রতীক্ষা ~ জয়তী ভট্টাচার্য অধিকারী


সাদা কাগজটা বুক চিতিয়ে পড়ে ছিল
কলঙ্কিত হবে বলে।
কলমের ডগা এসে ছুঁয়ে চলে গেল তার চিবুক
সমস্ত কালি সামলে নিয়ে...
অন্য কোন সাদা কাগজের সন্ধানে।
সাদা শাড়ীর আঁচলটা হাওয়ায় উড়ছিল
সব আব্রু বিসর্জন দিয়ে।
একটা ঝোড়ো হাওয়া এসে জড়িয়ে দিয়ে গেল
আলগা খোঁপার চারপাশে...
সেই থেকে প্রতীক্ষার শুরু।
সেই থেকে প্রতীক্ষার শেষ...

মন amour ~ শুভায়ন গাঙ্গুলী



সব কিছুতেই এক্কা দোক্কা, এপার ওপার খেলা?
ও মন তুমি ক্লান্ত হবে কবে?
একটুখানি আঁচড়ে নিয়ে নরম মাটির কোণ,
ও মন তুমি অমন শরীর আবার পাবে কবে?
ঘন্টাখানেক, বছর পাঁচেক, যতই থাকুক ট্যাঁকে,
ট্যাঁক ঘড়িটা বদলে নিয়ে অভাবে উৎসবে,
একটি বাতিল ফুলদানিতে, একটি চাবির রিঙ,
ও মন তুমি এমন লিস্টে আবার নাম লেখাবে?

এই শ্রাবণে ~ লুতফুল হোসেন



এই শ্রাবণে
কথারা নাচেনি হৃদয় মুখর ঐকতানে ।
মনের খেয়া
ভাসেনি এখনো নিবিড় স্রোতের জল সিথানে ।
এই শ্রাবণে মেঘে মেঘে যে কেটে গেলো সারা বেলা
হলোনা এখনো গড়া সখ্যতার স্বপ্ন বাঁধা ভেলা ।
জল এলোনা নেমে আজতক হয়ে বৃষ্টি কণা ।
গাছেদের হলোনা পাওয়া আকাশ দক্ষিণা ।

মহাকাব্য ~ অনিরুদ্ধ দাস



প্রথম বীজেই
দেব -দ্বিজ নয়
জীবনেরই জয়গান ;
জীবনের অাব`ত্যই মহাকাব্য...

প্রেম ~ অনিরুদ্ধ দাস



চাতক পাখিও বটে
গাঁঙচিলও বটে
চেতনার মাদকও বটে;
মৃত্যুও বটে---হিমহিম...

সেই তরী ~ লুতফুল হোসেন



সম্ভাবনার গায়ে হেলান দেয়া
ছায়াটার অস্পষ্ট অবয়ব
হেঁয়ালীর এক্কা-দোক্কায়
কসরৎ কৌরবে গত করলো
একান্ন প্রহর যখন
ঠিক তখুনি অকস্মাৎ
আঁধার রহস্য উপচে
খেয়ালী আলোক উন্মোচনে
জানা গেলো শংকা !
সরোদ সখ্যতায় ভ্রাতৃপ্রতিম
সংশয়ের গলা আগলে
গলাগলিতে ছিলো অপেক্ষমান
উদ্গ্রীব এক দুরন্ত গলুই ।
ভেবে তুমি দেখতেই পারো আজ
বাইবে কী বাইবে না সেই তরী
ছিপছিপে অপ্সরী !

Test

পরমাণু গল্প 

Test


বোবা বাঁশি ~ সুপ্রভাত লাহিড়ী

সেই ভোরের প্রথম আলো ফোঁটার আগেই এক চিলতে ঘরটায় একটা ছোট মতন তালা ঝুলিয়েই বাড়ি ছেড়েছিল ছোটকু। কি আর নেবে চোরে, আছেটাই বা কী! যতটুকু বা ছিলো তা মায়ের সংগেই চলে গেছে। শূন্য ঘরে থাকার মধ্যে রইল ছাল ওঠা কলাই করা থালা-বাটি-গ্লাস। মাযের অনুপস্থিতে খেঁদী পিসি ওতেই দুটো খেতে দিত, তাও ওগুলো এঁটো আবস্থায়ই রয়ে গেল। মা যদি এর মধ্যে এমুখো হয়, তবে ডুপ্লিকেট চাবি দিয়ে ঘর খুলে যা করার করবে। সেই মাস ছয়েক আগে কয়েক ঘন্টার জন্য এসেছিল, ওরে সে কি ব্যস্ততা তার। অইটুকু সময়ের মধ্যেই বেশ কয়েকবার তার প্রকাশ ঘটলো, ‘তুই জানিস না ছোটকু, সেই মাগী বেচারীর কী কষ্ট! চোখে দেখা যায় না। মাকে দেখলে কিন্তু ছোটকুর একটুও মনে হয় না যে মাকে খুব ঝামেলার কাজ করতে হয়!ইদানিং বেশবাস-এ বেশ চোখে লাগার পরিবর্তন হয়েছে, বেশ সুখী সুখী ছাপ পড়েছে চেহারায়! তাই ও মনস্থির করে ফেলেছিল যে ও নিজেও সল্টলেকের করুণাময়ী বলে জায়গাটায় ঘুরে ঘুরে যে কোনও একটা কাজ খুঁজে নেবেই নেবে।
এই সব ভাবতে ভাবতেই ছোটকু ডোমজুড় মোড়ে এসে হাজির। শেষবার সেই ছমাস আগে ওর মা যখন বাড়ি এসেছিল তখনই ও করুণাময়ী বলে জায়গাটায় যাবার সুলুক সন্ধান মায়ের কাছ থেকে জেনে নিয়েছিল। তাই ৬৩ নম্বর প্রাইভেট বাসটা স্টপেজে আসতেই লাফ দিয়ে উঠে পড়ে। এই বাস সলপ অবধি যাবে, তারপর ওখান থেকে ধুলাগড়-করুণাময়ী বাস ধরে ও করুণাময়ী যাবে।
ছোটকু এখন করুণাময়ী হাউজিং এস্টেটের প্রায় কুড়িটা বাড়িতে কর্মপ্রার্থী হিসাবে নিজের যোগ্যতা প্রমানিত করতে ব্যর্থ হয়ে এগিয়ে চলেছে পূবদিক বরাবর। আশা, এখানে দ্বিতল, ত্রিতল এবং বেশ কিছু বহুতল বাড়িও ওর নজরে পড়েছে। প্রায় চার পাঁচ জায়গায় ব্যর্থ হয়ে একটা ছিমছাম দোতলা বাড়ির গেট সংকোচে ও সন্তর্পণে খুলে সদর দরজার ঘণ্টিতে মৃদু চাপ দেয়। দরজা খুলল না। একটু অপেক্ষা করে ছোটকু আবার ঘণ্টিতে হাত ছোঁয়াবার প্রায় সংগে সংগে দরজা খুলে গেল। ওপারে শক্তপোক্ত এক ভদ্রলোক, গলার স্বরও চেহারারই মতন, ‘কি চাই?’ ছোটকু ভয় পেয়ে বলে ওঠে, ‘কাজ।’ ‘এটা কি একটা ফ্যাক্টরী নাকি? যাও, যাও।’ বলে দরজা বন্ধ করতে যেতেই ছোটকু হুমড়ি খেয়ে লোকটির পায়ে পড়ে। দরজা খোলা রেখেই তিনি পিছিয়ে যান। ছোটকু ওর পা ছাড়ে না, মুখে একটাই কথা ‘আমাকে একটা কাজ দিন। যা করতে বলব তাই করব, যা দেবেন তাতেই করব।’ লোকটি এক ঝটকায় পা-দুটো ছাড়িয়ে নিয়ে হুংকার দিয়ে বলে, ‘এ তো মহা আপদের পাল্লায় পড়া গেল, সব কাজ করবি বললি না? গু-মুত পরিষ্কার করতে পারবি?’ ছোটকু তড়াক করে লাফিয়ে উঠে মাথা নাড়িয়ে নাড়িয়ে বলতে থাকে, ‘পারব পারব নিশ্চয় পারব,আমি করব।’ গৃহস্বামী তখন স্রাগ করে ওকে ভিতরে আসতে দিয়ে সদর দরজা বন্ধ করে খাবার জায়গা পেরিয়ে কয়েক পা হেঁটে একটা ঘরে ঢুকে ছোটকুকে ভিতরে ডাকলো, কই রে এদিকে আয়।’ পর্দা সরিয়ে ঘরে ঢুকতে গিয়ে ভক্ করে গন্ধটা ওর নাকে লাগলো। তারপর সামনে দৃষ্টি মেলে যা দেখল তাতে ও বোবা বনে গেল, পা যেন আর সরে না। একটা কঙ্কালসার বউ গু-মুতের মধ্যে পড়ে আছে আর মৃদু স্বরে ককিয়েই যাচ্ছে শূন্য দৃষ্টি মেলে। আবার গৃহস্বামীর বাজখাঁই আওয়াজ, ‘কি রে দম ফুরিয়ে গেল? তখন তো খুব বড় বড় কথা বলছিলি,’ কাজ কাজই, কাজের আবার রকমফের কি?....’ ছোটকু সংগে সংগে বলে ওঠে,‘ সে তো ঠিকই, আমি এক্ষুনি সব পরিষ্কার করে দিছি দেখুন।’ ছোটকু ঘরের বাইরে যাবার উদ্যোগ নিতেই তিনি ওকে হাত তুলে দাঁড়াতে বলেই হাঁক পাড়লেন, ‘রমা রমা দেখে যাও তোমার হেল্পিংগ হ্যাণ্ড এসে গ্যাছে, তোমার কষ্টের দিন শেষ...তাড়াতাড়ি এসো...দেখে যাও।’ 'আসছি গো আসছি' বলে ভদ্রলোকের কথা শেষ হওয়া মাত্র শাড়ীর আঁচলে হাত মুছতে মুছতে এ ঘরে রমার প্রবেশ এবং যুগপত্‍ রমার এবং ছোটকুর আর্তনাদ 'তুই?'...মাআআ..!!.'
ছোটকু করুণাময়ীর রাস্তা দিয়ে ছুটছে....ছুটছে.....ওর দু-চোখে আষাঢ়-শ্রাবণ ধারা...

নিরুদ্দেশের পথে ~ মৌমিতা ভট্টাচার্য


আমার ঠিকানাখানি হারিয়ে গেলে কেমন হয় বলতো।
না হয় হাটঁবো
আমি অনন্তকাল ধরে......
কোনো এক সময় নাহয় পৌছেঁ যাব নীল নদের ধারে...
প্যাপিরাসে তোমায় চিঠি লিখে জানাবো..
আমি ভালো আছি।।
হয়তো বা কাল আমি দাঁড়িয়ে
কোনো নীল সাগরের বালুকাবেলায়।
ঢেউগুলি আলতো করে আমার পদচুম্বন করে যাবে।
একটা কাগজ নৌকো পাঠাবো
তোমার উদ্দেশ্যে ...
লিখবো আমি ভালো আছি।।
কোনো এক ভোর রাতে পৌছোঁবো
নীল পাহাড়ের দেশে।
নীল আকাশের একটুকরো মেঘ
আমায় আবেশে ছুয়েঁ যাবে।
আর
হঠাৎ করে আসা এক পশলা বৃষ্টি আমায় নাহয় সিক্ত করে দিয়ে যাবে আমার রিক্ত হয়ে যাওয়া মনপ্রাণটিকে।।
এক খাম বৃষ্টি
আর আমার ভালো থাকার সংবাদ
পাঠিয়ে দেব ..
মেঘ পিওনের হাতে।
তুমি ভালো থেক অজস্র তারার মাঝে
আর আমিও ভাল থাকবো আমার
ছায়া প্রেমিকের সাথে।।

একবার অন্তত পুরুষ হও~ জয়তী ভট্টাচার্য অধিকারী

আমি সেলসগার্ল
অতি সাধারণ এক মেয়ে।
বিছানাসঙ্গী বাবার ওষুধের ভরসা,
মায়ের বড় সাধ ছিল ঘরে একটা টি ভি থাকে...
সেটা না থাকলেও মায়ের বুকে আছে টি বি।
ছোট ভাইটার বয়স আঠেরো হলে কি হবে
এখনো তার মুখ দিয়ে ঝরে পড়ে লালা
ওর কথা বোঝার সাধ্যি হয়তো ওর নিজেরও নেই।
আর এদের মুখে দুবেলা দু মুঠো তুলে দিতে
আমি নেমেছি পথে, পথ মাপতে।
জীবনের মতই রুক্ষ হয়ে গেছি আমি
তবু একদিন আমার দিকেও নজর পড়লো ওদের।
ওরা, যারা মেয়েদের সম্মান দিতে জানে না
ওরা, যারা দু’শ ছয় খানা হাড় আর কিছুটা গ্ল্যান্ড নিয়েই স্বপ্ন দেখে
ওরা, যারা বুকের খাঁচার ভিতরে ঢুকে মন ছুঁতে ভয় পায়
ওরা, যারা নাভির নিচেই নিজেদের পৌরুষ উজার করে দেয়।
সেদিন আমি আর বাড়ি ফিরতে পারলাম না,
মহাজনের কাছে বিক্রি করা জিনিসের হিসেব দিতে পারলাম না,
আমার পরিবার অভুক্ত রইলো।একবার অন্তত পুরুষ হও~ জয়তী ভট্টাচার্য অধিকারী 


বিয়ে হয়তো আমার এমনিতেই হত না,
কিন্তু একটা অজানা আশঙ্কায় মন ছটফট করছে...
আরও একটা পেট যোগ হবে না তো?
তোমাদের উদ্দেশ্যে আমার একটাই প্রশ্ন...
কতটা আনন্দ পেলে জানি না,
কতটা ক্ষমতা দেখালে বুঝি না
সেটুকু আমাদের মত মেয়েদের না দেখিয়ে
ভন্ড সমাজকে দেখাও না ধর্ষক,
যাতে তোমাদের একবার অন্তত পুরুষ মনে হয়!

অসম্পুর্ণ জীবন - মিন্টু উপাধ্যায়

অসম্পুর্ণ জীবন
- মিন্টু উপাধ্যায়

ছন্দহারা এই জীবনটাকে
নিয়ে আর কত দিন
চলতে পারবো
জানিনা, তবুও...
তবুও আমি তাকিয়ে আছি
তোমার ঐ চলে যাওয়া
পথের দিকে... ।
তুমি ছাড়া এই
জীবনটাকে কেমন করে
সাজিয়ে নেব জানিনা,
তবে তুমি ছাড়া আমি
কোন দিনও সম্পুর্ণ হতে
পারবো না...। 
তোমার বলে যাওয়া 
কিছু কথা ভুলতে পারিনা আজও,
মনের অতল গভীর
থেকে গভীরে
আজও তুমি রয়ে গেছ,
এই অসম্পুর্ণ জীবন
তোমাকে পেয়ে সম্পুর্ণ হতে চায়...।

প্রেমিক ~ পিয়ালী বসু



নাহহ আমার কোন প্রেমিক নেই
কোনদিন ছিল কিনা
অভ্যস্ত আর চিরাচরিত এই প্রশ্নটাও
আজ বড়ই অবান্তর ।
অক্ষর হাতড়ে যারা বেঁচে থাকে 
তাদের কোন প্রেমিক থাকে না বোধহয়
স্মৃতি ভেজা সময় আঁকড়ে
চিরকালীন নিঃসঙ্গতা ঘিরে
যারা বেঁচে থাকে
তাদের কোন প্রেমিক থাকে না 


-স্পর্শ নৈকট্যের বন্ধনে ঘেরা এ ব্যথাতুর জীবনে প্রেমিক রা থাকে না কোনদিন -

সম্পাদিকার ডেস্ক থেকে

উৎসবের আলোড়ন কিছুটা স্তিমিত , তবুও মনের অলিন্দে হৈমন্তী স্বপ্ন । বারো মাসের তেরো পার্বণ প্রায় শেষ মুখে , উৎসব তিথি এখন অন্তিম লগ্ন যাপনে ব...