সোমবার, ৩ জুলাই, ২০১৭

ন হন্যতে __ রিক্তা চক্রবর্তী



আজ তিন মাস হল । 
' ব্লুমফিল্ড ' নার্সিং হোমের দোতলার কোণের ঘরটায় মিতুলের দুধ সাদা শরীরটা ঝরে পড়ার অভিমুখে এক একটি স্তব্ধ পদক্ষেপ নির্মাণ করছে ...
আজ সকালেই রুটিন চেকআপের পর ডাক্তার সান্যালের মুখের দিকে তাকিয়ে উত্তরটা পেয়েই গেছে মিতুল । মা'ও একরকম হাল ছেড়েই দিয়েছিলেন মাস দুয়েক আগে , উপমা দেওয়া হীরের আংটি নয় মিতুল ... তাই তার পিছনে একতরফা ইনভেস্টমেন্টে লাভই বা কি ? 

মনে হচ্ছে বৃষ্টি নামবে । জানলার পাশের অমলতাস গাছটা ( যার বৈজ্ঞানিক নাম Cassia fistula নামটা একেবারেই পছন্দ নয় মিতুলের ) তার সোনালী আভা বিচ্ছুরণের মধ্যস্থতায় এই একাকী মেঘলা বিকেলটাকেও কেমন সোনারঙে ভরিয়ে তুলেছে !

আজকাল নিঃশ্বাস নিতে গেলে খুব কষ্ট হয় মিতুলের । পাঁজর অব্দি ছড়িয়ে পড়েছে মারণ অসুখ । 
সৌরভের দেওয়া বইটা বুকর‍্যাক থেকে হাত বাড়িয়ে নেয় মিতুল ------ 

" মধ্যরাত্রি
ডায়েরীর ইতস্তত ছেঁড়া পাতায় কর্তিত জিহ্বার ঘ্রাণ
অযাচিত ক্রমব্যবহারের পর
স্নায়ু ক্লান্ত হয়… ন্যুনতম শব্দগুলিকেও আলোচনা’ মনে হয়
তবুও অক্ষরের মৃত্যুকাল পেরিয়ে
কবিতা’র উদযাপন সম্ভবপর হয়… স্রোতের উজানে " 

ব্লু এপ্রনে সাজিয়ে মিতুল কে বাইরে আনেন সিস্টার । 
নীল রঙ বড় ভালোবাসতো মেয়েটা ! আজ সকালে মিতুলের নিষ্প্রাণ শরীরটা নীল কাগজ ফুলে সাজিয়েছে সৌরভ , তখনও মিতুলের হাতে ধরা ' শেষ আলো সাম্পান ' ... তার প্রিয় কবির প্রিয় বইটি । 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

সম্পাদিকার ডেস্ক থেকে

উৎসবের আলোড়ন কিছুটা স্তিমিত , তবুও মনের অলিন্দে হৈমন্তী স্বপ্ন । বারো মাসের তেরো পার্বণ প্রায় শেষ মুখে , উৎসব তিথি এখন অন্তিম লগ্ন যাপনে ব...