" এসেছে শরৎ হিমের পরশ লেগেছে হাওয়ার পরে
সকাল বেলায় ঘাসের আগায় শিশিরের রেখা ধরে "
সকাল বেলায় ঘাসের আগায় শিশিরের রেখা ধরে "
আকাশে বাতাসে এখন স্পষ্টতই 'পুজো পুজো গন্ধ' , ... কুমোরটুলিতে শিল্পীদের ব্যস্ততা তুঙ্গে , অন্যদিকে সাহিত্য পাড়ায় চূড়ান্ত ব্যস্ততা লেখক-শিল্পী ও সম্পাদকদের , ... পুজোসংখ্যার সলতে পাকানোর সূচনা আজকাল অনেক আগে থেকেই । চার ছেলেমেয়ে সহযোগে কাশ ফুলের গন্ধ মেখে মা দুর্গা এই এলেন বলে ...
সম্ভবত পঞ্চদশ শতাব্দী তে প্রথম দুর্গাপূজার প্রচলন শুরু হয়, এও জানা যায় দিনাজপুর এবং মালদা জেলার জমিদার সম্প্রদায়ই প্রথম এই পূজার সূত্রপাত করেন, আবার কারোর কারোর মতে নদীয়া জেলার ভবানন্দ মজুমদারের উদ্যোগেই প্রথম দেবী দুর্গার আরাধনা শুরু হয় ১৬০৬ বঙ্গাব্দে।
আমাদের বাঙালীদের প্রধান এই উৎসবের সঠিক উৎস নিয়ে নানাবিধ মতান্তর থাকলেও এটুকু আমরা সবাই জানি যে ১০৮ টি নীল পদ্ম এবং ১০৮ টি দীপ জ্বালিয়ে প্রথম এই পূজার সূচনা করেন বহুলকথিত রামচন্দ্র, দেবীর অকালবোধন এর মাধ্যমেই সম্ববত দুর্গা আমাদের জানান দিয়ে দেন যে অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করতে ধরাধামে আবির্ভূতা হয়েছেন তিনি, আর আমরা মেরুদণ্ডহীন (ধর্মভীরু ) মানুষ তাঁকে আশ্রয় করেই বেঁচে আছি এই বিশ্বাস নিয়ে যে একদিন সব অন্যায়ের, সব অবিচারের প্রতিশোধ নেবেন তিনি।
অন্যায় আর অরাজকতার এই কালসময়ের কালো ক্যানভাসটিকে কিছুদিনের জন্য নাহয় সরিয়ে রাখা যাক , আমরা বরং মনোনিবেশ করি বৃহত্তম শারদ উৎসবটির দিকে ।
অন্যায় আর অরাজকতার এই কালসময়ের কালো ক্যানভাসটিকে কিছুদিনের জন্য নাহয় সরিয়ে রাখা যাক , আমরা বরং মনোনিবেশ করি বৃহত্তম শারদ উৎসবটির দিকে ।
মুঠো ভরা রোদ্দুর 'এর শারদ সংখ্যায় থাকলো নানা ফ্লেভারে সাজানো একাধিক ভিন্ন স্বাদের লেখা , শারদ শুভেচ্ছা আদান প্রদানের মাঝে কিছুটা সময় নিয়ে পড়ে দেখতে পারেন লেখাগুলি । 'মুঠো ভরা রোদ্দুর 'র সমস্ত লেখক -কবি , পাঠকমণ্ডলী ও শুভানুধ্যায়ীদের জানাই শারদ শুভেচ্ছা । পুজো কাটুক আনন্দে - হর্ষে - পুলকে ।
শুভেচ্ছান্তে
পিয়ালী বসু
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন