মরতে চেষ্টা করবো কেন? এমনিতেই যে মরে আছি।’ মৃতপ্রায় অমৃতা আপ্রাণ চেষ্টা করে কথাকয়টা উগড়ে দিলো মুখ থেকে।
আপনাকে ঐ খাবার কে খাইয়েছে?
কেউ না। আমি নিজেই খেয়েছি ওই খাবার। বরাবর নিজের হাতেই খেয়ে অভ্যস্ত যে।
ঠিক আছে, আপনি নিজের হাতেই খেয়েছেন। কিন্তু খাবারে বিষ মেশালো কে?
আমাকে একটু শান্তিতে ঘুমোতে দিন। আর পারছি না জেগে থাকতে।
আগে বলুন যা জানতে চাইছি। আপনার কথা শুনে যে করেছে তাকে ধরে এনে এমন শাস্তি দেবো যে জীবনে কক্ষনো......
থাক্, আপনাদের অত কষ্ট না করলেও চলবে। অমৃতা বাধা দিলো।
কষ্ট হবে কেন? এটা তো আমাদের কর্তব্য।
কোথায় ছিলো আপনাদের এই কর্তব্য জ্ঞান? যতবারই অভিযোগ করতে থানায় গিয়েছি ভাগিয়ে দিয়েছেন। আজ কর্তব্য দেখাতে এসেছেন? কথাগুলো বলে অমৃতা হাঁপাতে লাগলো। শেষ নিশ্বাসটা কিছুতেই বেরোতে যে চাইছে না। গলার কাছে আটকে আছে। এভাবে আর কতক্ষণ! অনেক কষ্টই তো সয়েছে এই কয় বছরে। শাশুড়ি বেঁচে থাকলে না জানি আরও কত যাতনা সইতে হতো!
ঠিক আছে। এবার বলুন দেখি, আপনাকে বিষ খাইয়ে মারতে চাইলো কেন?
অমৃতার প্রবল ইচ্ছে হলেও অনেক কথাই বলতে পারছে না। বলতে ইচ্ছে করছে, স্বামী ওকে বিয়ে করে এনে ব্যবহার করতে চেয়েছে। বলতে ইচ্ছে করছে, ও আসার পর এই সংসারে কিছুটা হলেও চাপা শান্তি ফিরে এসেছিলো। খুব ইচ্ছে করছে বলতে, প্রতীবাদ করতে গিয়ে...... অমৃতা ভাবনা ছেড়ে পাশ ফিরে শুলো। অতশত বলার সুযোগ যখন পাবে না খামোখা চেষ্টা করে কি লাভ? তারচেয়ে চিরঘুমে তলিয়ে যাওয়া অনেক ভালো।
আপনাকে ঐ খাবার কে খাইয়েছে?
কেউ না। আমি নিজেই খেয়েছি ওই খাবার। বরাবর নিজের হাতেই খেয়ে অভ্যস্ত যে।
ঠিক আছে, আপনি নিজের হাতেই খেয়েছেন। কিন্তু খাবারে বিষ মেশালো কে?
আমাকে একটু শান্তিতে ঘুমোতে দিন। আর পারছি না জেগে থাকতে।
আগে বলুন যা জানতে চাইছি। আপনার কথা শুনে যে করেছে তাকে ধরে এনে এমন শাস্তি দেবো যে জীবনে কক্ষনো......
থাক্, আপনাদের অত কষ্ট না করলেও চলবে। অমৃতা বাধা দিলো।
কষ্ট হবে কেন? এটা তো আমাদের কর্তব্য।
কোথায় ছিলো আপনাদের এই কর্তব্য জ্ঞান? যতবারই অভিযোগ করতে থানায় গিয়েছি ভাগিয়ে দিয়েছেন। আজ কর্তব্য দেখাতে এসেছেন? কথাগুলো বলে অমৃতা হাঁপাতে লাগলো। শেষ নিশ্বাসটা কিছুতেই বেরোতে যে চাইছে না। গলার কাছে আটকে আছে। এভাবে আর কতক্ষণ! অনেক কষ্টই তো সয়েছে এই কয় বছরে। শাশুড়ি বেঁচে থাকলে না জানি আরও কত যাতনা সইতে হতো!
ঠিক আছে। এবার বলুন দেখি, আপনাকে বিষ খাইয়ে মারতে চাইলো কেন?
অমৃতার প্রবল ইচ্ছে হলেও অনেক কথাই বলতে পারছে না। বলতে ইচ্ছে করছে, স্বামী ওকে বিয়ে করে এনে ব্যবহার করতে চেয়েছে। বলতে ইচ্ছে করছে, ও আসার পর এই সংসারে কিছুটা হলেও চাপা শান্তি ফিরে এসেছিলো। খুব ইচ্ছে করছে বলতে, প্রতীবাদ করতে গিয়ে...... অমৃতা ভাবনা ছেড়ে পাশ ফিরে শুলো। অতশত বলার সুযোগ যখন পাবে না খামোখা চেষ্টা করে কি লাভ? তারচেয়ে চিরঘুমে তলিয়ে যাওয়া অনেক ভালো।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন