প্রতিদিনের মতো আজও মরুভূমির পাশে এসে দাঁড়িয়েছে ফুলমতিয়া।
ওদের গ্রামটার ঠিক পাশ দিয়েই বিস্তীর্ণ মরুভূমিটার একাংশ চলে গেছে।
ঠিক গোধূলির এই সময়টায় মরুভূমির পাশে এসে দাঁড়ানোটা কেমন যেন নেশা হয়ে গেছে ফুলমতিয়ার।
ওর মনে পড়ে, লালসিং তাকে একবার বলেছিল, উঠের পিঠে চড়ে এই মরুভূমি পেরিয়ে ও মোতিয়াকে নিয়ে দূরদেশে পাড়ি দেবে।চোখের জলটা মুছে নেয় ও।
মানুষটা যে ফিরবে বলে গেছে, যতদূর চোখ যায় ও চেয়ে থাকে একবুক আশা নিয়ে---
দূর দিগন্তে সূর্য তখন অস্ত যাচ্ছে, সেদিকে নির্নিমেষ চেয়ে থাকতে থাকতে হঠাৎ সচকিত হয়ে ওঠে ও।
কি দেখছে ? উঠের পিঠে চেপে একজন মানুষ যেন ওর গাঁয়ের দিকেই যাচ্ছে!
ও কি লাল সিং? তার একান্ত আপন পুরুষটি? ভেবেই ফুলমতিয়ার কিশোরী গাল দুটো লজ্জায় লাল হয়ে গেল। স্বামীর স্পর্শের শিহরণ যেন ও সারা শরীরে অনুভব করলো। নিজের দুটো হাত দিয়ে মুখটা চাপা দিলো।
-----
'মোতিয়া, এ মোতিয়া--আরে এ ফুলমোতি -- কিতনা দের তক শোয়েগি রে! যা, যাকে পানি লে আ--'
ধড়মড় করে উঠে বসে লালসিংয়ের বিধবা পত্নী কিশোরী ফুলমতিয়া।
-----
ভারত-পাকিস্তানের কোনো এক অনামী যুদ্ধে ভারতীয় সেনায় কর্মরত লালসিংয়ের ছিন্নভিন্ন দেহটা কফিনবন্দী হয়ে এমনই এক গোধূলিবেলায় তার গ্রামের বাড়িতে এসে পৌঁছেছিল ।
বাড়ির লোক বিশ্বাস করেছিল ওটাই লালসিংয়ের দেহ, শুধু ফুলমতিয়া মানতে পারেনি।
সে আজও পথ চেয়ে বসে আছে।
তার শোহর্ যে তাকে কথা দিয়েছিল সে ফিরবে!
ওদের গ্রামটার ঠিক পাশ দিয়েই বিস্তীর্ণ মরুভূমিটার একাংশ চলে গেছে।
ঠিক গোধূলির এই সময়টায় মরুভূমির পাশে এসে দাঁড়ানোটা কেমন যেন নেশা হয়ে গেছে ফুলমতিয়ার।
ওর মনে পড়ে, লালসিং তাকে একবার বলেছিল, উঠের পিঠে চড়ে এই মরুভূমি পেরিয়ে ও মোতিয়াকে নিয়ে দূরদেশে পাড়ি দেবে।চোখের জলটা মুছে নেয় ও।
মানুষটা যে ফিরবে বলে গেছে, যতদূর চোখ যায় ও চেয়ে থাকে একবুক আশা নিয়ে---
দূর দিগন্তে সূর্য তখন অস্ত যাচ্ছে, সেদিকে নির্নিমেষ চেয়ে থাকতে থাকতে হঠাৎ সচকিত হয়ে ওঠে ও।
কি দেখছে ? উঠের পিঠে চেপে একজন মানুষ যেন ওর গাঁয়ের দিকেই যাচ্ছে!
ও কি লাল সিং? তার একান্ত আপন পুরুষটি? ভেবেই ফুলমতিয়ার কিশোরী গাল দুটো লজ্জায় লাল হয়ে গেল। স্বামীর স্পর্শের শিহরণ যেন ও সারা শরীরে অনুভব করলো। নিজের দুটো হাত দিয়ে মুখটা চাপা দিলো।
-----
'মোতিয়া, এ মোতিয়া--আরে এ ফুলমোতি -- কিতনা দের তক শোয়েগি রে! যা, যাকে পানি লে আ--'
ধড়মড় করে উঠে বসে লালসিংয়ের বিধবা পত্নী কিশোরী ফুলমতিয়া।
-----
ভারত-পাকিস্তানের কোনো এক অনামী যুদ্ধে ভারতীয় সেনায় কর্মরত লালসিংয়ের ছিন্নভিন্ন দেহটা কফিনবন্দী হয়ে এমনই এক গোধূলিবেলায় তার গ্রামের বাড়িতে এসে পৌঁছেছিল ।
বাড়ির লোক বিশ্বাস করেছিল ওটাই লালসিংয়ের দেহ, শুধু ফুলমতিয়া মানতে পারেনি।
সে আজও পথ চেয়ে বসে আছে।
তার শোহর্ যে তাকে কথা দিয়েছিল সে ফিরবে!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন