গুনগুন করে গাইছে তৃষা- 'বসন্ত এসে গেছে ',
রক্তিমের ফটোর দিকে অভিমানী দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলে- “ধুর, তুমি না এলে বসন্ত কি করে আসবে! এত করে বললাম তবু এলেনা!”
বাইরে একটানা কোকিল ডেকে চলেছে ।
তৃষার সাথে রক্তিমের পরিচয় এই শান্তিনিকেতনেই,এক ডিবেট কম্পিটিশনে, তারপর বন্ধুত্ব ভাললাগা এবং ভালবাসা ।
এক বছরের সিনিয়র রক্তিমের এখানেই মাস্টার্স, পি এইচ. ডি সব। তৃষাও রক্তিমের টানে বিশ্বভারতীতেই এম.এ করেছে।
তখন চুটিয়ে দুজনে প্রেম করেছে, সাইকেলে অথবা লালমাটির রাস্তায় হাতে হাত ধরে হেঁটে চলা–--- কখনও চুপচাপ, কখনও নিরন্তর কথার খই ফুটিয়ে।
কোলকাতায় রক্তিমের চাকরির পর ওদের ধুমধাম করে বিয়েও হয়ে গেল ।
কিছুদিন পর তৃষা বিশ্বভারতী থেকে অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটার পেলো ।
তৃষাকে একাই আসতে হল শান্তিনিকেতনে।কারণ, রক্তিমের ছুটি নেই।থাকা খাওয়ার সুবন্দোবস্ত আগেই করা ছিল।
--------
চাকরীর প্রথম দিন, স্কুল সেরে বাড়ি ফিরল তখন বিকেল চারটে । তালা খুলে ঘরে ঢুকেই প্রচন্ড চমকে গেল। ভুতুড়ে ব্যাপার নাকি !
ঘর ফুল দিয়ে সাজানো, টেবিলে একটুকরো রঙীন কাগজে ওর প্রিয় কবিতার লাইন লেখা।
এমনসময়, "সারপ্রাইইইজ!"
রক্তিম দু-কাপ চা নিয়ে হাসিমুখে দাঁড়িয়ে!
"তুমি! ", লাগামছাড়া খুশিতে তৃষা ছুটে গিয়ে রক্তিমকে জড়িয়ে ধরলো। "পাগলি বউ আমার, চা টা তো রাখতে দাও--- "
তৃষা হেসে বললো, “ঘরেতে ভ্রমর এল গুনগুনিয়ে...”
"মানে? "
দু চোখে খুশির ঝলক তুলে বলল - 'বসন্ত এসে গেছে ---'
বাইরে কোকিলটা ডেকে চলেছে কুহুরবে।
প্রকৃতিতে শুধু নয়, তৃষার মনেও তখন বসন্ত।
রক্তিমের ফটোর দিকে অভিমানী দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলে- “ধুর, তুমি না এলে বসন্ত কি করে আসবে! এত করে বললাম তবু এলেনা!”
বাইরে একটানা কোকিল ডেকে চলেছে ।
তৃষার সাথে রক্তিমের পরিচয় এই শান্তিনিকেতনেই,এক ডিবেট কম্পিটিশনে, তারপর বন্ধুত্ব ভাললাগা এবং ভালবাসা ।
এক বছরের সিনিয়র রক্তিমের এখানেই মাস্টার্স, পি এইচ. ডি সব। তৃষাও রক্তিমের টানে বিশ্বভারতীতেই এম.এ করেছে।
তখন চুটিয়ে দুজনে প্রেম করেছে, সাইকেলে অথবা লালমাটির রাস্তায় হাতে হাত ধরে হেঁটে চলা–--- কখনও চুপচাপ, কখনও নিরন্তর কথার খই ফুটিয়ে।
কোলকাতায় রক্তিমের চাকরির পর ওদের ধুমধাম করে বিয়েও হয়ে গেল ।
কিছুদিন পর তৃষা বিশ্বভারতী থেকে অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটার পেলো ।
তৃষাকে একাই আসতে হল শান্তিনিকেতনে।কারণ, রক্তিমের ছুটি নেই।থাকা খাওয়ার সুবন্দোবস্ত আগেই করা ছিল।
--------
চাকরীর প্রথম দিন, স্কুল সেরে বাড়ি ফিরল তখন বিকেল চারটে । তালা খুলে ঘরে ঢুকেই প্রচন্ড চমকে গেল। ভুতুড়ে ব্যাপার নাকি !
ঘর ফুল দিয়ে সাজানো, টেবিলে একটুকরো রঙীন কাগজে ওর প্রিয় কবিতার লাইন লেখা।
এমনসময়, "সারপ্রাইইইজ!"
রক্তিম দু-কাপ চা নিয়ে হাসিমুখে দাঁড়িয়ে!
"তুমি! ", লাগামছাড়া খুশিতে তৃষা ছুটে গিয়ে রক্তিমকে জড়িয়ে ধরলো। "পাগলি বউ আমার, চা টা তো রাখতে দাও--- "
তৃষা হেসে বললো, “ঘরেতে ভ্রমর এল গুনগুনিয়ে...”
"মানে? "
দু চোখে খুশির ঝলক তুলে বলল - 'বসন্ত এসে গেছে ---'
বাইরে কোকিলটা ডেকে চলেছে কুহুরবে।
প্রকৃতিতে শুধু নয়, তৃষার মনেও তখন বসন্ত।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন