মঙ্গলবার, ৩০ আগস্ট, ২০১৬

তিনি ছিলেন এবং আছেন সবখানে: আমার 'মা' -- জাকিয়া জেসমিন যূথী

সব যুগেই কোন একটি বিশেষ ব্যক্তি কারো না কারো প্রতি প্রভাব ফেলে। অন্তত বেশিরভাগ মানুষ কোন ব্যক্তিকে অনুসরণ করে। সেটি প্রত্যক্ষভাবে না হলেও অনেক সময় আনমনেই ঘটে যায়।
.
আমার জীবনেও তেমন একজন ব্যক্তি আমার মা। তিনি যেমন বড় ফামিলির বড় সন্তান ছিলেন, তেমনি বৈবাহিক সূত্রেও যৌথ পারিবারিক আবহেই জীবনযাপন করেছেন। আমিও সেই ছোটবেলায় কৈশোর পর্যন্ত নানাবাড়িতে বেড়ে উঠেছি। সেই সূত্রে একটি বিশাল পারিবড়িক আবহেই আমারও জীবনের কিছুটা সময় অতিবাহিত হয়েছে। এভাবে যৌ আবহে বিভিন্ন রকম মানুষের বিভিন্ন রকম মানসিকতায় টিকে থাকার একটা বোধ গেঁথে গিয়েছে খুব ছোটবেলাতেই। 
.
আম্মু খুব ভালো রাধুনী। খেতে ও খাওয়াতে খুব পছন্দ করেন। আমার মধ্যেও সেই বোধ রয়েছে। এসব বিষয়গুলো অবচেতন মনে পবিকল ভাবমূর্তি পেয়েছে নাকি তাকে দেখে আমার তাঁর মত হবার ইচ্ছে জেগেছে তা সেভাবে স্পষ্ট হয়না। কিন্তু এখন বর্তমানে এসে ভাবলে মনে হয়, এটাই আমার আদর্শ হয়ে গেছে। 
.
মা গরীব দু:খী দু:স্থের সেবা করেন। সেটিও আমার মধ্যে আসে। অসহায়ের কষ্ট দেখে নিজেকে ঠিক রাখতে কষ্ট হয়। নিজেকে বিলিয়ে দিয়ে হলেও অন্যের জন্য নিবেদিত হতে ইচ্ছে করে। আজ তাই আমি নিজেই অনেক মানবিকতার সাথে জড়িয়ে যাই, জড়িয়ে আছি।এবং এই আদর্শ মায়ের কাছ থেকেই পাওয়া।
.
মানুষের জন্ম বড় বিষয় নয়। মানুষকে শ্রদ্ধা ও ভালবাসতেও মায়ের কাছেই শেখা। এখনো এত বড় হয়েও উচ্চ কণ্ঠের কথা তিনি বরদাস্ত করেন না। 
.
আমার বেড়ে ওঠার পরিমন্ডল থেকে এতটা এগিয়ে শিক্ষা দীক্ষা সৃজনশীলতায় পারদর্শী এই বর্তমান আমির পেছনে সর্বদা যার অদৃশ্য অথবা দৃশ্যমান সেবা ছিলো তিনি আমার মা। তিনি আছেনামার সমস্ত সাফল্য গাঁথার পেছনে। 
ভালবাসি আমার এই আদর্শকে, আমার এই অনুপ্রেরণাদাত্রীকে। 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

সম্পাদিকার ডেস্ক থেকে

উৎসবের আলোড়ন কিছুটা স্তিমিত , তবুও মনের অলিন্দে হৈমন্তী স্বপ্ন । বারো মাসের তেরো পার্বণ প্রায় শেষ মুখে , উৎসব তিথি এখন অন্তিম লগ্ন যাপনে ব...