সোমবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭

বসন্ত জাগ্রত দ্বারে ----- শুভা গাঙ্গুলী

নিঃশব্দে ঘর থেকে বেরিয়ে এল মৈনাক, রাত সাড়ে এগারোটা,ফোন এসেছিলো মৈত্রেয়ীর, পাঁচ বছর পরে, বাইরে ফাল্গুনের মনমাতানো বসন্তবাতাস,
অনেক দূর যেতে হবে, যার সাথে ঘর বাঁধার অদম্য উতসাহে,ঘর ছেড়েছিলো মৈত্রেয়ী,সেই চলে গেছে ওকে রাস্তায় বার করে দিয়ে,
নিজের সন্তানের কথাও সেদিন ভাবেনি,রত্মা ওদের মেয়ে হোস্টেলে, চারিদিক মধুময়,"ফাগুন লেগেছে বনে বনে,"........

বসন্তরাতের মাধুর্যে মুগ্ধ প্রফেসর মৈনাক চলেছেন তাঁর বিশ্বাসঘাতক বিপন্ন বিবাহ বিচ্ছিন্না পত্নীর বিপদে সাহায্য করতে, কিন্তু কেন?
:
প্রফেসর মৈনাক কখনও এই বিশ্বাসঘাতক স্ত্রী এর কাছে কৃতজ্ঞ ছিলেন,মৈত্রেয়ী তার রোজগারের সমস্ত টাকা
মৈনাকের মায়ের চিকিৎসায় খরচায় খরচ করেছিল,কোন এক বসন্তের মনমাতানো চৈতী হাওয়ায় তাঁরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়েছিলেন,
:
"মাথার উপরে তরুবিথীকার
কোকিল কুহরী ওঠে বারবার,
এতদিন পরে আজি কি তাঁহার এল অভিসার রাত্রি "
:
আজ মৈত্রেয়ী তার প্রায়শ্চিত্ত করতে চায়,এডস রোগাক্রান্ত।
:
"নিদারুণ রোগে মারীগুটিকায় ভরে গেছে তার অঙ্গ,"

তাই তো এসেছেন আজ
"আজি রজনীতে হয়েছে সময়," অনুতপ্ত রোগাক্লান্ত
মৈত্রেয়ী কে ফিরিয়ে আনার।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

সম্পাদিকার ডেস্ক থেকে

উৎসবের আলোড়ন কিছুটা স্তিমিত , তবুও মনের অলিন্দে হৈমন্তী স্বপ্ন । বারো মাসের তেরো পার্বণ প্রায় শেষ মুখে , উৎসব তিথি এখন অন্তিম লগ্ন যাপনে ব...