"যাও পাখি বলো হাওয়া ছলোছলো আবছায়া জানলার কাঁচ আমি কি আমাকে হারিয়েছি বাঁকে রূপকথা আনাচ কানাচ ---", প্রিয় গানটা গুনগুন করতে করতে আলমারিটা খোলে শ্রাবন্তী।
অলিভ সবুজ জামদানিটা বার করেও আবার ঢুকিয়ে দেয়।এটা সন্দীপের বড় প্রিয়় ছিল, মুগ্ধদৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকতো।
না, এটা আর পড়বেনা ও।
অবশেষে মভরঙের তসরটাই বেছে নেয় আজকের অনুষ্ঠানের জন্য।আজ তার জীবনের একটা স্পেশাল দিন!
সাহিত্যের জন্য বিশেষ সম্মান ও একটা মোটা অঙ্কের অর্থ পুরস্কার দিচ্ছে বাঙলা সাহিত্য অ্যাকাডেমি।
মনে পড়ে এরকমই এক অনুষ্ঠানে কবিতাপাঠের আসর থেকে ফিরতে রাত হওয়ায় সমুদ্র তাকে বাড়ি পৌঁছে দিয়েছিল।
সন্দীপ সেদিন চরম অশান্তি করেছিল। আস্তে আস্তে সম্পর্কের অবনতি ঘটে এবং শেষমেশ তারা আলাদাও হয়ে যায়।
----
আজ বাঙলা চ্যানেলগুলোয় তাকে নিয়ে একটু হলেও আলোচনা হচ্ছে।
হাতে রিমোট নিয়ে অলসভাবে সার্ফিং করছিল শ্রাবন্তী।
একটা লোকাল চ্যানেলে চোখটা আটকে গেল, এ কাকে দেখছে ও! কি শুনছে! ঋদ্ধি! ওর ছেলে, ওর কবিতাপাঠ করছে, ---
"মধ্যরাত্রি
ডায়েরীর ইতস্তত ছেঁড়া পাতায় কর্তিত জিহ্বার ঘ্রাণ
অযাচিত ক্রমব্যবহারের পর
স্নায়ু ক্লান্ত হয় … ন্যুনতম শব্দগুলিকেও আলোচনা’ মনে হয়
তবুও অক্ষরের মৃত্যুকাল পেরিয়ে
কবিতা’র উদযাপন সম্ভবপর হয় …… স্রোতের উজানে "
সমস্ত শরীর দিয়ে কবিতাটা শুনলো শ্রাবন্তী।চোখদুটো জলে একাকার।
উফ, এই চোখের জলগুলো এমন অসময়ে আসে--- আমার ঋদ্ধিটাকে দুচোখ ভরে দেখি ---
" কনগ্রাচুলেশনস মা! আই লাভ ইউ" ---কানের ভিতর দিয়ে মরমে পশিল যেন।
এই ছেলেকে ওরা কেড়ে নিয়েছিল, মা ব্যভিচারী এই অপবাদে ।
শ্রাবন্তীর মনে হল, এইমাত্র ও পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ পুরস্কারটা পেয়ে গেল।
অলিভ সবুজ জামদানিটা বার করেও আবার ঢুকিয়ে দেয়।এটা সন্দীপের বড় প্রিয়় ছিল, মুগ্ধদৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকতো।
না, এটা আর পড়বেনা ও।
অবশেষে মভরঙের তসরটাই বেছে নেয় আজকের অনুষ্ঠানের জন্য।আজ তার জীবনের একটা স্পেশাল দিন!
সাহিত্যের জন্য বিশেষ সম্মান ও একটা মোটা অঙ্কের অর্থ পুরস্কার দিচ্ছে বাঙলা সাহিত্য অ্যাকাডেমি।
মনে পড়ে এরকমই এক অনুষ্ঠানে কবিতাপাঠের আসর থেকে ফিরতে রাত হওয়ায় সমুদ্র তাকে বাড়ি পৌঁছে দিয়েছিল।
সন্দীপ সেদিন চরম অশান্তি করেছিল। আস্তে আস্তে সম্পর্কের অবনতি ঘটে এবং শেষমেশ তারা আলাদাও হয়ে যায়।
----
আজ বাঙলা চ্যানেলগুলোয় তাকে নিয়ে একটু হলেও আলোচনা হচ্ছে।
হাতে রিমোট নিয়ে অলসভাবে সার্ফিং করছিল শ্রাবন্তী।
একটা লোকাল চ্যানেলে চোখটা আটকে গেল, এ কাকে দেখছে ও! কি শুনছে! ঋদ্ধি! ওর ছেলে, ওর কবিতাপাঠ করছে, ---
"মধ্যরাত্রি
ডায়েরীর ইতস্তত ছেঁড়া পাতায় কর্তিত জিহ্বার ঘ্রাণ
অযাচিত ক্রমব্যবহারের পর
স্নায়ু ক্লান্ত হয় … ন্যুনতম শব্দগুলিকেও আলোচনা’ মনে হয়
তবুও অক্ষরের মৃত্যুকাল পেরিয়ে
কবিতা’র উদযাপন সম্ভবপর হয় …… স্রোতের উজানে "
সমস্ত শরীর দিয়ে কবিতাটা শুনলো শ্রাবন্তী।চোখদুটো জলে একাকার।
উফ, এই চোখের জলগুলো এমন অসময়ে আসে--- আমার ঋদ্ধিটাকে দুচোখ ভরে দেখি ---
" কনগ্রাচুলেশনস মা! আই লাভ ইউ" ---কানের ভিতর দিয়ে মরমে পশিল যেন।
এই ছেলেকে ওরা কেড়ে নিয়েছিল, মা ব্যভিচারী এই অপবাদে ।
শ্রাবন্তীর মনে হল, এইমাত্র ও পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ পুরস্কারটা পেয়ে গেল।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন