রবিবার, ১ মে, ২০১৬

রবিবাসরীয় ~ পিয়ালী পাল

রবিবার সকাল ৯টা । উত্তর কলকাতার অতি চিরপরিচিত রাস্তার এক নাম না জানা পাড়া । পাড়ার ছেলে বুড়োরা জমায়েত রবিবারের মজলিশি ঠেকে । সৌরভ গাঙ্গুলী থেকে পাশের পাড়ার রমলা বৌদির নতুন প্রেমিকের কথা ...সবই রয়েছে এ ঠেকে । হঠাৎ দেখা গেল হাবুল কে ( হাবুল এ পাড়ারই ছেলে ) হাতে রংচঙে ফুলকারী ব্যাগ, পায়ে ছেঁড়া চপ্পল, গায়ে হলুদ শার্ট। ঠেকে তখন ভোটাভুটির ভট্ভটি সবে থেমেছে। অমল কাকা “র-ম-” বলতেই হাবুকে দেখে “লা” গিলে ফেললেন। সবার ফোকাস এখন হাবুল। প্রায় দিন’ই এঁদের খপ্পরে নাজেহাল হয় হাবুল। তার চোখটা নাকটা চুলটা- সব নিয়েই ফুলুরির মতো সুস্বাদু ঠাট্টা চলে।
“ওহে হাবুলচন্দ্র, গায়ে হলুদ মাখা হয়েছে কেন আজ?”-বলে পলাশকাকা চোখ টিপলেন রমলা বৌদির বাতিল প্রেমিক কমলা পাঞ্জাবি পরা অমলকাকার দিকে। জ্যান্ত মানুষকে কথায় লাশ বানানো পলাশকাকার (বে)গুণ। ক্যাবলামুখো হাবুল উত্তর না দিয়ে এক কোনে পড়ে-থাকা রবিবাসরীয় চাইল...শুনে চায়ের ভাঁড় পড়ে গেল রথী জ্যেঠুর “রওওবীবাআসরিয়!!! আই ছোড়া তুই নিয়ে কি করবি রে? পড়াশোনায় তো লাড্ডাগোড্ডা!হে হে হে” মজলিস জমে গেলো। দাঁত কেলিয়ে সবাই হাবুলকে নাজেহাল করছে... তখন ৯টা ৩০। বাজার যেতে হবে দেখে হাবুুলকে অল্পে ছাঁড় দেওয়া হ’ল। কাগজটা পেয়ে ফুলকারি ব্যাগে পুড়ে দৌড় মায়ের কাছে । মায়ের হাতে দিয়ে হাবুলের মনে হ’ল যেন সৌরভ গাঙ্গুলীর মত সেও সেঞ্চুরি করেছে। 
ছাপার অক্ষরে ছেলের নাম আর লেখা দেখে চোখ ভিজলো রমলার।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

সম্পাদিকার ডেস্ক থেকে

উৎসবের আলোড়ন কিছুটা স্তিমিত , তবুও মনের অলিন্দে হৈমন্তী স্বপ্ন । বারো মাসের তেরো পার্বণ প্রায় শেষ মুখে , উৎসব তিথি এখন অন্তিম লগ্ন যাপনে ব...