লাস্ট কেমোটা নেওয়া সারা।নার্সিংহোমের ঠান্ডা ঘরের নীল আলোয় নার্সটি খাবার ট্রেটা ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া র সময়ে স্বভাবসিদ্ধ স্বরে গুডনাইট জানায়।
যন্ত্রণাক্লিষ্ট মুখে মৃদু হেসে বন্যা বিড়বিড় করে শুভ যামিনী....|
গৌরবর্না একঢাল লম্বা কালোচুল সব বিদায় নিয়েছে আজ বন্যার কাছ থেকে।আছে শুধু ওষুধ, পথ্য,যন্ত্রণা।ডাক্তারী ভাষায় ব্লাড ক্যান্সার, লিম্ফোমিয়া।
গৌরবর্না একঢাল লম্বা কালোচুল সব বিদায় নিয়েছে আজ বন্যার কাছ থেকে।আছে শুধু ওষুধ, পথ্য,যন্ত্রণা।ডাক্তারী ভাষায় ব্লাড ক্যান্সার, লিম্ফোমিয়া।
কতক্ষণ কেটে গেছে।ঘুম ঘুম চোখে কাঁচের মধ্যে দিয়ে চোখ বাইরে রাখে বন্যা।শরীরটা বেশ চাঙ্গা লাগছে।এই জগত, সংসার থেকে ছুটি চাইছে যেন তার অত্মরাত্মা।কি সেই লোক?ব্রঙ্মলোক?কোন এক অদৃশ্য বলয়ের মধ্যে বাধা পড়েছে তার অনুভব।অনেক কিছু করতে চাইছে বন্যা পারছে না।
সে ডাকছে তার ছেলে মেয়েকে, স্বামীকে।ওরা এতো কাঁদছে কেন?চুপ চুপ একদম চুপ।মরাকান্না জুড়েছে সব।উফ্ আমি কি মরে গেছি?এই দেখ্ উঠে বসছি তো!কিন্তু এ কি?এক বন্যা উঠে পড়লো,আর এক বন্যা তো উঠলো না।বন্যার শরীর রয়ে গেল... সে তো রয়ে গেল।উফ্ ভগবান!তাহলে আমি কি সত্যিই মারা গেছি?আর আমার এই সত্তাটা তাহলে আত্মা।আজ আত্মা তার শরীর থেকে, জীবন থেকে, আধার থেকে আলাদা।
সে ডাকছে তার ছেলে মেয়েকে, স্বামীকে।ওরা এতো কাঁদছে কেন?চুপ চুপ একদম চুপ।মরাকান্না জুড়েছে সব।উফ্ আমি কি মরে গেছি?এই দেখ্ উঠে বসছি তো!কিন্তু এ কি?এক বন্যা উঠে পড়লো,আর এক বন্যা তো উঠলো না।বন্যার শরীর রয়ে গেল... সে তো রয়ে গেল।উফ্ ভগবান!তাহলে আমি কি সত্যিই মারা গেছি?আর আমার এই সত্তাটা তাহলে আত্মা।আজ আত্মা তার শরীর থেকে, জীবন থেকে, আধার থেকে আলাদা।
বাহ্, আমার আত্মার আধার চললো শ্মশানযাত্রায়।আমি এখন এক মুসাফির আত্মা।সর্বত্র বিচরন আমার।মানবজীবনের পরমপাথেয় জীবন থেকে মুক্তি।বিদায় কর্মভূমি।আমি চলছি, চলছি এক অন্যলোকে।মহানির্বানের পথে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন