(১)
বিয়ের অনেক দিন পর যখন ছেলে হল বাড়ির সবাই নাম রেখেছিল সূর্য ।কিন্তু ছোট্ট থেকেই সে ছিল মেঘ পাগল ।আকাশে মেঘ করলেই সূর্যের আনন্দ দেখে কে ।মা আদর করে বলতো, ছেলেটা আমার আগের জন্মে ময়ূর ছিল নির্ঘাত ।একটু বড় হওয়ার পর থেকেই সূর্যের জগৎ ছিল ছবি আঁকা ।বড় হয়ে সেটাই হয়ে যায় একমাত্র নেশা এবং পেশা ।তবে অধিকাংশ ল্যান্ডস্কেপেই মেঘ হত কমন টপিক
(২)
সেবার ইন্টারন্যাশানাল এক্সজিবিশনে সূর্যের ছবি এক্সজিবিট করছে, তাই সূর্যকে রোজ আসতে হচ্ছে ।শেষের দিনে আলাপ করতে আসে একটি মেয়ে - নাম তার মেঘ ।এ নিতান্তই কাকতালীয় ।তবু আলাপ ক্রমশ ভালো লাগা, ভালো লাগা থেকে ভালোবাসা হয়ে যায় ।সময়ের সাথে সাথে দু'জন দু’জনের জন্য অপরিহার্য হয়ে ওঠে ।হাজার স্বপ্ন নিয়ে ভবিষ্যতটা সুন্দর করে সাজিয়ে তুলতে সিদ্ধান্ত নেয় বিয়ের ।
(৩)
নির্দ্বিধায় নির্ভয়ে নিশ্চিন্ত হয়েই বাড়িতে জানিয়েছিল সূর্য মেঘের কথা ।কিন্তু চিরদিনের চেনা মানুষগুলো অদ্ভুতভাবে পাল্টে গেছিল এক নিমেষে ।জন্ম পরিচয়হীন অনাথ আশ্রমের মেয়ে মেঘকে পুত্রবধূ হিসেবে মানা নাকি নিতান্তই অসম্ভব ।অনেক মান - অভিমান রাগারাগি - কিন্তু কোনো ফল হয় না ।শেষ অবধি সূর্য বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে আসে, মেঘকে নিয়ে ঘর বাঁধবে বলে ।
(৪)
এক কামরার ভাড়ার ফ্ল্যাটটা দু’জনে মিলে সাজিয়ে নিয়েছে এই এক মাসে।আজ রেজিস্ট্রি হবে ।মেঘকে অনাথ আশ্রম থেকে নিয়ে আসবে নিজের কাছে, চিরদিনের জন্য ।বেরোবে এমন সময় মায়ের ফোন - "মেঘ এসে আমার সূর্যকে ঢেকে দিলো" ।মনটা ভীষণ খারাপ হয়ে গেল সূর্যের ।মেঘ অপেক্ষা করছে, তাই তাড়াতাড়ি বেরিয়ে পড়ে বাইকটা নিয়ে ।বিয়ে করে বন্ধু বান্ধবদের নিয়ে রেস্তোরাঁয় খাওয়া দাওয়া শেষে নতুন বউকে নিজের পক্ষীরাজে চাপিয়ে রওনা দেয় সূর্য ।কানে খালি খালি মায়ের কথাটা ভেসে আসছে ।অন্যমনস্ক হয়ে সামনের ডিভাইডারে জোর ধাক্কা.....
(৫)
চার দিন পর জ্ঞান ফেরে সূর্যের ।প্রথম কথাই ছিল - মেঘ....!! কিন্তু মেঘ ততক্ষণে সমস্ত মায়া কাটিয়ে পাড়ি দিয়েছে অন্যলোকে ।নতুন বউ তো আর হেলমেট পরে বাইকে চাপে নি ।হাসপাতালে নিয়ে আসার পথেই মারা যায় মেঘ।সূর্যকে বাড়ি নিয়ে আসে ওর বাবা - মা ।এক কামরার সাজানো ফ্ল্যাটে আর যাওয়া হয় না ।সূর্য এখন শুধুই ছবি আঁকে - যদিও অন্য কেউ সেটা বিশ্বাস করে না ।এখন আর ছবি আঁকতে কাগজ লাগে না তার ।অ্যাসাইলামের জানলা দিয়ে দেখা মেঘ হয়েছে তার ক্যানভাস...
বিয়ের অনেক দিন পর যখন ছেলে হল বাড়ির সবাই নাম রেখেছিল সূর্য ।কিন্তু ছোট্ট থেকেই সে ছিল মেঘ পাগল ।আকাশে মেঘ করলেই সূর্যের আনন্দ দেখে কে ।মা আদর করে বলতো, ছেলেটা আমার আগের জন্মে ময়ূর ছিল নির্ঘাত ।একটু বড় হওয়ার পর থেকেই সূর্যের জগৎ ছিল ছবি আঁকা ।বড় হয়ে সেটাই হয়ে যায় একমাত্র নেশা এবং পেশা ।তবে অধিকাংশ ল্যান্ডস্কেপেই মেঘ হত কমন টপিক
(২)
সেবার ইন্টারন্যাশানাল এক্সজিবিশনে সূর্যের ছবি এক্সজিবিট করছে, তাই সূর্যকে রোজ আসতে হচ্ছে ।শেষের দিনে আলাপ করতে আসে একটি মেয়ে - নাম তার মেঘ ।এ নিতান্তই কাকতালীয় ।তবু আলাপ ক্রমশ ভালো লাগা, ভালো লাগা থেকে ভালোবাসা হয়ে যায় ।সময়ের সাথে সাথে দু'জন দু’জনের জন্য অপরিহার্য হয়ে ওঠে ।হাজার স্বপ্ন নিয়ে ভবিষ্যতটা সুন্দর করে সাজিয়ে তুলতে সিদ্ধান্ত নেয় বিয়ের ।
(৩)
নির্দ্বিধায় নির্ভয়ে নিশ্চিন্ত হয়েই বাড়িতে জানিয়েছিল সূর্য মেঘের কথা ।কিন্তু চিরদিনের চেনা মানুষগুলো অদ্ভুতভাবে পাল্টে গেছিল এক নিমেষে ।জন্ম পরিচয়হীন অনাথ আশ্রমের মেয়ে মেঘকে পুত্রবধূ হিসেবে মানা নাকি নিতান্তই অসম্ভব ।অনেক মান - অভিমান রাগারাগি - কিন্তু কোনো ফল হয় না ।শেষ অবধি সূর্য বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে আসে, মেঘকে নিয়ে ঘর বাঁধবে বলে ।
(৪)
এক কামরার ভাড়ার ফ্ল্যাটটা দু’জনে মিলে সাজিয়ে নিয়েছে এই এক মাসে।আজ রেজিস্ট্রি হবে ।মেঘকে অনাথ আশ্রম থেকে নিয়ে আসবে নিজের কাছে, চিরদিনের জন্য ।বেরোবে এমন সময় মায়ের ফোন - "মেঘ এসে আমার সূর্যকে ঢেকে দিলো" ।মনটা ভীষণ খারাপ হয়ে গেল সূর্যের ।মেঘ অপেক্ষা করছে, তাই তাড়াতাড়ি বেরিয়ে পড়ে বাইকটা নিয়ে ।বিয়ে করে বন্ধু বান্ধবদের নিয়ে রেস্তোরাঁয় খাওয়া দাওয়া শেষে নতুন বউকে নিজের পক্ষীরাজে চাপিয়ে রওনা দেয় সূর্য ।কানে খালি খালি মায়ের কথাটা ভেসে আসছে ।অন্যমনস্ক হয়ে সামনের ডিভাইডারে জোর ধাক্কা.....
(৫)
চার দিন পর জ্ঞান ফেরে সূর্যের ।প্রথম কথাই ছিল - মেঘ....!! কিন্তু মেঘ ততক্ষণে সমস্ত মায়া কাটিয়ে পাড়ি দিয়েছে অন্যলোকে ।নতুন বউ তো আর হেলমেট পরে বাইকে চাপে নি ।হাসপাতালে নিয়ে আসার পথেই মারা যায় মেঘ।সূর্যকে বাড়ি নিয়ে আসে ওর বাবা - মা ।এক কামরার সাজানো ফ্ল্যাটে আর যাওয়া হয় না ।সূর্য এখন শুধুই ছবি আঁকে - যদিও অন্য কেউ সেটা বিশ্বাস করে না ।এখন আর ছবি আঁকতে কাগজ লাগে না তার ।অ্যাসাইলামের জানলা দিয়ে দেখা মেঘ হয়েছে তার ক্যানভাস...
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন