মল্লিকা কেবিনে ঢুকেই বললেন ‚ চল সুমি ‚ তোর ছুটি হয়ে গেছে | সুজন যাকিছু নিয়ম-কানুন সব বুঝে টাকা মিটিয়ে আসছে |
অবাক চোখে মায়ের দিকে তাকিয়ে সুমিতা বলে ‚ মা এরমধ্যে সুজন কেন ?
যে মানুষটা ‚ এই তিনমাসের মধ্যে আমার কোন খোঁজ নেয়নি......
ওরে নারে পাগলী ‚ ওতো রোজই আমার কাছে তোর খোঁজ নিত | এমনকি নার্সিংহোমেও তো ঐ নিয়ে এসে ভর্তি করা থেকে শুরু করে ‚ তোর বাচ্চা হওয়া........ উদভ্রান্তের মত ‚ সারাটাদিন ‚ এখানেই কাটিয়েছে | তোকে আর বাচ্চাকে ‚ সুস্থ দেখে তবে ফিরেছে | এক-কাপ চা-অবধি খাওয়ানো যায়নি |
পিছনের সীটে মায়ের সঙ্গে বসে ‚ নিজের মনেমনে ভাবে সুমিতা ‚সেদিনের ঘটনাটা........
নতুনফ্ল্যাটে ঢুকে থেকেই ঘর-সাজানোর নেশায় পেয়ে বসেছিল | নিউ-মার্কেটের পুরনো জিনিষের দোকান থেকে কত দামীদামী মুর্তি সংগ্রহ করেছি |
সুজনের , এতো তাড়াতাড়ি দামী জিনিষপত্র কেনায় প্রথম থেকেই আপত্তি ছিল |
| অশান্তির শুরু সেখানেই | রাগে একদিন বলেওছিলাম ‚ আমার টাকা দিয়ে আমি যা-খুশি করবো....
তারপর সেদিন আড়াইফুটের ব্রোঞ্জের নটরাজটা ওর সামনে আনতেই ‚ দামটা দেখে ‚ প্রচন্ড রাগে.....পনেরোহাজার_____বলেই টানমেরে ফেলে দিয়েছিল |
আমিও হতবাক__________প্লাষ্টারের মুর্তি খানখান হয়ে যেতেই । অপমানে ‚ রাগে আত্মহারা হয়ে ছুটে চলে গেছিলাম ‚ মায়ের কাছে |
পরে জেনেছিলাম ‚ দোকানীর দোষ ছিলনা ‚ আসলটা আগের দিনই কেউ পাচার করে দিয়েছিল | উনি আমাকে ক্ষতিপূরণও দিয়েছেন....
ঘরে ঢোকার মুখে ‚ সুজন ‚ হাত দিয়ে সুমির চোখটা আড়াল করে আস্তেআস্তে বিছানার সামনে গিয়ে ছেড়ে দেয়...
সুমি অবাক হয়ে দেখে ‚ ওর সামনে একটা ঝকঝকে ব্রোঞ্জের তিন-ফুটের নটরাজ ...
সুমি আর নিজেকে ধরে রাখতে পারেনা...
সুজনকে জড়িয়ে ধরে বলে ‚ আমাকে ক্ষমা করে দাওগো ‚ আমার ভুলটা বুঝে , নিজেই শুধরে নিয়েছি ।সুজন দুহাতে সুমিকে , আরো কাছে টেনে নেয় ।
অবাক চোখে মায়ের দিকে তাকিয়ে সুমিতা বলে ‚ মা এরমধ্যে সুজন কেন ?
যে মানুষটা ‚ এই তিনমাসের মধ্যে আমার কোন খোঁজ নেয়নি......
ওরে নারে পাগলী ‚ ওতো রোজই আমার কাছে তোর খোঁজ নিত | এমনকি নার্সিংহোমেও তো ঐ নিয়ে এসে ভর্তি করা থেকে শুরু করে ‚ তোর বাচ্চা হওয়া........ উদভ্রান্তের মত ‚ সারাটাদিন ‚ এখানেই কাটিয়েছে | তোকে আর বাচ্চাকে ‚ সুস্থ দেখে তবে ফিরেছে | এক-কাপ চা-অবধি খাওয়ানো যায়নি |
পিছনের সীটে মায়ের সঙ্গে বসে ‚ নিজের মনেমনে ভাবে সুমিতা ‚সেদিনের ঘটনাটা........
নতুনফ্ল্যাটে ঢুকে থেকেই ঘর-সাজানোর নেশায় পেয়ে বসেছিল | নিউ-মার্কেটের পুরনো জিনিষের দোকান থেকে কত দামীদামী মুর্তি সংগ্রহ করেছি |
সুজনের , এতো তাড়াতাড়ি দামী জিনিষপত্র কেনায় প্রথম থেকেই আপত্তি ছিল |
| অশান্তির শুরু সেখানেই | রাগে একদিন বলেওছিলাম ‚ আমার টাকা দিয়ে আমি যা-খুশি করবো....
তারপর সেদিন আড়াইফুটের ব্রোঞ্জের নটরাজটা ওর সামনে আনতেই ‚ দামটা দেখে ‚ প্রচন্ড রাগে.....পনেরোহাজার_____বলেই টানমেরে ফেলে দিয়েছিল |
আমিও হতবাক__________প্লাষ্টারের মুর্তি খানখান হয়ে যেতেই । অপমানে ‚ রাগে আত্মহারা হয়ে ছুটে চলে গেছিলাম ‚ মায়ের কাছে |
পরে জেনেছিলাম ‚ দোকানীর দোষ ছিলনা ‚ আসলটা আগের দিনই কেউ পাচার করে দিয়েছিল | উনি আমাকে ক্ষতিপূরণও দিয়েছেন....
ঘরে ঢোকার মুখে ‚ সুজন ‚ হাত দিয়ে সুমির চোখটা আড়াল করে আস্তেআস্তে বিছানার সামনে গিয়ে ছেড়ে দেয়...
সুমি অবাক হয়ে দেখে ‚ ওর সামনে একটা ঝকঝকে ব্রোঞ্জের তিন-ফুটের নটরাজ ...
সুমি আর নিজেকে ধরে রাখতে পারেনা...
সুজনকে জড়িয়ে ধরে বলে ‚ আমাকে ক্ষমা করে দাওগো ‚ আমার ভুলটা বুঝে , নিজেই শুধরে নিয়েছি ।সুজন দুহাতে সুমিকে , আরো কাছে টেনে নেয় ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন