চারিদিকে এত অন্ধকার কেন । লাইটটা জ্বালাতে কি কষ্ট হয়? মুখে কুলুপ কেন? বোবা হয়ে গেছিস? অসহ্য হয়ে যাচ্ছিস দিন কে দিন। মর তুই। একটানা যা খুশি বলে বেরিয়ে গেল মা। ধুরর আমার উঠতেই ইচ্ছে করছে না। অন্ধকার ঘর চরম শান্তি দিচ্ছে আমার শরীরে, মনে।আসলে মন খুব খারাপ। কেন? পরে বলছি। আগে একটু জল খাই। জানালার পর্দাটা দিই।অন্ধকার ঘরটায় হাল্কা আলো খেলছে বেশ। এ বাড়ি থেকে তিনটে বাড়ি পর মান্তুদের বাড়ি। ওর আজ বিয়ে। এমনিতে সুন্দর দেখতে ওদের বাড়িটা, সেটা আবার টুনি দিয়ে সাজানো হয়েছে। খুব সুন্দর লাগছে বাড়ি টা। মান্তুকেও লাগছে নিশ্চয়ই। মান্তু তো এ পাড়ার পরী ছিল। ওদের দামী আলো আমার পলেস্তারা খসা ঘরে অবজ্ঞার রোশনাই ছুড়ে দিচ্ছে।
যাকগে আমার কি আমি তো সেই তিমিরেই। নাম ও তিমির, জীবনটাও তিমিরেই। পেছন ঘসে অনেক কষ্টে একটা চাকরী জুটিয়েছি। আপাতত করছি । মাঝরাতে মা ঘুমোলে বাথরুমে যাই । পরের দিন আবার এক চক্রকারে ঘোরা।
কিরে দাদা মান্তুদির জন্য মন খারাপ? দোষটা তো তোরই। ফিরিয়ে দিয়েছিলি। চা খাবি নাকি? দাঁড়া নিয়ে আসি।
আমার বোন মিনু।চা আনতে গেল। বেশী মাত্রায় পেছনপক্ক। সব ব্যাপারে গম্ভীর মতামত ওর ।আর এখানে মজা হল আমার কথা শোনার মত সময় কারুর কাছে নেই। আমার হ্যাঁ বা না শোনার আগেই কথা শেষ হয়ে যায়। আমাদের বাবা মারা গেছেন। মা মোটেই নিরুপা রায় নয়। বোন ও ফরিদা জালাল নয়। প্রকাশ্যে মা বোনের চুলোচুলি দেখি ভাত খেতে খেতে। আমাদের টিভি নেই। নষ্ট হয়ে পড়ে আছে দোকানে।সময় কাটানোর উপাদান খারাপ নয়।
আমার বোন মিনু।চা আনতে গেল। বেশী মাত্রায় পেছনপক্ক। সব ব্যাপারে গম্ভীর মতামত ওর ।আর এখানে মজা হল আমার কথা শোনার মত সময় কারুর কাছে নেই। আমার হ্যাঁ বা না শোনার আগেই কথা শেষ হয়ে যায়। আমাদের বাবা মারা গেছেন। মা মোটেই নিরুপা রায় নয়। বোন ও ফরিদা জালাল নয়। প্রকাশ্যে মা বোনের চুলোচুলি দেখি ভাত খেতে খেতে। আমাদের টিভি নেই। নষ্ট হয়ে পড়ে আছে দোকানে।সময় কাটানোর উপাদান খারাপ নয়।
মিনু কে কিছু বলা চাপ। জ্ঞান দেবে। মান্তু কে না ফেরালে বিয়ে করতে হতো। অতো টাকা কোথায়! করি তো একটা রদ্দি চাকরী। তাও কি কম চেষ্টা করেছি, ওর ওই হাড় জিড়জিড়ে মা বাড়িতে ডেকে চা খাইয়ে বলল “ বাবা তুমি আমার বড় ছেলের মত বোনের বিয়েতে খাটতে হবে কিন্তু”। শালা আমি বেশ দেখেছি একদিন অঙ্ক শেখাতে শেখাতে মান্তু কে লিপলক শেখাচ্ছিলাম ওর মায়ের কুটিল চোখ ওৎ পেতে ধরে ফেলেছিল আমার দু চোখ। সেদিন টাকা মিটিয়ে দিয়ে আসতে বারণ করে দিয়েছিল বরাবরের মত। বলা হয়নি আমি মান্তু কে অঙ্ক করাতাম।
চা খেয়ে টান টান হয়ে শুয়ে সানাই শুনছিলাম। আহ বেশ । মন টা ভালো লাগছে এখন। হঠাৎ ফোন বেজে উঠল। চেনা নম্বর।
—হ্যালো।
—বিজি হো।
—না তুম বোলো
— আই মিস্ ইউ বেবী। মুয়াাহ।
—মি টু বেবী।
—হ্যালো।
—বিজি হো।
—না তুম বোলো
— আই মিস্ ইউ বেবী। মুয়াাহ।
—মি টু বেবী।
পুণম আমার নতুন বান্ধবী । ফোন করেছে। দুমাসের আলাপ। বিবাহিতা !আচ্ছা আজ আসি। দরজাটা বন্ধ করব এখন ,ওর সাথে কিছু কথা আছে।
আপনারা শ্রীজাত পড়ুন
ছিটকে এসে জামায় লাগুক
একের পর এক বান্ধবীদের সিঁদুর ।
একের পর এক বান্ধবীদের সিঁদুর ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন