শনিবার, ১৫ অক্টোবর, ২০১৬

পুনর্জন্ম -- সিলভিয়া ঘোষ

কেদার-বদ্রী থেকে ঘুরে এসে দুইদিন হরিদ্বারের হরকেপৌরী ঘাটের সন্ধ্যা আরতি দেখার জন্যই থেকে গিয়েছিলাম সাত বছর আগে ।

শাশুড়ি মা এর শখ তিনি জামাই ষষ্ঠীতে গঙ্গায় স্নান করবেন।তাই তাঁর ছেলে মা কে নিয়ে হোটেল লাগোয়া গঙ্গাতে স্নান করাতে নিয়ে গেলেন।

আর একদিন পরেই ঘরে ফেরা ।তাই মনটা আমার খুব খারাপ ছিল।হোটেলে তিন তলায় আমাদের ঘর ।আর সামনেই লম্বা টানা বারান্দা ।
সেখানে দাঁড়ালে পিছনে গঙ্গার উপল বহমানতা দেখা যায়।সকালের স্নিগ্ধ বাতাসে নিজেকে শুচীস্নাত করতে করতে প্রকৃতির এই অশেষ করুণা কে ধন্যবাদ জানাচ্ছিলাম।
হঠাৎ দেখি একটি হলুদ রঙের ফুটবল 
ভেসে যাচ্ছ ঐ গঙ্গায়। ভীষণ চেনা লাগছে ঐ ফুটবলটি কে ।আমার সারা শরীর কেমন যেন অবশ হয়ে আসছিল।

সাথে সাথ দেখলাম আমার হাবি ক্যামেরা নিয়ে ---'এই এই 'বলতে বলতে ছুটে চললেন ঐ গঙ্গায় অথচ ঐ কাঙ্ক্ষিতবস্ত অনেকটা এগিয়ে চলে গেছে স্রোতের উজানে ।

আমার হাবির চিৎকার শুনে উজানের আগে থাকা এক ব্যক্তি তাঁর পরিবারের সাথে ফটোশুটে ব্যস্ত থাকা অবস্থায় কোন দিকে না তাকিয়ে ক্যামেরা মোবাইল সমেত ঐ বলটিকে টেনে তুললেন !দেখলাম আমার সাড়ে পাঁচ বছরের ছোট ছেলে অরুণিম।

এই সব দৃশ্যাবলি আমি ঐ বারান্দা থেকেই দেখছিলাম কিন্তু কোন কথা বলার শক্তি তখন আমার ছিল না।

ছেলেকে ধরে নিয়ে তার বাবাই যখন হোটেলে ফিরলো তখন শুধু জিজ্ঞাসা করলাম-- 'কি রে ভেজা কেন শরীর টা '? 

উত্তরে সে বলল---'ঐ একটু স্নান করে আসলাম'।

আর আমি মনে মনে ঐ নর-নারায়ণ কে ধন্যবাদ জানিয়ে বললাম ----'ভগবান তুমি যুগে যুগে দূত পাঠায়েছ বারে বারে '!!

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

সম্পাদিকার ডেস্ক থেকে

উৎসবের আলোড়ন কিছুটা স্তিমিত , তবুও মনের অলিন্দে হৈমন্তী স্বপ্ন । বারো মাসের তেরো পার্বণ প্রায় শেষ মুখে , উৎসব তিথি এখন অন্তিম লগ্ন যাপনে ব...