শঙ্খর গীটারের সুরে গোটা অডিটোরিয়ামে তখন পিনড্রপ সাইলেন্স আর তিথির ভেতরটা পুড়ে শেষ হয়ে যাচ্ছে।
তার জন্যই শঙ্খ আজ ভাষা হারিয়েছে। ও বোবা হয়ে গেছে!
শঙ্খর গীটারে বেজে চলেছে ওর প্রিয় রফি সাহেবের গান " হাম বেখুদি মে তুমকো পুকারে চলে গ্যায়ে...... "
" সাথী না কোই মঞ্জিল, দিয়া হ্যায় না কোই মেহফিল , চলা মুঝে লে কে আয়ে দিল আকেলা কাঁহা "
এরপর জগজিৎ জীর "তুম যো ইতনা মুসকুরা রহে হো, কেয়া গম হ্যায় জিসে ছুপা রহে হো....... "
তিথির মন চলে গেল ফেলে আসা দিনগুলোতে..........
শঙ্খ ওকে ভালবাসে সেটা ও খুব ভালভাবে জানতো কিন্তু নিজের রূপের অহংকারে কাউকেই নিজের যোগ্য মনে করতোনা।
কেমিস্ট্রি ল্যাবে ও হঠাৎ শঙ্খকে সেদিন বলেছিলো, "এটা যদি তুই খেতে পারিস, তাহলে জানবো তুই আমাকে সত্যি ভালবাসিস"!
শঙ্খ ভীষণ অবাক চোখে তাকিয়েছিল তারপর ওর হাত থেকে কেমিক্যাল সলিউশনটা গলায় ঢেলে দিয়েছিল......
তিথি কেঁপে উঠেছিল। ও তো শুধু মজা করতে চেয়েছিল। ও জানতো, কেমিস্ট্রির স্টুডেন্ট হয়ে শঙ্খ কিছুতেই ওই সলিউশন খাবেনা, আর তখন ও শঙ্খকে নিয়ে মজা করতে পারবে।
অনেক চিকিত্সার পর প্রাণে বাঁচলেও শঙ্খর গলা থেকে স্বর হারিয়ে গেল।শঙ্খ কাউকেই তিথির নাম বলেনি ।
তিথি শঙ্খর মুখোমুখি আর হতে পারেনি, কিন্তু ও নিজে জানে প্রতিমূহুর্তে ও নিজেকে অভিশাপ দিয়েছে।
কেটে গেছে দশটা বছর।
শঙ্খ ছাড়া আর কাউকেই ও মনেতে ঠাঁই দিতে পারেনি।
আজ এতদিন পর ও শঙ্খর কাছে নিজেকে সমর্পণের জন্য প্রস্তুত।
শঙ্খ কি ওকে ফিরিয়ে দেবে?
সম্বিৎ ফিরতেই তিথি শুনতে পেল, শঙ্খ বাজাচ্ছে " মেরা জীবন কোরা কাগজ, কোরাই রহে গ্যায়া"।
এত অভিমান ওর মনে জমে আছে? প্রতিটা গান হৃদয় ছুঁয়ে যাচ্ছে ।
তিথি আনমনে কখন যেন স্টেজের ওপর উঠে এসেছে। শঙ্খর বাজানো শেষ হতেই ও গেয়ে উঠলো, " মেরা কুছ সামান তুমহারে পাস পড়া হ্যায়....... "
শঙ্খ একরাশ বিস্ময় নিয়ে তিথিকে দেখছে। তিথির গান শেষ হবার আগেই শঙ্খ গিটার হাতে স্টেজ থেকে নেমে গেল। তিথিও ছুটে গেল ।
----
তিথি ছুটে গিয়ে শঙ্খর সামনে দাঁড়াল, মুখে কিছু বলতে পারলোনা , ওর দুচোখ তখন জলে ভেসে যাচ্ছিলো।
শঙ্খর হাতদুটো ধরে অনেক কিছু বলতে চাইলো, পারলোনা। শুধু হাতটা ধরে থাকলো।
শঙ্খ তিথির দিকে কিছুক্ষণ চেয়ে রইল, তারপর তিথির হাতের মধ্যে থেকে নিজের হাতটা সরিয়ে নিয়ে চলে গেল।
ওর মুখে কথা ছিলনা, কিন্তু ওর দুচোখে অনেক প্রশ্ন ছিল।
তিথি মনে মনে বললো, সেদিন তোর ভালবাসা বুঝেও আমি না বোঝার ভান করেছিলাম, তুই কি আজ সেটা ফিরিয়ে দিলি?
তার জন্যই শঙ্খ আজ ভাষা হারিয়েছে। ও বোবা হয়ে গেছে!
শঙ্খর গীটারে বেজে চলেছে ওর প্রিয় রফি সাহেবের গান " হাম বেখুদি মে তুমকো পুকারে চলে গ্যায়ে...... "
" সাথী না কোই মঞ্জিল, দিয়া হ্যায় না কোই মেহফিল , চলা মুঝে লে কে আয়ে দিল আকেলা কাঁহা "
এরপর জগজিৎ জীর "তুম যো ইতনা মুসকুরা রহে হো, কেয়া গম হ্যায় জিসে ছুপা রহে হো....... "
তিথির মন চলে গেল ফেলে আসা দিনগুলোতে..........
শঙ্খ ওকে ভালবাসে সেটা ও খুব ভালভাবে জানতো কিন্তু নিজের রূপের অহংকারে কাউকেই নিজের যোগ্য মনে করতোনা।
কেমিস্ট্রি ল্যাবে ও হঠাৎ শঙ্খকে সেদিন বলেছিলো, "এটা যদি তুই খেতে পারিস, তাহলে জানবো তুই আমাকে সত্যি ভালবাসিস"!
শঙ্খ ভীষণ অবাক চোখে তাকিয়েছিল তারপর ওর হাত থেকে কেমিক্যাল সলিউশনটা গলায় ঢেলে দিয়েছিল......
তিথি কেঁপে উঠেছিল। ও তো শুধু মজা করতে চেয়েছিল। ও জানতো, কেমিস্ট্রির স্টুডেন্ট হয়ে শঙ্খ কিছুতেই ওই সলিউশন খাবেনা, আর তখন ও শঙ্খকে নিয়ে মজা করতে পারবে।
অনেক চিকিত্সার পর প্রাণে বাঁচলেও শঙ্খর গলা থেকে স্বর হারিয়ে গেল।শঙ্খ কাউকেই তিথির নাম বলেনি ।
তিথি শঙ্খর মুখোমুখি আর হতে পারেনি, কিন্তু ও নিজে জানে প্রতিমূহুর্তে ও নিজেকে অভিশাপ দিয়েছে।
কেটে গেছে দশটা বছর।
শঙ্খ ছাড়া আর কাউকেই ও মনেতে ঠাঁই দিতে পারেনি।
আজ এতদিন পর ও শঙ্খর কাছে নিজেকে সমর্পণের জন্য প্রস্তুত।
শঙ্খ কি ওকে ফিরিয়ে দেবে?
সম্বিৎ ফিরতেই তিথি শুনতে পেল, শঙ্খ বাজাচ্ছে " মেরা জীবন কোরা কাগজ, কোরাই রহে গ্যায়া"।
এত অভিমান ওর মনে জমে আছে? প্রতিটা গান হৃদয় ছুঁয়ে যাচ্ছে ।
তিথি আনমনে কখন যেন স্টেজের ওপর উঠে এসেছে। শঙ্খর বাজানো শেষ হতেই ও গেয়ে উঠলো, " মেরা কুছ সামান তুমহারে পাস পড়া হ্যায়....... "
শঙ্খ একরাশ বিস্ময় নিয়ে তিথিকে দেখছে। তিথির গান শেষ হবার আগেই শঙ্খ গিটার হাতে স্টেজ থেকে নেমে গেল। তিথিও ছুটে গেল ।
----
তিথি ছুটে গিয়ে শঙ্খর সামনে দাঁড়াল, মুখে কিছু বলতে পারলোনা , ওর দুচোখ তখন জলে ভেসে যাচ্ছিলো।
শঙ্খর হাতদুটো ধরে অনেক কিছু বলতে চাইলো, পারলোনা। শুধু হাতটা ধরে থাকলো।
শঙ্খ তিথির দিকে কিছুক্ষণ চেয়ে রইল, তারপর তিথির হাতের মধ্যে থেকে নিজের হাতটা সরিয়ে নিয়ে চলে গেল।
ওর মুখে কথা ছিলনা, কিন্তু ওর দুচোখে অনেক প্রশ্ন ছিল।
তিথি মনে মনে বললো, সেদিন তোর ভালবাসা বুঝেও আমি না বোঝার ভান করেছিলাম, তুই কি আজ সেটা ফিরিয়ে দিলি?
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন