'আসলে তো তুমিই আসো
প্রতিবার
নব নব রূপে'
আগমনীর সুর ধ্বনিত আকাশে বাতাসে । বারো মাসে তেরো পার্ব্বণে জর্জরিত বাঙ্গালীর কাছে কিন্তু এখনও উৎসব মানে শুধুই দুর্গাপূজো । জেট সেটের যুগ এখন , সময় বদলের সাথে সাথে তড়িৎ গতিতে পাল্টাচ্ছে পুজোর আসল মাহাত্ম্যও । এখনকার পুজো মানেই মার্কেটিং , পুজো সংখ্যা, পুজোর স্টাইলের প্রচার ...মেট্রোপলিস শহর জুড়ে এখন ব্যানার । বাঙালীর বাঙ্গালীয়ানার বদল । পুজোর উৎস সন্ধান নিয়ে মাথা ঘামাতে রাজি নন কেউই , তবুও ... একবার ফিরে দেখা যাক
ইতিহাসের পাতা ওলটালে জানা যায়, সম্ভবত পঞ্চদশ শতাব্দী তে প্রথম দুর্গাপূজার প্রচলন শুরু হয়, এও জানা যায় দিনাজপুর এবং মালদা জেলার জমিদার সম্প্রদায়ই প্রথম এই পূজার সূত্রপাত করেন, আবার কারোর কারোর মতে নদীয়া জেলার ভবানন্দ মজুমদারের উদ্যোগেই প্রথম দেবী দুর্গার আরাধনা শুরু হয় ১৬০৬ বঙ্গাব্দে
আমাদের বাঙালীদের প্রধান এই উৎসবের সঠিক উৎস নিয়ে নানাবিধ মতান্তর থাকলেও এটুকু আমরা সবাই জানি যে ১০৮ টি নীল পদ্ম এবং ১০৮ টি দীপ জ্বালিয়ে প্রথম এই পূজার সূচনা করেন বহুলকথিত রামচন্দ্র, দেবীর অকালবোধন এর মাধ্যমেই সম্ববত দুর্গা আমাদের জানান দিয়ে দেন যে অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করতে ধরাধামে আবির্ভূতা হয়েছেন তিনি, আর আমরা মেরুদণ্ডহীন (ধর্মভীরু ) মানুষ তাঁকে আশ্রয় করেই বেঁচে আছি এই বিশ্বাস নিয়ে যে একদিন সব অন্যায়ের, সব অবিচারের প্রতিশোধ নেবেন তিনি।
এই লক্ষ্যে দৃষ্টি নিবদ্ধ রেখে সকল লেখক ও পাঠক দের শারদ শুভেচ্ছা জানিয়ে রোদ্দুরের অনলাইন ম্যাগাজিন মুঠো ভরা রোদ্দুর প্রকাশিত হল । আপনাদের ভালবাসা আর ঐকান্তিক সহযোগিতায় ঋদ্ধ হোক রোদ্দুর ...
ভাল থাকুন সকলে , আর কলমের মাধ্যমে অমৃত ছেঁচে আনুন।
শুভেচ্ছান্তে ,
পিয়ালী বসু
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন