একতলার এককামরা ঘরটায় জানলা খোলাই থাকে। সিফটিং ডিউটি শেষ করে চাবি খুলেই পায়ে লাগল খামটা। হাতে তুলেই প্রণামের মত মাথায় ঠেকিয়ে বুকে জড়িয়ে ধরল সাইনি। জানলা দিয়ে পোষ্টম্যানরা কেন এ রকম ছোঁড়ে কে জানে? তবুও তো দিয়ে গেল।
সম্বোধন পড়েই মনের মধ্যে ঠাণ্ডা হাওয়া বয়ে গেল। এত জন সামলানোর চাপ হাওয়া। দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে পুরোটা চোখ বুলিয়ে নিল। ভাল সংবাদের সাথে উপমা আর সম্বোধন আরো সুন্দর। দ্রুত হাতে স্নান সেরে খেতে খেতে আবার চোখ বোলায়। সেই সকালের রান্না ঠাণ্ডা ভাত তরকারী যেন মধুর। আয়েস করে চিবিয়ে খায়।
বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যের মুখে দরজা খুলে দাঁড়িয়ে থাকে। কাজের মাসি দেখতে পেয়েই বুঝে যায় আজ এসেছে। পিকলুর নীল অক্ষরে এত যাদু। মনে যেন একরাশ সাদা মেঘ ছড়িয়ে দেয়। এই বাসা ওই বাসা বৌদি দিদি টুকু সবাইকে ডেকে আসর বসায়। আর হাসির ছররা ছড়িয়ে নিজেকে মেলে ধরে।
কাজের মাসিকে আদর করে ডাকে – মালতী এটা দে। মালতী ওটা দে।
চার পাঁচ দিন আগে গেল পিকলু। এর মধ্যে এসে গেল। যাক গে, ভাল দিনগুলো সবাই কাটাতে চায়। মুখঝাড়া দিতে ভাল লাগে না। বেরিয়ে আসে। কর্মসূত্র এসব বোঝে না। পড়ার নেশায় প্রেম পাল্টি। বিয়ে করে আর ছাড়া নেই।
এই একমাত্র ভরসা। আরও কিছু আরও কিছু কথায় কথা চাই। দু তিন বছরের মধ্যে যে করেই হোক ফিরে পিকলুর কাছে হতেই হবে। ততদিন ----
এ সব শুনে এমন হাসি হাসল সতন, সাইনি আর নিজেকে মেলে ধরার সাহস পেল না। এখনকার ছেলেমেয়েরা এমনই। পিকলুও ছড়িয়ে পড়ছে। সেই সব চিঠির ব্যক্ত আজ যেন অনেকটাই অব্যক্ত। শুধুই স্মৃতি!
সম্বোধন পড়েই মনের মধ্যে ঠাণ্ডা হাওয়া বয়ে গেল। এত জন সামলানোর চাপ হাওয়া। দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে পুরোটা চোখ বুলিয়ে নিল। ভাল সংবাদের সাথে উপমা আর সম্বোধন আরো সুন্দর। দ্রুত হাতে স্নান সেরে খেতে খেতে আবার চোখ বোলায়। সেই সকালের রান্না ঠাণ্ডা ভাত তরকারী যেন মধুর। আয়েস করে চিবিয়ে খায়।
বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যের মুখে দরজা খুলে দাঁড়িয়ে থাকে। কাজের মাসি দেখতে পেয়েই বুঝে যায় আজ এসেছে। পিকলুর নীল অক্ষরে এত যাদু। মনে যেন একরাশ সাদা মেঘ ছড়িয়ে দেয়। এই বাসা ওই বাসা বৌদি দিদি টুকু সবাইকে ডেকে আসর বসায়। আর হাসির ছররা ছড়িয়ে নিজেকে মেলে ধরে।
কাজের মাসিকে আদর করে ডাকে – মালতী এটা দে। মালতী ওটা দে।
চার পাঁচ দিন আগে গেল পিকলু। এর মধ্যে এসে গেল। যাক গে, ভাল দিনগুলো সবাই কাটাতে চায়। মুখঝাড়া দিতে ভাল লাগে না। বেরিয়ে আসে। কর্মসূত্র এসব বোঝে না। পড়ার নেশায় প্রেম পাল্টি। বিয়ে করে আর ছাড়া নেই।
এই একমাত্র ভরসা। আরও কিছু আরও কিছু কথায় কথা চাই। দু তিন বছরের মধ্যে যে করেই হোক ফিরে পিকলুর কাছে হতেই হবে। ততদিন ----
এ সব শুনে এমন হাসি হাসল সতন, সাইনি আর নিজেকে মেলে ধরার সাহস পেল না। এখনকার ছেলেমেয়েরা এমনই। পিকলুও ছড়িয়ে পড়ছে। সেই সব চিঠির ব্যক্ত আজ যেন অনেকটাই অব্যক্ত। শুধুই স্মৃতি!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন