উত্তর কোলকাতার কাছেই একটা লম্বাটানা বারান্দাওয়ালা বাড়িতে আমার কৈশোর স্মৃতি রয়ে গেছে এখনও--জাফরি কাটা সিঁড়ির জানলার ওপারে !
আচারের বয়ামগুলো যেখানে বেলাশেষের রোদে লোলুপ চোখে আমাদের দিকেই চাইত। ঝুপ করে নেমে আসা সন্ধ্যায় ছাদের ঘরের ছোট্ট খুপড়িতে নারকোল পাতাগুলো নুয়ে পড়ত সোহাগে। আমরা তখনো ন্যাড়া ছাদের নিচটায় লুকোচুরি খেলছি। টুন'দি, বয়ি'দি, দীপু, রিং, পিং . . . এখনও যেন শুনতে পাচ্ছি মা ডাকছে নিচ থেকে, আয় নীচে নেমে আয় বলছি---ভূতে ধরবে !
বুড়ি দিদিমা মারা গেছেন তখন সদ্য। ভয় পেতাম, গুটি গুটি নেমে আসতাম শব্দহীন পায়ে !
টুন'দি বলত, শুনছিস নূপুরের আওয়াজ হচ্ছে--বলতাম ধুর ! এদিকে সারা শরীরে তখন কাঁটা !
সে সময়ে দূরদর্শনের প্রভাবে আমরা দেখতে শিখে গেছি ভূতের ছবিতে নূপুরের শব্দ হয়, মোমবাতি হাতে বড় বড় নাচমহলের আড়ালে নায়িকারা গান গায়। মনের মধ্যে তারই প্রভাব ছিলো বোধহয়।
তরতরিয়ে নীচে নামতেই মা চুলের মুঠি ধরে বলত, ধিঙ্গি মেয়ে পড়তে বসবি কখন ?
স্বপ্নের মতো ভিড় করে আসছে স্মৃতিরা, শৈশব কৈশোরের বেহিসাবি উজ্জ্বল দিনগুলোর স্মৃতি, এলোমেলোভাবে---বর্ষা বিদায়ের বৃষ্টির মতো।
আমার ছোটোবেলার সেই লম্বা টানা ছাদ আর তার দেয়ালে বরফি কাটা ফাঁক দিয়ে দেখতে পাওয়া এক অন্য আকাশ। শৈশবের লাল-নীল স্বপ্নের আর আবোল তাবোল ইচ্ছের আকাশ। ওই আকাশের হ - য - ব - র - ল'র নীচে একবার আমরা "সিন্দ্রেল্লা" করেছিলাম। আজ একলা ঘরে বন্ধ জানলার ফাঁকে দেখা স্বল্প আকাশ মনে করায় সেদিনের অবুঝ আবেদনের কথা।
আরও কত কথা ! সেই বয়েসের কিছু পরেই ওই ছাদেই প্রেম হয়েছে পাশের বাড়ির ভিনদেশীর সাথে। তখন বরফি কাটা ছাদের ফাঁকগুলো দিয়ে সোহাগী রোদ্দুর আসত নেমে।
এক বিকেলে স্কুল থেকে ফিরে ছাদের আড়ালে জম্পেশ ইশারা চলছে, হঠাৎ মা কখন পিছনে দাঁড়িয়েছে খেয়াল করিনি। বিনুনী বেঁধে স্কুলে যাবার নিয়ম ছিলো তখন। মা ওই বিনুনী ধরে হিড়হিড় করে টেনে নিয়ে এসেছিলো নীচে।
এখন হাসি অবুঝ কৈশোরের কথা মনে করে ! কিন্তু কিছু কিছু লবণবিন্দু দেখি এখনও লেগে আছে আমার অনবধানের গালে !
আচারের বয়ামগুলো যেখানে বেলাশেষের রোদে লোলুপ চোখে আমাদের দিকেই চাইত। ঝুপ করে নেমে আসা সন্ধ্যায় ছাদের ঘরের ছোট্ট খুপড়িতে নারকোল পাতাগুলো নুয়ে পড়ত সোহাগে। আমরা তখনো ন্যাড়া ছাদের নিচটায় লুকোচুরি খেলছি। টুন'দি, বয়ি'দি, দীপু, রিং, পিং . . . এখনও যেন শুনতে পাচ্ছি মা ডাকছে নিচ থেকে, আয় নীচে নেমে আয় বলছি---ভূতে ধরবে !
বুড়ি দিদিমা মারা গেছেন তখন সদ্য। ভয় পেতাম, গুটি গুটি নেমে আসতাম শব্দহীন পায়ে !
টুন'দি বলত, শুনছিস নূপুরের আওয়াজ হচ্ছে--বলতাম ধুর ! এদিকে সারা শরীরে তখন কাঁটা !
সে সময়ে দূরদর্শনের প্রভাবে আমরা দেখতে শিখে গেছি ভূতের ছবিতে নূপুরের শব্দ হয়, মোমবাতি হাতে বড় বড় নাচমহলের আড়ালে নায়িকারা গান গায়। মনের মধ্যে তারই প্রভাব ছিলো বোধহয়।
তরতরিয়ে নীচে নামতেই মা চুলের মুঠি ধরে বলত, ধিঙ্গি মেয়ে পড়তে বসবি কখন ?
স্বপ্নের মতো ভিড় করে আসছে স্মৃতিরা, শৈশব কৈশোরের বেহিসাবি উজ্জ্বল দিনগুলোর স্মৃতি, এলোমেলোভাবে---বর্ষা বিদায়ের বৃষ্টির মতো।
আমার ছোটোবেলার সেই লম্বা টানা ছাদ আর তার দেয়ালে বরফি কাটা ফাঁক দিয়ে দেখতে পাওয়া এক অন্য আকাশ। শৈশবের লাল-নীল স্বপ্নের আর আবোল তাবোল ইচ্ছের আকাশ। ওই আকাশের হ - য - ব - র - ল'র নীচে একবার আমরা "সিন্দ্রেল্লা" করেছিলাম। আজ একলা ঘরে বন্ধ জানলার ফাঁকে দেখা স্বল্প আকাশ মনে করায় সেদিনের অবুঝ আবেদনের কথা।
আরও কত কথা ! সেই বয়েসের কিছু পরেই ওই ছাদেই প্রেম হয়েছে পাশের বাড়ির ভিনদেশীর সাথে। তখন বরফি কাটা ছাদের ফাঁকগুলো দিয়ে সোহাগী রোদ্দুর আসত নেমে।
এক বিকেলে স্কুল থেকে ফিরে ছাদের আড়ালে জম্পেশ ইশারা চলছে, হঠাৎ মা কখন পিছনে দাঁড়িয়েছে খেয়াল করিনি। বিনুনী বেঁধে স্কুলে যাবার নিয়ম ছিলো তখন। মা ওই বিনুনী ধরে হিড়হিড় করে টেনে নিয়ে এসেছিলো নীচে।
এখন হাসি অবুঝ কৈশোরের কথা মনে করে ! কিন্তু কিছু কিছু লবণবিন্দু দেখি এখনও লেগে আছে আমার অনবধানের গালে !
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন