বুধবার, ১ জুন, ২০১৬

হেরো সিরিজ ( হেরো -১৫ , ১৬ , ১৭ , ১৮ ) ~ শুভাশিস সিংহ

হেরো - (১৫) 
:
আন্দাজ মত ভালোবেসেছিলাম পরিচর্যার ঘনঘটা না থাকলেও প্রান্তিক সুখ মধ্যস্থতা করেছিল
হাঁটতে হাঁটতে
বসন্ত এসে গেল পারদর্শী চাদরে অস্থিরতা থিতু হত গোপন মুহূর্ত লুকোচুরি খেলত সময়-সুযোগের ভাঁজে ভাঁজে
পট পরিবর্তন
রক্তিম সূর্য-র ঝাঁঝ কমলে আদর্শ গৃহিনী আঙুলের ডগায় অপেক্ষার নজরে উপেক্ষার কলিংবেলে ভেপারের লাম্পের ভাতঘুম ভাঙল
সময় একটু এগোল
সন্ধ্যার আঁধার ঘনিয়ে রাত হল ব্যালকনির দোলনায় দুটি মেরুকরণ মেঘের সিঁড়ি বেয়ে বসে অনুপ্রবেশী চাঁদ
প্রাইমটাইম খতম
ফাইবারের প্লেটে ডাল-ভাত চিলি-চিকেনটা পড়ে রইল দৈহিক শক্তির লৌকিক সেনাদল অনিহার লস্কর তৈরি করল পরজীবী রাত চোখের পাতায় ছাউনি বানাল
শান্তি চুক্তির শ্লোগান
রাত পাখিদের দৃঢ় কণ্ঠে চারটে চল্লিশের ফাসর্ট লোকালের আওয়াজ আজ কানে বাজেনি ভোরের সূর্য এইমাত্র কড়া নাড়ল চোখের দোরগোড়ায়
শুধু একটা কথা কানে লেগে 'নারী পুরুষের অনুভব আর পুরুষ নারীর কৌতুহল '
লজ্জা ঘৃণা মৃত হল
*
হেরো -(১৬)
:
এখন তুমি বড় নিরপেক্ষ একটু উদাসীন খানিক অবচেতন
তোমাকে জানতে ইচ্ছা হয় অনুভবে ব্যস্ত আমি নিত্য সংগঠিত ঘটনায়
তোমার চোখে আহত রাতের উপসর্গ বেশ কিছু দিনের সংক্রমক ব্যাধি বাকিটা অলীক স্বপ্ন
এখন তুমি অনেকটাই সুরক্ষিত নিয়মমাফিক চন্দন আর রজনীগন্ধার শৃঙ্খলে
*
হেরো -(১৭)
:
চিলেকোঠার শীতঘুমে নাবালকের খোলস ত্যাগ বিতর্ক চোখের কোণের ময়লা হলে অন্ধকারের স্নানে ধুয়ে ফেলে শরীর পরিসংখ্যানের জরায়ুতে নাসরিন একটা মৃত ভ্রূণের নাম
*
হেরো -(১৮)
:
হাজারখানিক পুরোনো চিন্তা
ইদানিং গল্প করতে আসে
অতিবাহিত সময়
কানখাড়া করে শোনে
মূক-বধির কথোপকথন
বৃষ্টি সংলগ্ন চোখ
প্রতিঘাতের কাজল ধুয়ে ফেলে
বড্ড হিসেবি তুই
সমস্ত পরিকল্পিত প্রয়োজনে
হিসেব কষলে দেখতে পাবি
আমার শরীরে তোর লাজুক চোখের বাসা
ভয় পাস না
সে লজ্জা তোকে ফেরত দেব না

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

সম্পাদিকার ডেস্ক থেকে

উৎসবের আলোড়ন কিছুটা স্তিমিত , তবুও মনের অলিন্দে হৈমন্তী স্বপ্ন । বারো মাসের তেরো পার্বণ প্রায় শেষ মুখে , উৎসব তিথি এখন অন্তিম লগ্ন যাপনে ব...