শনিবার, ২৫ নভেম্বর, ২০১৭

দিনের শেষে - চন্দ্রিমা গুপ্ত

বেশ ব্যস্ততা ছিল সেই সময়টায়......শমিতার হাঁক ডাক, বাজার ঘাট করা, নাতিদের স্কুলবাসে তুলে দেওয়া, ওদের সঙ্গ দেওয়া ....এমনিভাবে কখন যে পার হয়ে যেত সময়! ছেলে ছেলের বউ যদিও বাড়িতে খুব কম সময় থাকত চাকরি ও আরো বিভিন্ন কারণে, তবে যেটুকু সময় থাকত জমিয়ে রাখত...একবার সিদ্ধেশ্বরবাবুকে জিন্সের প্যান্ট আর টি সার্ট পড়িয়ে ছেড়েছিল বৌমা! মেয়ের মত একমাত্র বৌমার আবদার রাখতে ওই পোশাক পড়ে সত্তর পেরিয়ে যাওয়া নিজেকে কেমন জোকার মনে হয়েছিল সিদ্ধেশ্বরবাবুর,সেদিন তবু বেশ লাগছিল ভাবতে বড় বড় পকেটওলা প্লেট দেওয়া ট্রাউশার পড়া বাবুটি চাপা জিন্স আর টি সার্টে অন্য এক চেহারায়!

দিনগুলো কেমন তরতরিয়ে কেটে গেলো ....."আশিতে আসিও না" কথাটাকে তুড়ি মেরে সিদ্ধেশ্বরবাবু এখন ছিয়াশির কোঠায়,শমিত আল্জাইমার রোগে আক্রান্ত...বেঁচে মরে আছে মানুষটা...সৌমিক তার পরিবার নিয়ে অস্ট্রেলিয়ায়:

জানলার ধারে দাঁড়িয়ে সিদ্ধেশ্বরবাবু আকাশের দিকে তাকিয়ে ভাবছিলেন মেঘেরা সত্যি কত মুক্ত, নিজের মত করে ভাসে আকাশের গায়ে! সিদ্ধেশ্বরবাবু আসটে পৃষ্ঠে বাঁধা পড়েছেন সংসার জালে......একাকিত্বের যন্ত্রণা কাটাতে মুক্তিও চাইতে পারেন না! সমিতা যে তাঁর চেয়েও অসহায়...... সৌমকদের ভীষণ কাছে পেতে ইচ্ছে হচ্ছে, ল্যাপটপ এর ছোট্ট স্ক্রীনে ছোট হতে হতে ক্রমশ দুরে সরে যাচ্ছে ওরা
......... 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

সম্পাদিকার ডেস্ক থেকে

উৎসবের আলোড়ন কিছুটা স্তিমিত , তবুও মনের অলিন্দে হৈমন্তী স্বপ্ন । বারো মাসের তেরো পার্বণ প্রায় শেষ মুখে , উৎসব তিথি এখন অন্তিম লগ্ন যাপনে ব...