আত্মীয়- পরিজনদের সাথে বিশেষ কোন যোগ উপলক্ষে নদীয়া জেলার করিমপুরে গিয়েছিলাম ।
জলঙ্গি নদী-পাশেই 'ভবা পাগলার"আশ্রম।গান পাগল-সিদ্ধযোগী-অহম্ বোধ হীন।অগণিত মানুষ নৌকা ভাড়া করে,কেউবা পারানি নৌকাতে এসে জমায়েত উৎসব প্রাঙ্গণে ।কৃষ্ণনগর, তেহট্ট, পলাশী-চারিদিক থেকে হাজার হাজার মানুষ জমায়েত পুণ্য স্নান এবং পুণ্য উৎসবে যোগ দিতে।উৎসব আশ্রমের একটা ঘর বিশেষ পরিচিতি থাকার জন্য আমরা পেয়েছিলাম ।বর্ষা ঋতু,নদীর জলের স্ফীতি এমনিতেই বেশি ।তারপর সারা বছর শুকনো থাকা এইসব নদীর নব্যতা কম।জলের প্রচণ্ড স্রোত! গেস্ট হাউসের নিচেই নদীর ঢাল এবং ছোট একটা পার মতো।কিছু কিছু নৌকা এসে দাড়াচ্ছে
সকাল থেকে দেখছি গেস্ট হাউজের ঠিক নীচে নদীর জল ঘেঁষে একটা ছোট নৌকা।একটু নজর করতে দেখি ,একজন মহিলা শুয়ে আছেন ।জানতে পারলাম উনি অসুস্থ ।পরিবার বা প্রতিবেশীরা ওনাকে ছেড়ে পুণ্য অর্জনের আশায় উৎসবে মত্ত ।পাশ দিয়ে শত শত পুণ্যকামী যাচ্ছে, কিন্তু কেউ ওনাকে ছুঁয়ে দেখা দূরঅস্ত ,
তাকিয়েও দেখছে না।হয়তো সেই মানুষ টা কি জাত,কোন বর্ণের এই নিয়ে তাদের দ্বন্দ্ব আছে ।যেটা মানবতা থেকে অনেক বড় ধর্ম!
একটা কানাঘুষো শোনা যাচ্ছিল নদীতে জল বাড়ছে ।সবার মধ্যে একটা চাপা উৎকণ্ঠা ও ছিল।দুপুরের দিকে হঠাৎ আকাশ কালো মেঘে ছেয়ে গেল ।যেন কোন অশনি সংকেত! পলকেই দেখলাম ছোট একতলা বাড়ি সমান উচ্চতায় জল ছুটে আসছে, প্রচণ্ড গর্জন করতে করতে।জলচ্ছাস!জলচ্ছাস!তীব্র গতিতে ধেয়ে আসা জলের তোড়ে দুভাজ হয়ে গেল ছোট নৌকাটা।চারদিক জলে উথাল পাতাল ।
বিপর্যয়ের রাত ও একদিন শেষ হয় নতুন সূর্যের আগমনে।চারদিকে জল আর জল।মন্দিরের অনেকটাই ডুবে আছে জলের তলায় ।গেস্ট হাউসটা নিরাপদে উচ্চতার জন্য ।দিগন্তের কাছে ডাজ হওয়া ডাঙা নৌকা টা ভাসছে ।সেই অসহায়- অসুস্থ মানুষটা হয়তো হারিয়ে গেছে মানব-ধর্মের বিপুলতার মধ্যে!!
জলঙ্গি নদী-পাশেই 'ভবা পাগলার"আশ্রম।গান পাগল-সিদ্ধযোগী-অহম্ বোধ হীন।অগণিত মানুষ নৌকা ভাড়া করে,কেউবা পারানি নৌকাতে এসে জমায়েত উৎসব প্রাঙ্গণে ।কৃষ্ণনগর, তেহট্ট, পলাশী-চারিদিক থেকে হাজার হাজার মানুষ জমায়েত পুণ্য স্নান এবং পুণ্য উৎসবে যোগ দিতে।উৎসব আশ্রমের একটা ঘর বিশেষ পরিচিতি থাকার জন্য আমরা পেয়েছিলাম ।বর্ষা ঋতু,নদীর জলের স্ফীতি এমনিতেই বেশি ।তারপর সারা বছর শুকনো থাকা এইসব নদীর নব্যতা কম।জলের প্রচণ্ড স্রোত! গেস্ট হাউসের নিচেই নদীর ঢাল এবং ছোট একটা পার মতো।কিছু কিছু নৌকা এসে দাড়াচ্ছে
সকাল থেকে দেখছি গেস্ট হাউজের ঠিক নীচে নদীর জল ঘেঁষে একটা ছোট নৌকা।একটু নজর করতে দেখি ,একজন মহিলা শুয়ে আছেন ।জানতে পারলাম উনি অসুস্থ ।পরিবার বা প্রতিবেশীরা ওনাকে ছেড়ে পুণ্য অর্জনের আশায় উৎসবে মত্ত ।পাশ দিয়ে শত শত পুণ্যকামী যাচ্ছে, কিন্তু কেউ ওনাকে ছুঁয়ে দেখা দূরঅস্ত ,
তাকিয়েও দেখছে না।হয়তো সেই মানুষ টা কি জাত,কোন বর্ণের এই নিয়ে তাদের দ্বন্দ্ব আছে ।যেটা মানবতা থেকে অনেক বড় ধর্ম!
একটা কানাঘুষো শোনা যাচ্ছিল নদীতে জল বাড়ছে ।সবার মধ্যে একটা চাপা উৎকণ্ঠা ও ছিল।দুপুরের দিকে হঠাৎ আকাশ কালো মেঘে ছেয়ে গেল ।যেন কোন অশনি সংকেত! পলকেই দেখলাম ছোট একতলা বাড়ি সমান উচ্চতায় জল ছুটে আসছে, প্রচণ্ড গর্জন করতে করতে।জলচ্ছাস!জলচ্ছাস!তীব্র গতিতে ধেয়ে আসা জলের তোড়ে দুভাজ হয়ে গেল ছোট নৌকাটা।চারদিক জলে উথাল পাতাল ।
বিপর্যয়ের রাত ও একদিন শেষ হয় নতুন সূর্যের আগমনে।চারদিকে জল আর জল।মন্দিরের অনেকটাই ডুবে আছে জলের তলায় ।গেস্ট হাউসটা নিরাপদে উচ্চতার জন্য ।দিগন্তের কাছে ডাজ হওয়া ডাঙা নৌকা টা ভাসছে ।সেই অসহায়- অসুস্থ মানুষটা হয়তো হারিয়ে গেছে মানব-ধর্মের বিপুলতার মধ্যে!!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন