আকাশ,
আরো এক বসন্তের ছোঁয়া না ছোঁয়া!অনেকগুলো স্মৃতি -মেদুর দিন,ভালোলাগা -মন কেমন করা -অভিমান, আবার আষ্ঠে-পৃষ্ঠে রূপকথা হয়ে যাওয়া!
মনে পড়ে আমরা যখন দুর্গাপুরের এ জোন থেকে বি জোন,হর্ষবর্ধন থেকে চণ্ডীদাস হেঁটে বেড়াতাম ঘণ্টার পর ঘণ্টা --মনে হত এযে অনুপম ঋতুর রঙ্গভূমি! তখন দুর্গাপুর অসংখ্য গাছে ঘেরা ছিল ।শীতের বাহু ছিন্ন করে বসন্তের ছোঁয়ায় যখন রিক্ত গাছগুলো কচি পাতায় ভরে উঠত।চারদিকে আম্রকুঞ্জ, জামের বাগানে, আরো কত নাম না জানা গাছ মুকুলে ভরে যেত।আমি তোমাকে মুকলের গন্ধ চেনাতাম।সমস্ত মুকলের গন্ধ -বিধুর রোমাঞ্চে -আবেশে আমরা ভরে যেতাম ।
আমরা ইচ্ছা করে ঝরা পাতার উপর উপর হেঁটে যেতাম ।অরণ্যের পত্র মর্মরে জাগত প্রলাপ মুখর রোমাঞ্চ।কখনও কখনো তুমি অভিভাবক সুলভ নিষেধের বেড়াজাল দিয়ে বলতে, "শীত চলে গেছে, শুকনো পাতার নীচে সাপ থাকতে পারে!"আমি চপল বালিকার মত তোমার নিষেধ মানতাম না।এখনো শুকনো পাতার উপর হাঁটতে ভালবাসি।বসন্ত!!!
চারদিকে শিমুল -পলাশে আগুন ঝরা লাল হয়ে উঠত।অশোক -শিমুল -কৃষ্ণচূড়ার রক্তিম উচ্ছাসে আমরা ভেসে যেতাম।কদম গাছ ছিল আমাদের কোয়ার্টারের সামনে,আমি ওর নাম দিয়েছিলাম ঋতুরাজ -তোমার মনে আছে?
'তানসেনের 'রাস্তার পাশে নারকেল পাতায় ঘেরা একটা চায়ের দোকান ছিল ।তার দুপাশে ছিল সজনে গাছ।ফুলে ভরা দুটো গাছই দোকানের উপর ঝুঁকে পড়ত ।অদ্ভুত ছিল সারা বছরই গাছগুলো ফুলে ফলে ভরে থাকত।আর ছিল দোকানের সামনে একটা মাধবীলতা গাছ।কি ফুল!কি ফুল!ফুলের ভারে ,গন্ধের বন্যায় উথাল পাথাল ।দোকানের সামনে একটা অব্যবহৃত সিমেন্টের লাইট পোস্ট ।অলিখিত বসার স্থান ।আমরা চা খেতাম আমাদের রূপকথাদের সঙ্গে নিয়ে ।
দুর্গাপুরে খুব সুন্দর বসন্তোৎসব হত।নির্দিষ্ট দিনে লাল-হলুদ পোশাক পরে ছেলে মেয়েরা যেত নৃত্য করতে করতে-"নীল দিগন্তে ওই ফুলের আগুন লাগল।/বসন্তে সৌরভের শিখা জাগল।" কি অসাধারণ মুর্চ্ছনা ঐ গানে! আমার কানে এখনও বাজে।
তুমি নিশ্চয়ই ভুলে যাওনি পলাশ আমার ভালবাসা-আমার প্রিয়।সেই ছোট্ট পলাশ গাছটা এখনও আমার কাছে আছে ।পত্রে,শাখায় যৌবনোদ্দীপ্ত বসন্তের বিজয় পতাকা নিয়ে সাড়ম্বরে ।
আজ কেমন যেন স্মৃতি বিলাসে পেয়ে বসছে মন।সময়ের বিবর্তনে পাল্টে যাওয়া মন ..... । আজ ও ছোট স্মৃতি গুলোর অপূর্ব প্রকাশ -কে আঁকড়ে আগে ।
ধরিত্রী --
আরো এক বসন্তের ছোঁয়া না ছোঁয়া!অনেকগুলো স্মৃতি -মেদুর দিন,ভালোলাগা -মন কেমন করা -অভিমান, আবার আষ্ঠে-পৃষ্ঠে রূপকথা হয়ে যাওয়া!
মনে পড়ে আমরা যখন দুর্গাপুরের এ জোন থেকে বি জোন,হর্ষবর্ধন থেকে চণ্ডীদাস হেঁটে বেড়াতাম ঘণ্টার পর ঘণ্টা --মনে হত এযে অনুপম ঋতুর রঙ্গভূমি! তখন দুর্গাপুর অসংখ্য গাছে ঘেরা ছিল ।শীতের বাহু ছিন্ন করে বসন্তের ছোঁয়ায় যখন রিক্ত গাছগুলো কচি পাতায় ভরে উঠত।চারদিকে আম্রকুঞ্জ, জামের বাগানে, আরো কত নাম না জানা গাছ মুকুলে ভরে যেত।আমি তোমাকে মুকলের গন্ধ চেনাতাম।সমস্ত মুকলের গন্ধ -বিধুর রোমাঞ্চে -আবেশে আমরা ভরে যেতাম ।
আমরা ইচ্ছা করে ঝরা পাতার উপর উপর হেঁটে যেতাম ।অরণ্যের পত্র মর্মরে জাগত প্রলাপ মুখর রোমাঞ্চ।কখনও কখনো তুমি অভিভাবক সুলভ নিষেধের বেড়াজাল দিয়ে বলতে, "শীত চলে গেছে, শুকনো পাতার নীচে সাপ থাকতে পারে!"আমি চপল বালিকার মত তোমার নিষেধ মানতাম না।এখনো শুকনো পাতার উপর হাঁটতে ভালবাসি।বসন্ত!!!
চারদিকে শিমুল -পলাশে আগুন ঝরা লাল হয়ে উঠত।অশোক -শিমুল -কৃষ্ণচূড়ার রক্তিম উচ্ছাসে আমরা ভেসে যেতাম।কদম গাছ ছিল আমাদের কোয়ার্টারের সামনে,আমি ওর নাম দিয়েছিলাম ঋতুরাজ -তোমার মনে আছে?
'তানসেনের 'রাস্তার পাশে নারকেল পাতায় ঘেরা একটা চায়ের দোকান ছিল ।তার দুপাশে ছিল সজনে গাছ।ফুলে ভরা দুটো গাছই দোকানের উপর ঝুঁকে পড়ত ।অদ্ভুত ছিল সারা বছরই গাছগুলো ফুলে ফলে ভরে থাকত।আর ছিল দোকানের সামনে একটা মাধবীলতা গাছ।কি ফুল!কি ফুল!ফুলের ভারে ,গন্ধের বন্যায় উথাল পাথাল ।দোকানের সামনে একটা অব্যবহৃত সিমেন্টের লাইট পোস্ট ।অলিখিত বসার স্থান ।আমরা চা খেতাম আমাদের রূপকথাদের সঙ্গে নিয়ে ।
দুর্গাপুরে খুব সুন্দর বসন্তোৎসব হত।নির্দিষ্ট দিনে লাল-হলুদ পোশাক পরে ছেলে মেয়েরা যেত নৃত্য করতে করতে-"নীল দিগন্তে ওই ফুলের আগুন লাগল।/বসন্তে সৌরভের শিখা জাগল।" কি অসাধারণ মুর্চ্ছনা ঐ গানে! আমার কানে এখনও বাজে।
তুমি নিশ্চয়ই ভুলে যাওনি পলাশ আমার ভালবাসা-আমার প্রিয়।সেই ছোট্ট পলাশ গাছটা এখনও আমার কাছে আছে ।পত্রে,শাখায় যৌবনোদ্দীপ্ত বসন্তের বিজয় পতাকা নিয়ে সাড়ম্বরে ।
আজ কেমন যেন স্মৃতি বিলাসে পেয়ে বসছে মন।সময়ের বিবর্তনে পাল্টে যাওয়া মন ..... । আজ ও ছোট স্মৃতি গুলোর অপূর্ব প্রকাশ -কে আঁকড়ে আগে ।
ধরিত্রী --
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন