সমুদ্র.... বরাবরের পাগলামি রাই-এর সমুদ্রকে ঘিরে ।অথচ বিয়ের পর থেকে রচিত একবারও সমুদ্রে বেড়াতে নিয়ে আসে নি ।প্রতি বছর শুধু পাহাড় আর পাহাড় ।পাহাড় রাই-এর অসহ্য লাগে।রচিত কি করে সব ভুলে গেল কে জানে ।হিয়াকে তো রচিত পাগলের মত ভালোবাসতো, সেই হিয়াকেই পাহাড় কেড়ে নিল - তবু কিসের টানে রচিত বারবার পাহাড়ের কাছে ছুটে গেছে, তার কোনো ব্যাখ্যা পায় না রাই ।এই প্রথমবার, বিবাহ বার্ষিকী উপলক্ষে সমুদ্রে নিয়ে এসেছে রচিত ।
ধ্যাত.. কিচ্ছু ভালো লাগছে না ।দুপুরে পৌঁছেছে তাজপুর ।সারা বিকাল ঘুমিয়েই কাটিয়ে দিল রচিত ।এদিকে সমুদ্র পাগলের মতো টানছে রাই-কে ।নাহ, একাই বেরিয়ে পড়ল রাই, বেডসাইড টেবিলে রচিতের জন্য চিরকুট রেখে গেল ।
পায়ে পায়ে সমুদ্র সৈকতে পৌঁছাতে বিশেষ সময় লাগলো না ।তাজপুরে লোকজন খুব কম ।শান্ত বালুচরে শেষ বিকেলের সোনালী রোদ্দুর মেখে আছড়ে পড়ছে ঢেউগুলো ।মনটা খারাপ হয়ে যাচ্ছে ।কত কী ভেবেছিল সে - সন্তান হলে নাম রাখবে ঢেউ ।অথচ আজ বিয়ের পাঁচ বছর পরও সে মা হতে পারলো না ।সমস্যা তারই - সে গ্লানি কুঁড়েকুঁড়ে খায় প্রতিনিয়ত ।যদিও রচিত কখনও তাকে কোনো দোষারোপ করে না ।হঠাৎ ভীষণরকম রাগ হতে লাগলো রাই-এর, রচিতের ওপর নিজের ওপর ।এই রচিতকেই সে পাগলের মতো ভালোবেসেছে জ্ঞান হয়ে থেকে, এই রচিতের অবহেলা সহ্য করেছে দিনের পর দিন, চোখের সামনে থাকে তার যমজ বোন হিয়ার হতে দেখেছে, আবার তাকে পাওয়ার অদম্য নেশাতেই সেবার হিয়াকে সবার আড়ালে পাহাড় থেকে নিশ্চিত মৃত্যুর কোলে ফেলে দিয়েছে ।অথচ কী পেয়েছে ?! হ্যাঁ, হিয়ার মৃত্যুর কয়েক বছর পর দুইবাড়ির লোকজনই রচিতের সাথে রাই-এর বিয়ে দেয় ।কিন্তু রচিতকে পেয়ে কী আদৌ সুখী হতে পেরেছে রাই?! পারে নি, পারে নি ।কিসের যেন অতৃপ্তি তাড়া করে বেড়ায় সর্বক্ষণ ।
হাঁটতে হাঁটতে অনেকটা চলে এসেছে ।দূরে একটা পরিত্যক্ত নৌকা ।আচমকাই তার আড়াল থেকে রচিতকে বেরিয়ে আসতে দেখে রাই ।দুজনে মিলে সেই নৌকায় গিয়ে বসে ।সূর্যাস্তের আলোয় মুগ্ধ রাই ।রচিতও আজ যেন অন্যরকম মুডে, অনেকদিন পর ।নৌকার গায়ে খোদাই করছে আজকের তারিখ ।রাই-এর জিজ্ঞাসু দৃষ্টির উত্তরে নিজেই বলে রচিত ,-"চিরস্থায়ী হবে আজকের সন্ধ্যা ভালোবাসার নামে "।রাই ভেসে যায় আবেগে ।
খানিকক্ষণ পর রাই-কে নিয়ে সমুদ্রে নামে রচিত ।জোয়ার এসেছে সমুদ্রে তখন, ক্রমশ বাড়ছে ঢেউ এর উন্মাদনা ।রচিত রাই-কে নিয়ে যাচ্ছে আরও ভেতরে....
-রচিত, আর যেও না, ভয় করছে ।
-কেন রাই, সমুদ্র তো তুমি ভালোবাসো!
-কিন্তু ভয় করছে রচিত ।
-হিয়াও সেদিন এমনই বলেছিল তোমায়, তাই না রাই?!
-মা-আ-আ-নে...?!
-তোমায় গুরপ্রীতকে মনে আছে? সেবার হিমাচলে আমাদের গাইড ছিল! সেদিন আমার অফিসে এসেছিল ।হিয়ার হ্যান্ডিকমটা ফেরৎ দিতে ।আমরা তো ডেডবডি নিয়ে ফিরে এসেছিলাম, গুরপ্রীত কুড়িয়ে পেয়েছিল হ্যান্ডিকমটা ।রেখে দিয়েছিল যত্ন করে, কখনও কোলকাতায় এলে ফেরৎ দেবে বলে... ।
-আমায় মেরে ফেলো না রচিত....
-হ্যান্ডিকমের রেকর্ডিং - এ হিয়াও ঠিক এভাবেই বাঁচার আকুতি করছে রাই তোমার কাছে...
-আমার ভুল হয়ে গেছে.. ক্ষমা করো....
চারিদিকের নিস্তব্ধতা খান খান করে রচিত হাসছে পাগলের মত ।দু'টো শক্ত পুরুষালি হাত চেপে ধরে থাকছে রাই-কে ঢেউ-এর গভীরে ।ক্রমশ ছটফটানি কমে স্থির হয়ে আসছে রাই....
ধ্যাত.. কিচ্ছু ভালো লাগছে না ।দুপুরে পৌঁছেছে তাজপুর ।সারা বিকাল ঘুমিয়েই কাটিয়ে দিল রচিত ।এদিকে সমুদ্র পাগলের মতো টানছে রাই-কে ।নাহ, একাই বেরিয়ে পড়ল রাই, বেডসাইড টেবিলে রচিতের জন্য চিরকুট রেখে গেল ।
পায়ে পায়ে সমুদ্র সৈকতে পৌঁছাতে বিশেষ সময় লাগলো না ।তাজপুরে লোকজন খুব কম ।শান্ত বালুচরে শেষ বিকেলের সোনালী রোদ্দুর মেখে আছড়ে পড়ছে ঢেউগুলো ।মনটা খারাপ হয়ে যাচ্ছে ।কত কী ভেবেছিল সে - সন্তান হলে নাম রাখবে ঢেউ ।অথচ আজ বিয়ের পাঁচ বছর পরও সে মা হতে পারলো না ।সমস্যা তারই - সে গ্লানি কুঁড়েকুঁড়ে খায় প্রতিনিয়ত ।যদিও রচিত কখনও তাকে কোনো দোষারোপ করে না ।হঠাৎ ভীষণরকম রাগ হতে লাগলো রাই-এর, রচিতের ওপর নিজের ওপর ।এই রচিতকেই সে পাগলের মতো ভালোবেসেছে জ্ঞান হয়ে থেকে, এই রচিতের অবহেলা সহ্য করেছে দিনের পর দিন, চোখের সামনে থাকে তার যমজ বোন হিয়ার হতে দেখেছে, আবার তাকে পাওয়ার অদম্য নেশাতেই সেবার হিয়াকে সবার আড়ালে পাহাড় থেকে নিশ্চিত মৃত্যুর কোলে ফেলে দিয়েছে ।অথচ কী পেয়েছে ?! হ্যাঁ, হিয়ার মৃত্যুর কয়েক বছর পর দুইবাড়ির লোকজনই রচিতের সাথে রাই-এর বিয়ে দেয় ।কিন্তু রচিতকে পেয়ে কী আদৌ সুখী হতে পেরেছে রাই?! পারে নি, পারে নি ।কিসের যেন অতৃপ্তি তাড়া করে বেড়ায় সর্বক্ষণ ।
হাঁটতে হাঁটতে অনেকটা চলে এসেছে ।দূরে একটা পরিত্যক্ত নৌকা ।আচমকাই তার আড়াল থেকে রচিতকে বেরিয়ে আসতে দেখে রাই ।দুজনে মিলে সেই নৌকায় গিয়ে বসে ।সূর্যাস্তের আলোয় মুগ্ধ রাই ।রচিতও আজ যেন অন্যরকম মুডে, অনেকদিন পর ।নৌকার গায়ে খোদাই করছে আজকের তারিখ ।রাই-এর জিজ্ঞাসু দৃষ্টির উত্তরে নিজেই বলে রচিত ,-"চিরস্থায়ী হবে আজকের সন্ধ্যা ভালোবাসার নামে "।রাই ভেসে যায় আবেগে ।
খানিকক্ষণ পর রাই-কে নিয়ে সমুদ্রে নামে রচিত ।জোয়ার এসেছে সমুদ্রে তখন, ক্রমশ বাড়ছে ঢেউ এর উন্মাদনা ।রচিত রাই-কে নিয়ে যাচ্ছে আরও ভেতরে....
-রচিত, আর যেও না, ভয় করছে ।
-কেন রাই, সমুদ্র তো তুমি ভালোবাসো!
-কিন্তু ভয় করছে রচিত ।
-হিয়াও সেদিন এমনই বলেছিল তোমায়, তাই না রাই?!
-মা-আ-আ-নে...?!
-তোমায় গুরপ্রীতকে মনে আছে? সেবার হিমাচলে আমাদের গাইড ছিল! সেদিন আমার অফিসে এসেছিল ।হিয়ার হ্যান্ডিকমটা ফেরৎ দিতে ।আমরা তো ডেডবডি নিয়ে ফিরে এসেছিলাম, গুরপ্রীত কুড়িয়ে পেয়েছিল হ্যান্ডিকমটা ।রেখে দিয়েছিল যত্ন করে, কখনও কোলকাতায় এলে ফেরৎ দেবে বলে... ।
-আমায় মেরে ফেলো না রচিত....
-হ্যান্ডিকমের রেকর্ডিং - এ হিয়াও ঠিক এভাবেই বাঁচার আকুতি করছে রাই তোমার কাছে...
-আমার ভুল হয়ে গেছে.. ক্ষমা করো....
চারিদিকের নিস্তব্ধতা খান খান করে রচিত হাসছে পাগলের মত ।দু'টো শক্ত পুরুষালি হাত চেপে ধরে থাকছে রাই-কে ঢেউ-এর গভীরে ।ক্রমশ ছটফটানি কমে স্থির হয়ে আসছে রাই....
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন