গড়েছি পাঁজর থেকে, ইচ্ছা থেকে, মানসপ্রতিমা!
.
আমারই সৃজন তুই, অপরূপা, মাংস-হাড়-সাধ
পঞ্জরতলে যে হৃদয়ের বাস, আনখশিখর জরীপে জরীপে
উদ্বেলিত উচ্ছ্বসিত বিন্দু বিন্দু শোণিত-সঞ্চারে
অপলক দুটি চোখ তোর, সেও দেখি বিদ্যুৎ জমিয়ে রাখে,
পুষে রাখে ভালোবাসা মুগ্ধতার প্রণিপাতে
যথার্থ মুহূর্তে ঝিলকিয়ে হিরণ্ময় হবে বলে
.
পঞ্জর, পাঁজরে আয়! এসো সখী,
বুক ছুঁয়ে বুকে মিশে যাও
আমাকে প্রণতি দিয়ে তুলে দিস সৃজনের ডালা, স্বর্ণালী আকাশ
কী রেখেছিস নিজস্ব দেওয়ালে?
.
আফ্রিকা-কন্দর থেকে শিকারের অবসরে তুলে আনা ফুল-লতা-মালা
ভুমধ্যসাগর-থেকে-ব্যবিলন ঘোড়সওয়ারের দিনে যূথপক্ষ আসমানী উল্লাস
অনাহারে পিপাসায় উষ্ট্রকুঁজ করেছি সম্বল মরু পাড়ি দিতে
ভীম্বেটকর গুহায় গুহায় অগ্নিবলয় কেন্দ্রে রেখে
নেচেছি যৌথনৃত্য সঙ্গীদের উতসাহ-সঙ্গতে
হৃদয়ে হৃদয় ছুঁয়ে অর্ধনারীশ্বর রণে বনে জলে অন্তরীক্ষে
সভ্যতার লালকার্পেটে যুগ্মতাল কুচকাওয়াজ
.
বারবার মুগ্ধচোখে তোকেই তো দেখে গেছি সম্পদে-বিপদে
রাষ্ট্রদ্রোহ, ভূমিকম্প, দাবানল, প্লাবণের খরস্রোতে
ছাড়িস নি হাত তুই, হাতের আঙুল
.
আমি তবু অহমিকা-জ্বর, বিস্মৃত-অক্ষর-অজগর'
শাপিত মুহূর্তে হৃদয়কে চাপা দিতে বাহুকেই ভেবে নিই বিশ্বস্ত সহায়
সঙ্গিনী আমার, কুক্ষণে তোমাকে, তোকে বন্দী করে
ঘিরে রাখি স্বচ্ছ কাঁচে, আকুরিয়ামের মাছ,
আমার খেয়ালি নজরদারিতে তোর ঘোরাফেরা, ডিগবাজি, নাচ
আমারই ইচ্ছে-রঙে সাজ তোর দিনে রাতে পালটানো ফরমান
.
যখন আসঙ্গলিপ্সা, তুলে নিয়ে বিছানা রাঙাই
যখন অর্থলিপ্সা তোকেই ওজনদরে তুলে দিই বেনিয়ার হাতে,
পিঠ-বাঁচানিয়া রাজ্যলিপ্সায় পুরুষে পুরুষে যুদ্ধের সন্ধি-উপঢৌকন
সেও জানি তুই
.
ভুলে যাই কতদিন দেখিসনি রোদেলা আকাশ
কতদিন চোখের তারায় তোর রাতের তারারা এসে
লেখেনি কবিতা, ঝিলমিল আলোকের রূপকথামালা
অর্ধেক আকাশ তোর, অর্ধেক পৃথিবী-- ভুলেছি প্রমত্ত-মদে
.
ভেবেছি পশরা তুই, ভোগ্যপণ্য শুধু
তুলেছি রাতের গাড়িতে লিফট দেব বলে
স্কুলের গাড়ি্তে করে কাকু-কাকু নিরাপত্তা-নামে
প্রথম রজোদর্শন সাবালকত্বের রঙিন পতাকা, ধর্মের দোহাই দিয়ে করেছি ঘোষণা
ট্রেন থকে নামিয়েছি, চোর অপবাদ দিয়ে,
পেতেছি ঘরে ঘরে মোড়ে মোড়ে কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্প
গণিকা, পতিতা, ক্রীতদাসী, দেবদাসী নানা অভিধায় দেশ ও ধর্মের নামে
করেছি নিয়ম নানা, লিখেছি শাস্ত্র-অধ্যায়
.
তারপরও তাকেই অমান্য করে কেবলি পাথরখণ্ড, লোহা-রড
একাকী ও দল বেঁধে আমিই ঢুকিয়েছি সে গুহার দ্বারে
যার থেকে, আমি, পিতা পিতামহ সকলেই নিষ্কৃত হয়েছি
অন্ধকার থেকে আলোময় ভোরে
.
তবু তুমি এতো ক্ষমা জানো!
এখনো মেঘলাদিনে সখী বলে ডাকি যদি
সব ভুলে সুকোমল ঠোঁটদুটো, কম্পমান ভালবাসা
ছায়াছবিময় দুচোখের সঙ্গে তুলে ধরো দ্বিধাহীন
রাগের লুকনো ছুরি ছুঁড়ে ফেলো দূরে এক লহমায়
নতুন পৃথিবী সুসন্তানে ভরে দেবে বলে
আবার উর্বরভূমি পেতে দাও তুমি, প্রসারিত বাহু
বজ্র ও বৃষ্টিপাত সোৎসাহ সহ্য কর ধরিত্রীর মত
.
এখনো কি প্রণাঃম করবে তুমি, কেবলি পঞ্জরজাত বলে?
আমারও কি দায় নেই আনত কুর্নিশ দেবার তোমাকে, হে নারী?
.
আমার পঞ্জর তুমি এতদিন, এত কষ্টে
এত ভুলভালাইয়া পেরিয়েও বাঁচিয়ে রেখেছ,
জানি, সে শুধু আমার ঘাটতিটুকু অম্লান পূরন করবে বলে
তোমাকে যে বুকে রেখে পূর্ণ হব আমি!
.
শুধু ভালোবাসা নয়, আমার প্রণতি নাও নারী, প্রেয়সী আমার!
.
আমারই সৃজন তুই, অপরূপা, মাংস-হাড়-সাধ
পঞ্জরতলে যে হৃদয়ের বাস, আনখশিখর জরীপে জরীপে
উদ্বেলিত উচ্ছ্বসিত বিন্দু বিন্দু শোণিত-সঞ্চারে
অপলক দুটি চোখ তোর, সেও দেখি বিদ্যুৎ জমিয়ে রাখে,
পুষে রাখে ভালোবাসা মুগ্ধতার প্রণিপাতে
যথার্থ মুহূর্তে ঝিলকিয়ে হিরণ্ময় হবে বলে
.
পঞ্জর, পাঁজরে আয়! এসো সখী,
বুক ছুঁয়ে বুকে মিশে যাও
আমাকে প্রণতি দিয়ে তুলে দিস সৃজনের ডালা, স্বর্ণালী আকাশ
কী রেখেছিস নিজস্ব দেওয়ালে?
.
আফ্রিকা-কন্দর থেকে শিকারের অবসরে তুলে আনা ফুল-লতা-মালা
ভুমধ্যসাগর-থেকে-ব্যবিলন ঘোড়সওয়ারের দিনে যূথপক্ষ আসমানী উল্লাস
অনাহারে পিপাসায় উষ্ট্রকুঁজ করেছি সম্বল মরু পাড়ি দিতে
ভীম্বেটকর গুহায় গুহায় অগ্নিবলয় কেন্দ্রে রেখে
নেচেছি যৌথনৃত্য সঙ্গীদের উতসাহ-সঙ্গতে
হৃদয়ে হৃদয় ছুঁয়ে অর্ধনারীশ্বর রণে বনে জলে অন্তরীক্ষে
সভ্যতার লালকার্পেটে যুগ্মতাল কুচকাওয়াজ
.
বারবার মুগ্ধচোখে তোকেই তো দেখে গেছি সম্পদে-বিপদে
রাষ্ট্রদ্রোহ, ভূমিকম্প, দাবানল, প্লাবণের খরস্রোতে
ছাড়িস নি হাত তুই, হাতের আঙুল
.
আমি তবু অহমিকা-জ্বর, বিস্মৃত-অক্ষর-অজগর'
শাপিত মুহূর্তে হৃদয়কে চাপা দিতে বাহুকেই ভেবে নিই বিশ্বস্ত সহায়
সঙ্গিনী আমার, কুক্ষণে তোমাকে, তোকে বন্দী করে
ঘিরে রাখি স্বচ্ছ কাঁচে, আকুরিয়ামের মাছ,
আমার খেয়ালি নজরদারিতে তোর ঘোরাফেরা, ডিগবাজি, নাচ
আমারই ইচ্ছে-রঙে সাজ তোর দিনে রাতে পালটানো ফরমান
.
যখন আসঙ্গলিপ্সা, তুলে নিয়ে বিছানা রাঙাই
যখন অর্থলিপ্সা তোকেই ওজনদরে তুলে দিই বেনিয়ার হাতে,
পিঠ-বাঁচানিয়া রাজ্যলিপ্সায় পুরুষে পুরুষে যুদ্ধের সন্ধি-উপঢৌকন
সেও জানি তুই
.
ভুলে যাই কতদিন দেখিসনি রোদেলা আকাশ
কতদিন চোখের তারায় তোর রাতের তারারা এসে
লেখেনি কবিতা, ঝিলমিল আলোকের রূপকথামালা
অর্ধেক আকাশ তোর, অর্ধেক পৃথিবী-- ভুলেছি প্রমত্ত-মদে
.
ভেবেছি পশরা তুই, ভোগ্যপণ্য শুধু
তুলেছি রাতের গাড়িতে লিফট দেব বলে
স্কুলের গাড়ি্তে করে কাকু-কাকু নিরাপত্তা-নামে
প্রথম রজোদর্শন সাবালকত্বের রঙিন পতাকা, ধর্মের দোহাই দিয়ে করেছি ঘোষণা
ট্রেন থকে নামিয়েছি, চোর অপবাদ দিয়ে,
পেতেছি ঘরে ঘরে মোড়ে মোড়ে কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্প
গণিকা, পতিতা, ক্রীতদাসী, দেবদাসী নানা অভিধায় দেশ ও ধর্মের নামে
করেছি নিয়ম নানা, লিখেছি শাস্ত্র-অধ্যায়
.
তারপরও তাকেই অমান্য করে কেবলি পাথরখণ্ড, লোহা-রড
একাকী ও দল বেঁধে আমিই ঢুকিয়েছি সে গুহার দ্বারে
যার থেকে, আমি, পিতা পিতামহ সকলেই নিষ্কৃত হয়েছি
অন্ধকার থেকে আলোময় ভোরে
.
তবু তুমি এতো ক্ষমা জানো!
এখনো মেঘলাদিনে সখী বলে ডাকি যদি
সব ভুলে সুকোমল ঠোঁটদুটো, কম্পমান ভালবাসা
ছায়াছবিময় দুচোখের সঙ্গে তুলে ধরো দ্বিধাহীন
রাগের লুকনো ছুরি ছুঁড়ে ফেলো দূরে এক লহমায়
নতুন পৃথিবী সুসন্তানে ভরে দেবে বলে
আবার উর্বরভূমি পেতে দাও তুমি, প্রসারিত বাহু
বজ্র ও বৃষ্টিপাত সোৎসাহ সহ্য কর ধরিত্রীর মত
.
এখনো কি প্রণাঃম করবে তুমি, কেবলি পঞ্জরজাত বলে?
আমারও কি দায় নেই আনত কুর্নিশ দেবার তোমাকে, হে নারী?
.
আমার পঞ্জর তুমি এতদিন, এত কষ্টে
এত ভুলভালাইয়া পেরিয়েও বাঁচিয়ে রেখেছ,
জানি, সে শুধু আমার ঘাটতিটুকু অম্লান পূরন করবে বলে
তোমাকে যে বুকে রেখে পূর্ণ হব আমি!
.
শুধু ভালোবাসা নয়, আমার প্রণতি নাও নারী, প্রেয়সী আমার!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন