বৃহস্পতিবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

সে যে চলে গেল বলে গেল না - সিলভিয়া ঘোষ

ঈশান কোণের মেঘগুলো যখন মনখারাপের বিকেল সাজিয়ে আনে তখন ব্যালকোনিতে দাঁড়িয়ে অকারণেই ভিজতে থাকি, হেড ফোনে শুনতে থাকি 'বাত নিকলি হ্যায় তো'/জগজিৎ সিং...... 
চোখের জল মিশে যায় বৃষ্টির জলে। সামনের মাঠটায় বৃষ্টির জলে ফুটবল খেলতে থাকে সম বয়েসী শৈশব।
কতটা জীবন্ত সজীব ওরা। দুঃখ কষ্টগুলো ওদের ছুঁতে পারে না। ওদের মতোন তোলপাড়় করা বিকেলগুলো ফিরে পেতে চাওয়া আজ ভীষণ ভাবে দরকার , শোক-তাপগুলোকে যদি ভুলে যেতে পারতাম..... 
শোকগুলোকে সাজিয়ে রেখেছি মনের শো কেসে।তাকে হাত দিতে দেই না, ছুঁতে দেই না কাউকেই। ও যে একান্তই আমার ।মাঝে মাঝে ও কে ঝেড়ে মুছে তুলে রাখি। ব্যস্ত জীবনে দুঃখ প্রকাশ শখের বিলাসীতা মাত্র। তবুও সেই মাস, সেই দিন আজ উনিশ বছর ধরে নিজের অজান্তেই বালিশের ওয়াড় ভিজিয়ে চলেছে। সময় তোর জায়গায় নতুন কে স্থান করে দিলেও প্রথম অনুভূতিরা, না থাকার যন্ত্রণারা আজও দাগ কেটে বসে আছে শরীরে, মনে। জানি হয়তো কোন জন্মের ঋণ শোধ করতেই এসেছিলি তুই, শিখিয়ে গেছিস জীবনের অনেক বড় শিক্ষা। বিনা কষ্টে, প্রার্থনায় যে উপহার ঈশ্বর দিয়ে থাকেন তাকে অতি যত্নে, আদরে লালন করতে হয়, না হলে --সে চাঁদের দেশে চলে যায়, নতুন আলো নিয়ে চোখে প্রতি জোছনায় আমাকে আলো দিয়ে ভরিয়ে দেয়...... 

আমি সব ভুলে যাই, কাজল আঁকি চোখে, লুকিয়ে রাখি গোপন শোক, নতুন কাপড় পরি, ষষ্ঠীব্রতো পালন করি, সন্ধি পুজোর প্রদীপ জ্বালিয়ে এজন্মে না হোক আর জন্মে ফিরে পেতে চাই বলে মনে মনে বলি মা রে আবার আসিস আমার কাছে....... 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

সম্পাদিকার ডেস্ক থেকে

উৎসবের আলোড়ন কিছুটা স্তিমিত , তবুও মনের অলিন্দে হৈমন্তী স্বপ্ন । বারো মাসের তেরো পার্বণ প্রায় শেষ মুখে , উৎসব তিথি এখন অন্তিম লগ্ন যাপনে ব...