শুক্রবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

আহ্লাদ ~ ইন্দ্রানী ভট্টাচার্য

রান্নাবাটির ছোট্ট হাঁড়িতে নুড়ি,কাঁকড় একরাশ
গনগনে্ আঁচে ভাত ফুটছে,
আলু পটল খোসার তরকারিটাও জমত দারুণ,
সঙ্গে থাকত মাটির ডেলার
একটা কি দুটো ভাজা মাছ।
গরম গরম খাবারের লোভে পাত পড়ত তাড়াতাড়ি,
চোখ পিটপিটে পুতুলের সারিতে
চলত আমাদেরও জোর কাড়াকাড়ি।
টুকটাক কথার ফাঁকে আচারের বয়ামে ডুবত হাত
কোনো এক মশগুল দুপুরে আঙুল চেটে
খুব করে মিটিয়ে নিতাম আশ।
বিকেল হলেই সদর রাস্তায় বুড়ো কুলফিওয়ালার হাঁক
শাল পাতা মোড়া ক্ষুদে অমৃতে
খুঁজে পেতাম আস্ত পাহাড় চূড়োর স্বাদ।
শাঁখ সন্ধ্যে ভেসে আসত পুরোনো ঝুপসি গাছ তলায়,
পায়ে পায়ে ঘেঁষে হেঁটে হেটেঁ
চলত রোজ আত্মা প্রেতাত্মার লড়াই।
হঠাৎ লোডশেডিং এ পড়াশোনা ডকে
ছিল নিছকই ছেলেখেলা,
মোমবাতি আলোয় মাখা মুড়ি হাতে
খেলতাম জোর অন্ত্যক্ষরী খেলা।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

সম্পাদিকার ডেস্ক থেকে

উৎসবের আলোড়ন কিছুটা স্তিমিত , তবুও মনের অলিন্দে হৈমন্তী স্বপ্ন । বারো মাসের তেরো পার্বণ প্রায় শেষ মুখে , উৎসব তিথি এখন অন্তিম লগ্ন যাপনে ব...