বুধবার, ১ জুন, ২০১৬

অপূর্ণ ~ শ্যামশ্রী চাকী

তেষ্টা কি আর মিটে ম্যেডাম!! আল্লায় দেসে বান্দায় খায়ে বাঁচে।' ঝুঁকে পড়ে লতাটা টেনে আনে পঁয়ত্রিশের বাবুদ্দিন। পানিলতি!!জয়েন্তী পাহাড়ের সেই বিখ্যাত লতা,কাটুম কুটুম সংগ্রহকারীদের জন্য জীবনদায়ী। ডালটা ছিঁড়তেই জলের ধারা, কিছুটা গলায় ঢালে নীপা। ঈষৎ কষটে হলেও এই গহীন বনে তৃষ্ণা নিবারক।
হঠাৎ একটা শব্দ হতেই এক ঝটকায় এক ঝোপের পেছনে নীপাকে শুইয়ে ফেলে বাবুদ্দিন। নিজে নীপার ওপড়ে!! আতংকে নীপার গলাদিয়ে আওয়াজ বেরোয়না, শক্ত হাতে চেপে ধরে ভয়ার্ত নীল ঠোঁট। তাকিয়ে দেখে, সামনে দিয়ে উড়ে যাচ্ছে হলুদ চাদর; ডুয়ার্সের ত্রাস চিতা!! নীপা জড়িয়ে ধরে বাবুদ্দিনকে, ভয় পরিনত হয় ভালোলাগায়। বাবুদ্দিনের পেশীববহূল শরীরে মিশে যেতে চায় নীপা। একসময় পাখি আর বাঁদর ডেকে ওঠে। গা ঝাড়া দিয়ে ওঠে বাবুদ্দিন। 'লাগে নাই ত ম্যেডাম?' ধীর পায়ে কাটুম কুটুম গুলো কুড়িয়ে ফিরে আসে রিসোর্টে। সফেন বিয়ার হাতে পার্থ বারান্দায় বসা। শারীরিক ভাবে অক্ষম পার্থ সব জানিয়েই বিয়ে করেছিল বাপ মা মরা আর্ট কলেজের ছাত্রী নীপাকে। শখ আহ্লাদ কোন কিছুরই ত্রুটি রাখেনি, নীপার আবদারটুকু পুরণ করতেই এই জয়েন্তীতে আসা। রুমে ঢুকে প্রান ভরে ঠান্ডা জল খায় নীপা।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

সম্পাদিকার ডেস্ক থেকে

উৎসবের আলোড়ন কিছুটা স্তিমিত , তবুও মনের অলিন্দে হৈমন্তী স্বপ্ন । বারো মাসের তেরো পার্বণ প্রায় শেষ মুখে , উৎসব তিথি এখন অন্তিম লগ্ন যাপনে ব...