শুক্রবার, ৯ অক্টোবর, ২০১৫

ফ্যান্টাসি ~ নির্মল রায়

কান্না! শব্দ নেই তোর!
ভেজা বালিশের নিঝুম রাত নীরবে হয়ে যায় ভোর।
স্বপ্নের পাখি উড়ে যায়,
কান্না! তোর সব ফসল শুকায় রোদ্দুর, হাওয়ায়।
রাতপরী, সবই জানিস!
তবে কেন স্বপ্ন গুলো সাদা মেঘে লুকিয়ে রাখিস?
আয় একবার ডানা মেলে
চলে যাস মেঘের দেশে। দুচোখে ঘুম এসে গেলে।

শুধু তুই ~ রীনা রায়

তুই শুধু থাকলেই
.......শরীর জুড়ে বসন্ত! 
তুই আড়াল হলেই
......দুচোখে বর্ষা অনন্ত!!

আসলে তুমি ভাল নেই ~ আরুদ্ধ সকাল

অনিলা,
তোমাকে দেখে মনে হলো আসলে মুখে তোমার হাসির ছটার আড়ালে একটা দুখী বন আছে যেখানে তুমি নিত্য উত্তাপ ছড়াও। তোমার যে অকাল বৈধব্য হয়েছে সেটা কিন্তু কোনদিন চিঠিতে জানাওনি। হয়তো তুমি কখনই হারতে চাওনি তাই। 
আমি তোমাকে দূর থেকে একটা সুখী রমনী ভাবতাম হয়তো সে জন্যই তোমাকে নিয়ে কিছু লেখা হয়ে উঠেনি। আমার গল্পের নায়িকারা খুব দুঃখী হয় কিন্তু আজ দেখলাম তোমার দুঃখের কাছে তারা কিছুই না। 
অনি বলতে পারো আমাদের সেই লালরঙা ট্রেনটা কেন জং ধরে ষ্টেশনে শুয়ে আছে? বলতে পারো কেন আমাদের হাত ধরে ট্রেন লাইনের শেষ আর দেখা হলোনা? জানি তোমার মুখে উত্তর নেই...
নিজের জীবনের গল্প দিয়ে এবার নিশ্চয়ই তুমি বিশ্বাস করবে ইচ্ছে শক্তিরা কখনো কখনো উপায়ের হাত ধরেও দুর্বল হয়ে পড়ে। জীবনকে কাগজের নৌকা করে ভাসানো ঠিক নয়; সে নৌকা ডুবে গেলে আশাগুলো ভাসে নদীর জলে, সেখানে শুধু কষ্টেরা ভেংচি কাটে রোজকার দিন-রাত্রি।
চিঠিটা দীর্ঘ করতে গিয়েও কেন জানি থমকে গেলাম। তাই কলমটা অনেকক্ষণ ধরে রেখে শেষে লিখলাম অনিলা আমি তোমার চোখ দেখেই বলে দিতে পারি আসলে তুমি ভালো নেই..

অনুভব ~ সুকান্ত চক্রবর্তী

আমি কখনোই চাইনি হৃদপিণ্ড টা খাঁচা থেকে বেরিয়ে এসে চূড়ান্ত বিপ্লবের ডাক দেক।
আমি যা চেয়েছিলাম তা তো শুধুই দু- দণ্ডের ভালবাসা ছিল । 
অনেক বর্ষা ভিজে বুঝতে পারলাম বিপ্লব আর ভালবাসা সমার্থক ।

সম্পাদকীয়

'আসলে তো তুমিই আসো
প্রতিবার
নব নব রূপে'

আগমনীর সুর ধ্বনিত আকাশে বাতাসে । বারো মাসে তেরো পার্ব্বণে জর্জরিত বাঙ্গালীর কাছে কিন্তু এখনও উৎসব মানে শুধুই দুর্গাপূজো । জেট সেটের যুগ এখন , সময় বদলের সাথে সাথে তড়িৎ গতিতে পাল্টাচ্ছে পুজোর আসল মাহাত্ম্যও । এখনকার পুজো মানেই মার্কেটিং , পুজো সংখ্যা,  পুজোর স্টাইলের প্রচার ...মেট্রোপলিস শহর জুড়ে এখন ব্যানার । বাঙালীর বাঙ্গালীয়ানার বদল । পুজোর উৎস সন্ধান নিয়ে মাথা ঘামাতে রাজি নন কেউই , তবুও ... একবার ফিরে দেখা যাক

ইতিহাসের পাতা ওলটালে জানা যায়, সম্ভবত পঞ্চদশ শতাব্দী তে প্রথম দুর্গাপূজার প্রচলন শুরু হয়, এও জানা যায় দিনাজপুর এবং মালদা জেলার জমিদার সম্প্রদায়ই প্রথম এই পূজার সূত্রপাত করেন, আবার কারোর কারোর মতে নদীয়া জেলার ভবানন্দ মজুমদারের উদ্যোগেই প্রথম দেবী দুর্গার আরাধনা শুরু হয় ১৬০৬ বঙ্গাব্দে
আমাদের বাঙালীদের প্রধান এই উৎসবের সঠিক উৎস নিয়ে নানাবিধ মতান্তর থাকলেও এটুকু আমরা সবাই জানি যে ১০৮ টি নীল পদ্ম এবং ১০৮ টি দীপ জ্বালিয়ে প্রথম এই পূজার সূচনা করেন বহুলকথিত রামচন্দ্র, দেবীর অকালবোধন এর মাধ্যমেই সম্ববত দুর্গা আমাদের জানান দিয়ে দেন যে অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করতে ধরাধামে আবির্ভূতা হয়েছেন তিনি, আর আমরা মেরুদণ্ডহীন (ধর্মভীরু ) মানুষ তাঁকে আশ্রয় করেই বেঁচে আছি এই বিশ্বাস নিয়ে যে একদিন সব অন্যায়ের, সব অবিচারের প্রতিশোধ নেবেন তিনি।

ই লক্ষ্যে দৃষ্টি নিবদ্ধ রেখে  সকল লেখক ও পাঠক দের শারদ শুভেচ্ছা জানিয়ে রোদ্দুরের অনলাইন ম্যাগাজিন মুঠো ভরা রোদ্দুর প্রকাশিত হল । আপনাদের ভালবাসা আর ঐকান্তিক সহযোগিতায় ঋদ্ধ হোক রোদ্দুর ...

ভাল থাকুন সকলে , আর কলমের মাধ্যমে অমৃত ছেঁচে আনুন।

শুভেচ্ছান্তে ,
পিয়ালী বসু


অসুখের বিলাসিতা ~ নীল মলয়

নখের আঁচড়ে
বিক্ষত ইনবক্স
অত্মলোভী ভ্রুন
সমাজ সচেতন
জমানো পাপে
কাব্য - সুখ
অসুখের সূচনা
বোবা সময়
অসুস্থ বিছানা
ট্রাফিক পেরিয়ে
হারিয়ে যাওয়া
লাস্ট ট্রেন
আকাশ কুসুম
সম্পৰ্ক মল্ট
বেবাগী শরীর
স্বপ্ন শেষে
কাব্যিক অসুখ.

ধান শিষ ~ রঘুনাথ মণ্ডল

কার্ত্তিক এলেই আসে বুকে দুধ...
আমি একটু একটু করে নুয়ে পড়ি...
লজ্জায়

জমিদারের ছেলে আঁচড় কাটে
আমার অঘ্রায়নের ঘ্রাণ না পায় রাখল
কৃষক

কথা না রাখার ব্যথায় কাঁদতে কাঁদতে সাদা হলো চোখ

Non Violence ~ Durba Mitra

One eats to live..
He was stoned
To death..
Could not live to eat.
 ~ Bapuji still mourns.~ 

আবহমান ~ অনিরুদ্ধ দাস


একটু প্রশ্রয়ে ~ জাকিয়া জেসমিন যূথী

বলো,
ছুঁয়েছি কি তোমার কপোল,
চেপেছি কি অধোরে সজোরে কামার্ত অধোর,
বোতাম খুলে বুকের জমিনে কি
চষেছি প্রেমের খেলা,
ছড়িয়েছি কি নাভিমূলে উষ্ণ শ্বাসের একটু পরশ?
ঝাউবন মেঘ ঘন চুলের বন
খামচে ধরে
তপ্ত উপোষে
বলিনি তো একবারও-‘কাছে এসো’!
শৈত্য প্রবাহে জমে যেতে যেতে-ও
একবারও বলিনি তো
‘থামাও এ কাঁপন কামের আগুনে’!
একটু প্রশ্রয় পেলে ভেঙ্গে যায় চিম্বুক পাহাড়!
একটু প্রশ্রয় পেলে না বলে ভাবলে পাথর?

বাস্পিভূত রোমান্টিসিজম ~ অনিরুদ্ধ দাস

পেয়ালার মতো গিলছে
এক একটা ভাঁজের কাভ`;
উষ্ণায়ণের তাপ
গলে---
চুঁয়ে চুঁয়ে...
বাস্প হচ্ছে রোমান্টিসিজম
আপ টু ডেট---
স্মাট বয়;
সো --- বেবি!
এখন ভেরি স্মাট`
যেমন তার ফ্লোর প্লে
তেমনি চাম`;

ভালো থেকো ~ সুকান্ত চক্রবর্তী

ভালো থেকো,
ঠিক যেমন নীল আকাশে সাদা মেঘেরা ভালো থাকে ,
নদীর ধারে শরতের কাশফুলেরা ভালো থাকে,
চাঁদের টানে জোয়ার-ভাঁটারা ভালো থাকে ।
তেমনিভাবে তুমিও ভালো থেকো চিরন্তন ;
জানি,
কে ই বা ভালো থাকে বেশিদিন ?
মেঘেরাও তো বৃষ্টি হয়ে ঝরে অঝোরে ,
কত শরত কাটে রুক্ষ হয়ে, দিনের আলোতে
চাঁদও লুকায় আকাশের অন্যদিকে ।
তবু যখন ভোর হয় বা সন্ধ্যে নামে,
দীঘির জলে লুটুপুটি খায় মসলিন আকাশ;
রাত বা দিন গত হয়ে আচমকা হাতে হাত লাগে
ইচ্ছা জাগে, আশা জাগে ; জমিয়ে রাখা সব
কান্না হয়ে ঝরে যাওয়ার পর যে
অমোঘ শান্তি নামে এ মাটির পৃথিবীতে,
তার সবটুকু নিয়ে আকাশের মেঘে,
শরতের কাশফুলে , নদীর আন্দোলনে
তুমি ভালো থেকো , চিরন্তন ।

মন আমার ~ রিক্তা চক্রবর্তী

হঠাৎ বৃষ্টি আসে এমন
অলিখিত চুক্তির চৈত্র দুপুর
ঢেকে যায় সব কলরব
শিকল ভাঙার শব্দ
অন্য পাড়ায় চুড়ির ও
এ ভাবেই
এক মন খারাপের মেঘ ভেসে আছে স্মৃতিতে
এমন বর্ষা বসন্তে আমার ভিজে যাবার কথা ছিলো 

নামকরণ বৈশাখী রায়চৌধুরী

সেই সুদীর্ঘ ক্লান্তিটা জড়িয়ে ধরেছিলো সভ্যতার হৃদপিন্ডকে। 
ক্লান্তির ছাঁচে ছাঁচ ঢেলে ওই সময় জন্ম হয়েছিল এ শহরের। 
হয়তো আমিই তোমার সেই চেনা শহর, 
ক্লান্তির উষ্ণতায় উষ্ণ এক নারী শরীর।
আর তুমি আমার প্রবাদপ্রতীম পুরুষালী বাস্তব।
সময়টা অকাল বসন্ত,
আমার শুষ্ক ঠোঁট জন্ম দিয়েছিল এক রুগ্ন শরীরওয়ালা দু পেয়ে জীবের।
আমার শরীরের সমস্ত ক্লান্তিটুকু শুষে নিয়ে, কোনোদিন সুখী না হওয়ায় অভিশাপ নিয়ে জন্ম নিয়েছিলো এই শিশু।
বড়ো আদর করে স্কুলের খাতায় যার নাম দিয়েছিলাম মানুষ।

নদী (১) ~ আশিষ সমাদ্দার

যদি তোর নামেও নদী হতো
মেঘলা দিনেও ঘাটে এসে থমকে দাঁড়াতাম,
থাকতো না মাথায় কোনো ছাতা।
নীরব জলে কাগজের নৌকা ভাসিয়ে দিয়ে
উত্তীর্ণ সন্ধ্যায় নিচু গলায় প্রতিশ্রুতির সুর ধরতাম,
মুহূর্তে তারাভরা আকাশ দেখার ইচ্ছে হলেই
আমি সেতুর উপর দাঁড়িয়ে তোর দিকেই তাকাতাম,
যৌবন শেষে গভীর রাতে
আমি মাঝে মাঝে তোর পাড়েই দিন গুনতাম,
জানি মৃত্যুকালে আমায় তোর সাথেই মিশে যেতে হবে।

মানসী দত্ত ~ অরিজিৎ বাগচী

নস্টালজিক ঘর ঘরে ঝঙ্কারে
প্রেমের রিসিভার
হাজার অপেক্ষা চিৎকারে !
হ্যালো ? হ্যালো? কে ?
নিঝুম শান্তির শ্লোগান শুনিয়ে ছিলে
শেষ বার বিকালে ,
আমি মানসী ।।
দিন টা মনে পড়ে আজ ও
এক যুগের পরে
আবার যখন মুখোমুখি
ওয়েব পেজের সাইটে
হ্যালো !
কে ?
আমি মানসী ।।
কিবোর্ডের খটখটানি মুহূর্তে বেড়ে গেলে
জানতে পারি ,
তোর রাতের মাথার বালিশ বদলে গেছে ব্যাস্ত ডেস্কের ইমেইলে, কিম্বা
খোলা বোতামের নীচে অন্য কারোর বুকে সংগোপনে ।।
বুঝলাম বসন্ত বড়োই মেয়েলী,
আজও তোর সাথে দেখা করে
আমায় ছোঁয় ও না ।।
রাতের চাদর আরো কালো হলে বুঝি
তোর ভালবাসার সংযোগগুলি,
সেচ্ছাচারী হলেও
স্বরলিপি টা আমারই শেষমেশ রয়ে গেছে।।
শহরের রাজপথে আমার অধিকারের
ধ্বজা নিলাম ডাকলেও
তোর প্রেম কে পুঁতেছিস্
আমি জরানো কফিনে।।
আর নিজের ব্লগে প্রকাশিত মানসী দও
কোনো অন্য কানো হাতে , অন্য ছোঁয়ায়
সাবলীল হলেও ,
ভেজা রাতে টুঙ টাঙ টোনে,
আমার চোখে খুঁজতে আসে
নিজের হারানো বর্ণপরিচয় আজও ।।

Time ~ Durba Mitra

It flew in nanosecond 
While delivering my son..
Also while sitting beside my Father's deathbed. 
Curse of being the only child...
I could not reach on time when my mom died.
Now...I dream of the time of my only son to become a father..
But dread the time of my death...whether he will be there to hold me?

শেষ বলে কিছু হয় না ~ পিয়ালী মজুমদার

শেষতম ঢেউ ফিরে গেলে
ঘুমন্ত আবেশে
আরও একবার বুনতে পারি
প্রিয়তম সমুদ্র-মেখলা
#
ছায়াপথে মিশে যাক
পরিযায়ী প্রেম
আমি শিশুর মতো বায়না করতে পারি
এক অ-দিনের উৎসব
#
ভরপেট উল্লাস আর চুমুকে চুমুকে
পান করো বরাভয়; হে সময়
শেষ বাঁকে দাঁড়িয়ে আমি
তোমাকেও খুলে দিতে পারি আকাশ-সীমানা…
#
শেষ বলে কিছু নেই
নক্ষত্র জাতক
শেষ খামে লিখে যেতে পারি
আলোকবর্ষ দূরের ঠিকানা
#
আসলে
শেষ বলে কিছু হয় না । 

ঝোপ ~ মানস চক্রবর্তী

ঝোপ বিষয়ে অনেকের মত গ্রামজ হওয়ায় বেশ জ্ঞান আছে বলে স্ববিশ্বাস ছিল । এখনও যে নেই তা নয় । কিন্তু ...এই কিন্তু নিয়েই কথা । ছোটবেলায় দলবেঁধে ঝোপ পরিষ্কার করে খেলার মাঠ গড়েছি । না , মাঠতো ছিলই , কেবল আগাছামুক্ত করেছিলাম বলাই ভালো । তো মতিলালদের সেই মাঠ নিয়ে কত কী হয়েছিল , ঠেলাঠেলি , ধাক্কাধাক্কি এমন কী থানাপুলিশ পর্যন্ত । সে মাঠে বিকেল হলেই নেমে পড়তুম । সেসব বলার জন্যে এবিত্তান্ত নয় । আড়শেওরার ঝোপে দা এর কোপ বসাতে দা ঠং করে উঠেছিল , ঝোপ বুঝে কোপ মারার জ্ঞান অধরা ছিল । এখনও । তারপর তো চলে এসেছি জয়নগর থেকে বারুইপুরে । ক'দিন আগে শুনলাম সেই মাঠ ...সেই কৈশোরের আমার ইডেন উদ্যান ... কাঠায় কাঠায় সীমায়িত হয়ে বেশ কয়েক লক্ষ টাকায় ... ঝোপ বুঝে কোপ মারলো সভাপতি আর পৌরপ্রতিনিধি ।
কলেজে পড়ার সময় বন্ধুদের সঙ্গে বাবুঘাটের পাশে বৌদ্ধ মন্দির দেখতে গিয়ে ঝোপে ঢাকা ঝিল দেখেছিলাম । সেই ঝিলের পাড়ে বসে বাদাম খেতে খেতে আর আধা অশ্লীল রসিকতা করতে করতে দেখি ওখানে ঝোপের মধ্যে পুরো অশ্লীল ঘটনা ঘঠছে । আমার হাঁদামো দেখে আমার প্রেসিডেন্সির বান্ধবী বল্ল , এই হাঁদা , একে কি বলে জানিস? আমি বলি কি?
ও বলেছিল ...ঝোপ বুঝে কোপ মারা

গ্যাছি গত কাল ~ লুতফুল হোসেন

শিয়রে প্রহরীর মতো বসে আছো
বুঝিবা অনন্তকাল।
পাখিদের যাওয়া আসা নিয়ে
খুঁজছো কারণ বেসামাল।
মেঝের সীমান্তময় তোমার
যতিহীন শ্যেন দৃষ্টিজাল
সারাক্ষণ খুঁজে গেছে সব
সম্ভাব্য পথের কংকাল।
তখনো বুকের ছাতি
মৃদু ওঠানামা করছিলো তার।
পিঁপড়ের নীরব যাতায়াত
বাধাহীন বাড়ছিলো নির্বিকার।
পাখি ও পাতাদের লঘু স্বর
কথকতা মিছিলে
উৎসুক বাতাসের আনাগোনা
চালু ছিলো কৌশলে।
সবুজ ঘাসফড়িং, প্রজাপতি;
ওরাও বলেছিলো,
ন্যূজ ও ম্রিয়মান ঘাসেদের
কানে খুব ঝাঝালো –
প্রস্থানের নোটেশনে
কীর্তনের সুর এলোমেলো।
শুধু মৌমাছি নয়
সন্ধ্যা জুড়ে জোনাক আলো
দিনের স্মৃতি মেখে
তোমার দেখাদেখি
প্রগাঢ় অপেক্ষায়
যতিহীন জ্বলে রয়।
শিয়রে প্রহরীর মতো বসে আছো
বোঝনি অস্ত গ্যাছি কাল।

সম্পাদিকার ডেস্ক থেকে

উৎসবের আলোড়ন কিছুটা স্তিমিত , তবুও মনের অলিন্দে হৈমন্তী স্বপ্ন । বারো মাসের তেরো পার্বণ প্রায় শেষ মুখে , উৎসব তিথি এখন অন্তিম লগ্ন যাপনে ব...