শুক্রবার, ৩১ জুলাই, ২০১৫

নষ্ট বিস্কুট ~ সুধাংশু চক্রবর্ত্তী


মাসখানেক ধরে আত্মীয়দের বাড়ি বাড়ি ঘুরে কাটিয়ে বাড়িতে ফিরেছি। বাড়িতে এসে হাতমুখ ধুয়ে আয়েস করে বসলাম চা-বিস্কুট নিয়ে। তখনই নজরে এলো বিস্কুটের কৌটোর মুখটা আলগা করে লাগিয়ে রেখে গেছিলাম। একারণেই বিস্কুটগুলো খাওয়ার অযোগ্য হয়ে গেছে নেতিয়ে গিয়ে এবং ছত্রাকের হাতে পড়ে। ভাবলাম কাকপক্ষীদের খাইয়ে দেবো একটা একটা করে। সেইমতো কৌটোটা নিয়ে ছাদে যেতেই হাতের কাছে পেয়ে গেলাম একটা কাক। একটা বিস্কুট ছুঁড়ে দিতেই কাকটা ছুটে এসে মনানন্দে বিস্কুটের অনেকটাই খেয়ে নিলো গপ গপ করে। তারপর কিছুটা মুখে পুড়ে নিয়ে উড়ে গেল বাসার দিকে। নিজের শাবকদের খাওয়াবে বলে।
পরদিন সকালে বিস্কুট নিয়ে ছাদে যেতেই গোটা চারেক কাক উড়ে এলো। গোটা তিনেক বিস্কুট ওদের খেতে দিলাম। কাকগুলো বিস্কুটের দিকে এগিয়ে যেতেই একটা কাক মুখে ‘কঁ-ও-কঁ-কঁ’ শব্দ করে কিছু একটা বললো বাকী কাকদের। সেই শুনে কাকগুলো বিস্কুটের কাছে এসে প্রথমে খুব মন দিয়ে দেখলো। তারপর সামান্য ঠুকরে খেয়েই উড়ে চলে গেল খাওয়া অসমাপ্ত রেখে। দেখে অবাকই হলাম।
পরদিন সকালে যথারীতি ছাদে গেলাম বিস্কুটের কৌটো হাতে। ছাদে যেতেই এক ঝাঁক কাক উড়ে এসে আমার মাথার ওপর চক্কর দিতে দিতে বেদম ডাকতে লাগলো কর্কশ স্বরে। দু-একটা কাক ঠোকরও মারার চেষ্টা করলো আমাকে। ওদের আক্রমণের হাত থেকে নিজেকে বাঁচাতে চেয়ে এক দৌড়ে চলে এলাম নিচে। কিন্তু কাকগুলোর বাড়ির চারপাশে উড়ে ডেকে চলা থামলো না তা’বলে। হাবভাব দেখে মনে হলো যেন আমাকেই খুঁজছে! ওরা কি তাহলে বুঝতে পেরেছে নষ্ট বিস্কুটগুলো নিজে খেতে না পেরে ওদের খাওয়াচ্ছিলাম!

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

সম্পাদিকার ডেস্ক থেকে

উৎসবের আলোড়ন কিছুটা স্তিমিত , তবুও মনের অলিন্দে হৈমন্তী স্বপ্ন । বারো মাসের তেরো পার্বণ প্রায় শেষ মুখে , উৎসব তিথি এখন অন্তিম লগ্ন যাপনে ব...