আবির ফোনে কথা বলতে
বলতেই প্রিয়াকে বললো —
তারাতারি আমার নীল শাট’
টা আয়রন করো দেও তো
আজ একটু তারাতারি office
যেতে হবে ২ টো মিটিং আছে।আমি স্নানে যাচ্ছি।
প্রিয়া,টিফিন বানাচ্ছিল ,হাতধুয়ে ঘরে এসে নীল জামা টা
আয়রন করতে শুর করলো ।
প্রেসার কুকারের শব্দ সুনে
প্রিয়া রান্না ঘরে তারাহুরো
করে গেল।ফিরে এসে দেখলো
জামাটা অনেক টা জ্বলে গেছে।
প্রিয়া র ভয়ে হাত পা কাঁপতে
থাকলো আবিররের এমনিতেই খুব রাগ।
তাছারা প্রিয়া বুজতে পারে আবিরের
প্রিয়াকে অতোটা পছন্দ না।
সাত মাস আগে
বিয়ে হয়েছে এখোনো আবির
ভালকরে কথাই বলেনি ,এবার
।প্রিয়ার ভয়ে ঘেমে যাচ্ছিল মনে
হচ্ছিল গরম আয়রন ট নিজের
হাতে ছুঁয়িয়ে নিতে ।
এরমধ্যে আবির বাথরুম থেকে
মাথা মুছতে মুছতে বেরোলো
কাছে গিয়ে শাট’ টা হাতে নিয়ে
দেখলো অনেক টা জায়গা
কালো হয়ে জ্বলে গেছে।
প্রিয়া মাথা নিচু  করে
ভয়ে দাঁড়িয়ে থাকলো।
আবির রেগেগিয়ে বললো
কি জে করো আরে এই নীল
শাট’ টা আয়রন করতে বলিনি
এটা তো আমি পরিনা।
যাইহোক বাদ দেও যাও
খাবার রেডি করো আমি
নিচে আসছি।
প্রিয়া চলে গেল।
আবির যে নীল শাট’ এর সথে যে প্যান্ট,টাই টা পরে
বেরোবে বলে খাটের উপর রেখেছিল।সেটা আলমারি তে
ঢুকিয়ে ওন্য টাই প্যান্ট এর
সথে মেচিং ওন্য শাট’ পরে
নিচে গেল,তার পর ব্রেকফাস্ট
করে বেরিয়ে পরলো।
প্রিয়া দুপুরে সব কাজ সেরে
আলমারি খুললো নীল শাট’ টা
ঠিক মতো আয়রন করে রাখবে
বলে।কিন্তু পুরো আলমারিতে খুজে কোনো নীল শাট’ ই
পেল না।প্রিয়া বুঝতে পারলো
ব্যাপার টা ভালমতো।
জ্বলে যাওয়া নীল শাট’ টা
ভালকরে ধুয়ে বারান্দার দরিতে
মেলেদিল ।আর জামাটার
দুটো হাতার ঠান্ডা জল
প্রিয়ার মুখে আর কপালে ফোঁটা, ফোঁটা
পরছে।
কতটা নিস্তব্দ এই দুপুর
কতটা শান্তি জ্বলে যাওয়া
ভিজে শাট’ টা থেকে চুয়েপরা
জলে.........
শুধু প্রিয়া ই অনুভব করতে
পারে, আর দুপুরের নিস্তব্দতা ।