বৃহস্পতিবার, ৩০ মার্চ, ২০১৭

একলা ---- ব্রততী সান্যাল

উজান স্রোতে বৈঠা বেয়ে পড়ন্ত হয় সদ্যজাত ভোর, 
নীলাভ ঢেউ-ভাঙা সশব্দ ধারায়
কাঙ্খিত মোহনার কাল্পনিক পরিসর ছুঁয়ে, 
ছলাৎ শব্দে বয়ে চলে শ্রান্তিহীন নদী.. 

ভাঙা সাঁকোর ওপারেও দুপুর নিঝুম হয়, 
উষ্ণতার ছাঁচে রঙ বদলায় চেনা আকাশ.. 
ঝাউগাছের ফাঁকে বাসা বাঁধে নির্বিবাদী মেঘ, 

পালবিহীন নৌকা উপকূল ঘেঁষে পড়ে থাকে, 
সীমাহীন সুদূরে তার ভাসার ছিল বুঝি, 
বুক ভরে নেওয়ার ছিল দেশান্তরের শ্বাস.. 

নিরুদ্দিষ্ট মাঝির অবয়ব ছায়া ফেলে না দিনান্তে, 
শিশিরভেজা সকাল-রোদেও দেখা যায় না পদচিহ্ন, 
পরিত্যক্ত পাটাতন জোৎস্নাস্নাত বিন্যাসে পড়ে থাকে.. 

মুহূর্তে মুহূর্ত জুড়ে অস্তরেখা সুস্পষ্ট হয়, 
রাখালের মায়াবাঁশির সুর আপনিই থেমে যায়, 
নোঙর তবু তোলা হয় না.. 
বেঁচে থাকে আপাত ঘোলা জলছবির উপান্তে
সঙ্গীহীন নৌকার অঘোষিত উপন্যাস.. 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

সম্পাদিকার ডেস্ক থেকে

উৎসবের আলোড়ন কিছুটা স্তিমিত , তবুও মনের অলিন্দে হৈমন্তী স্বপ্ন । বারো মাসের তেরো পার্বণ প্রায় শেষ মুখে , উৎসব তিথি এখন অন্তিম লগ্ন যাপনে ব...