" আছে দুঃখ, আছে মৃত্যু, বিরহদহন লাগে।
তবুও শান্তি, তবু আনন্দ, তবু অনন্ত জাগে ॥
তবু প্রাণ নিত্যধারা, হাসে সূর্য চন্দ্র তারা,
বসন্ত নিকুঞ্জে আসে বিচিত্র রাগে ॥
তরঙ্গ মিলায়ে যায় তরঙ্গ উঠে,
কুসুম ঝরিয়া পড়ে কুসুম ফুটে।
নাহি ক্ষয়, নাহি শেষ, নাহি নাহি দৈন্যলেশ–
সেই পূর্ণতার পায়ে মন স্থান মাগে "
তবুও শান্তি, তবু আনন্দ, তবু অনন্ত জাগে ॥
তবু প্রাণ নিত্যধারা, হাসে সূর্য চন্দ্র তারা,
বসন্ত নিকুঞ্জে আসে বিচিত্র রাগে ॥
তরঙ্গ মিলায়ে যায় তরঙ্গ উঠে,
কুসুম ঝরিয়া পড়ে কুসুম ফুটে।
নাহি ক্ষয়, নাহি শেষ, নাহি নাহি দৈন্যলেশ–
সেই পূর্ণতার পায়ে মন স্থান মাগে "
দেখতে দেখতে আমরা পেরিয়ে এলাম নতুন বছরের দ্বিতীয় মাসটিও। দেনা পাওনার হিসেব নিকেশ নিয়ে বসলে , প্রাপ্তি আর অপ্রাপ্তি দুয়ের বোঝাই নিক্তি মেপে ওজন করা যাবে , ... অথচ বৃহত্তর জীবনবোধের প্রেক্ষাপটে যদি আসা আর যাওয়ার এই ছবিটি তুলে ধরা যায় , সেক্ষেত্রে রবীন্দ্রনাথের কথাই প্রথম মনে পড়ে ।
এ মাসেই আমরা পেরিয়ে এলাম আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসটিও , ১৯৫২ সালের এই দিন , বাংলাকে ভাষাকে তৎকালীন পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে আন্দোলনরত ছাত্রদের ওপর পুলিশের গুলিবর্ষণে কয়েকজন তরুণ শহীদ হন। তাই এ দিনটি শহীদ দিবস হিসেবে আজও চিহ্নিত। ২০১০ খ্রিস্টাব্দে জাতিসংঘ কর্তৃক গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রতিবছর একুশে ফেব্রুয়ারি বিশ্বব্যাপী আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করা হয়। ... ভাষার জন্য প্রাণ দেওয়া , হাজার বীর শহিদদের স্মরণ করে একবার ফিরে দেখা যাক বাংলা গদ্য সাহিত্যের ইতিহাসটিকে ... কারণ গদ্যই আমাদের ভাব বিনিময়ের প্রধান মাধ্যম হিসেবে গণ্য । ১৫৫৫ সালে অহোমরাজকে রাজা নরনারায়ণ মল্লদেবের লেখা চিঠিটিই কিন্তু বাংলা গদ্য সাহিত্যের আদিতম নিদর্শন হিসেবে আজও চিহ্নিত ।
তথাপি বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে ১৮৫২ সালে সালটিই বিশেষ উল্লেখের দাবী রাখে , ...ঐ বছরই প্রকাশিত হয় হানা ক্যাথরিন মুলেনস রচিত 'ফুলমণি ও করুণার বৃত্তান্ত' , যা বাংলা ভাষার প্রথম উপন্যাস হিসেবে চিহ্নিত । পরপরই প্রকাশিত হয় , বাংলা সাহিত্যের দ্বিতীয় উপন্যাস 'আলালের ঘরের দুলাল , লেখক প্যারীচাঁদ মিত্র ।
আর এখন সময়ের বহমানতায় আমরা শূন্য দশকের সাহিত্য নিয়ে আলোচনা করছি । সময়ের ব্যবধানে - শতকের ব্যবধানে ভাষার বিবর্তন সত্যিই চোখে পড়ার মতো ।
বাংলা ভাষার প্রতি যথাযথ সম্মান জানিয়ে প্রকাশিত হল , মুঠো ভরা রোদ্দুর 'র ফেব্রুয়ারী সংখ্যা । মাতৃভাষাকে সযত্নে পরিচর্যার পাশাপাশি একবার চোখ বুলিয়ে নিতে পারেন , অনন্য স্বাদে সেজে ওঠা এই বিশেষ সংখ্যাটিতে , আশা রাখছি নিরাশ হবেন না ।
এ মাসেই আমরা পেরিয়ে এলাম আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসটিও , ১৯৫২ সালের এই দিন , বাংলাকে ভাষাকে তৎকালীন পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে আন্দোলনরত ছাত্রদের ওপর পুলিশের গুলিবর্ষণে কয়েকজন তরুণ শহীদ হন। তাই এ দিনটি শহীদ দিবস হিসেবে আজও চিহ্নিত। ২০১০ খ্রিস্টাব্দে জাতিসংঘ কর্তৃক গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রতিবছর একুশে ফেব্রুয়ারি বিশ্বব্যাপী আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করা হয়। ... ভাষার জন্য প্রাণ দেওয়া , হাজার বীর শহিদদের স্মরণ করে একবার ফিরে দেখা যাক বাংলা গদ্য সাহিত্যের ইতিহাসটিকে ... কারণ গদ্যই আমাদের ভাব বিনিময়ের প্রধান মাধ্যম হিসেবে গণ্য । ১৫৫৫ সালে অহোমরাজকে রাজা নরনারায়ণ মল্লদেবের লেখা চিঠিটিই কিন্তু বাংলা গদ্য সাহিত্যের আদিতম নিদর্শন হিসেবে আজও চিহ্নিত ।
তথাপি বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে ১৮৫২ সালে সালটিই বিশেষ উল্লেখের দাবী রাখে , ...ঐ বছরই প্রকাশিত হয় হানা ক্যাথরিন মুলেনস রচিত 'ফুলমণি ও করুণার বৃত্তান্ত' , যা বাংলা ভাষার প্রথম উপন্যাস হিসেবে চিহ্নিত । পরপরই প্রকাশিত হয় , বাংলা সাহিত্যের দ্বিতীয় উপন্যাস 'আলালের ঘরের দুলাল , লেখক প্যারীচাঁদ মিত্র ।
আর এখন সময়ের বহমানতায় আমরা শূন্য দশকের সাহিত্য নিয়ে আলোচনা করছি । সময়ের ব্যবধানে - শতকের ব্যবধানে ভাষার বিবর্তন সত্যিই চোখে পড়ার মতো ।
বাংলা ভাষার প্রতি যথাযথ সম্মান জানিয়ে প্রকাশিত হল , মুঠো ভরা রোদ্দুর 'র ফেব্রুয়ারী সংখ্যা । মাতৃভাষাকে সযত্নে পরিচর্যার পাশাপাশি একবার চোখ বুলিয়ে নিতে পারেন , অনন্য স্বাদে সেজে ওঠা এই বিশেষ সংখ্যাটিতে , আশা রাখছি নিরাশ হবেন না ।
ভাল থাকুন নিরন্তর , লেখায় থাকুন ।
শুভেচ্ছান্তে ,
পিয়ালী বসু