শনিবার, ২৫ নভেম্বর, ২০১৭

গুরুপ্রণাম - সুস্মিতা কুণ্ডু

আজ এই শহুরে লোহা ইঁটের জঙ্গলকে চিরবিদায় জানাবে হিমানীশ। জানেনা ওর এই সিদ্ধান্ত ঠিক না ভুল। এত লোক এত আঙ্গুল তুলেছে ওর দিকে যে নিজের ওপর বিশ্বাসটাই হারাতে বসেছে। 
বিদেশে মোটা টাকা মাইনের কর্পোরেট চাকরি ছেড়ে দেওয়াটা সবার চোখে অপরাধ। বন্ধুরাও বলছে এত অল্প বয়সে এত ঐশ্বর্য আয়ত্তে রাখতে না পেরে মাথাটাই গেছে হিমানীশের। 
অবিলম্বে একটা বিয়ে করে সংসার পাতার পরামর্শ দিচ্ছেন ওর অফিসের বস। এতেই নাকি ওর মঙ্গল, তবেই নাকি ও শুধরোবে।

ট্রেনের হুইসলে চিন্তাসূত্রটা ছিন্ন হল হিমানীশের। নির্ধারিত সময়ের অনেক পরে হ’লেও ট্রেনটা এসেছে। ঠিক যেমন অনেক দেরীতে হ’লেও হিমানীশ ফিরে যাচ্ছে সেই দূর গ্রামে, ফাদার ডিস্যুজার চার্চে, যেখানে অনাথ মৃতপ্রায় হিমানীশকে পঁয়ত্রিশ বছর আগে কেউ ফেলে গেছিল। এক সপ্তাহ আগে চার্চ থেকে আসা একটা চিঠিতে লেখা ছিল ফাদার ডিস্যুজার চলে যাওয়ার কথা। একাই চালাতেন চার্চের সঙ্গের অনাথ আশ্রম এবং প্রাথমিক বিদ্যালয়টি। উনি চলে যাওয়াতে অনিবার্যরূপে বন্ধ হ’তে চলেছে হতভাগ্য শিশুগুলোর একমাত্র আশ্রয়। 

নাহ্, হিমানীশ পারবেনা তার পিতৃভূমিকে ত্যাগ করতে। ফাদার ডিস্যুজার স্থান নেওয়ার তার এই সিদ্ধান্ত সঠিক কী না তা নির্ণয় করবেন স্বয়ং ঈশ্বর। 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

সম্পাদিকার ডেস্ক থেকে

উৎসবের আলোড়ন কিছুটা স্তিমিত , তবুও মনের অলিন্দে হৈমন্তী স্বপ্ন । বারো মাসের তেরো পার্বণ প্রায় শেষ মুখে , উৎসব তিথি এখন অন্তিম লগ্ন যাপনে ব...