'বসন্ত তার গান লিখে যায়
ধূলির পরে’ -----
ধূলির পরে’ -----
রবীন্দ্রনাথের নিজের এই কথা থেকেই স্পষ্ট , প্রেমিক বসন্ত তার প্রেমের গান লিখে চলে মধুর এ পৃথিবীর বুকে ... অবারিত গুঞ্জনে ।
আকাশে বাতাসে এখন ফাগুনিয়া আলাপ ... জ্যোৎস্নাধারায় এখন ঝর্ণার মিলন কলতান ... দৈনন্দিন জীবনের অমানিশা ভেদ করে আকাশে বাতাসে এখন ’ঋতুরাজ বসন্তের রঙ-বিলাস ।
' আহা, আজি এ বসন্তে এত ফুল ফুটে,
এত বাঁশি বাজে, এত পাখি গায়,
সখীর হৃদয় কুসুম-কোমল--
কার অনাদরে আজি ঝরে যায়।
কেন কাছে আস, কেন মিছে হাস,
কাছে যে আসিত সে তো আসিতে না চায় '
এত বাঁশি বাজে, এত পাখি গায়,
সখীর হৃদয় কুসুম-কোমল--
কার অনাদরে আজি ঝরে যায়।
কেন কাছে আস, কেন মিছে হাস,
কাছে যে আসিত সে তো আসিতে না চায় '
১২৯৫ এর অঘ্রাণে রচিত , এ গানটি স্থান পায় মায়ার খেলা ' তেও ... রবীন্দ্রনাথ তখন দার্জিলিঙে ... পাহাড়ে সমতলে সদ্য উন্মোচিত আম্র-মুকুলের বসন্ত ঘ্রাণ কবির মনন থেকে এ গানে সঞ্চারিত ।
বসন্ত ' যেমন প্রেমের ঋতু , তেমনই বসন্ত বিরহেরও ঋতু ...
'সুখে আছে যারা, সুখে থাক্ তারা,
সুখের বসন্ত সুখে হোক সারা,
দুখিনী নারীর নয়নের নীর
সুখী জনে যেন দেখিতে না পায় '
সুখের বসন্ত সুখে হোক সারা,
দুখিনী নারীর নয়নের নীর
সুখী জনে যেন দেখিতে না পায় '
আর এই বসন্তেই কাজি নজরুলের কলমে উদ্ভাসিত নারী'র জগৎ-মোহিনী রূপটিরও ...
'আমি নারী, আমি মহীয়সী,
আমার সুরে সুর বেঁধেছে জ্যোৎস্নাবীণায় নিদ্রাবিহীন শশী।
আমি নইলে মিথ্যা হত সন্ধ্যাতারা-ওঠা,
মিথ্যা হত কাননে ফুল-ফোটা'
আমার সুরে সুর বেঁধেছে জ্যোৎস্নাবীণায় নিদ্রাবিহীন শশী।
আমি নইলে মিথ্যা হত সন্ধ্যাতারা-ওঠা,
মিথ্যা হত কাননে ফুল-ফোটা'
এরই মাঝে ২৬ শে মার্চ রোদ্দুর ' পা রাখলো দ্বিতীয় বর্ষে ... দীর্ঘ চব্বিশটি মাস রোদ্দুরের পাশে যারা ছিলেন , আছেন এবং থাকবেন ... সকল কে জানাই আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ।
কলমের মধ্যস্থতায় উন্মীলিত হোক ... সাহিত্যের নবতম অলিন্দটি ।
শুভেচ্ছান্তে ,
পিয়ালী বসু
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন