যে কোনো ঝড় এলেই আমি সামলে নেবো ঠিক,এমন-ই ভেবেছি এতকাল।
.
চাষীর মতো খরাভূমিতেও নামমাত্র ফসল ফলিয়ে চলেছি। সেই ফসল ঘরে তোলার সময় আমি আবার ঝড়ের আঁচ পাচ্ছি। মন্দ নয়। অদৃশ্য, অথচ এক সম্ভাব্যের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিচ্ছি। এক নতুন কাজ হয়েছে আমার । সম্ভাব্য শূন্যতাকে আত্মস্থ করবার মতো একটা বীজের অঙ্কুরোদ্গমও হচ্ছে যেন্। পাশে একটা বৃদ্ধ বটগাছ বহুদিন ধরে ছায়া জুগিয়ে যাচ্ছে।সেও এই খেলার পরোক্ষ সামিল হচ্ছে, ছায়া জুগিয়েই চলেছে।
.
আসলে আমার সামনে লক্ষ্য একটাই... একটা ছোট্ট ধানের গোলা, সে গোলার গায়ে একটু সোনা রোদ লাগবে, উঠোনের কোণের মাধবীলতা, নয়নতারা, আর জুঁইগাছে আবার কয়েকটা ফুল ফুটবে।কলের জল পড়বে একটু বেশী শব্দ করে...ছরছর...ছরছর। সেই সবুজ স্বপ্নটাই চাগিয়ে তুলছে আমায় বারবার...সেখানে সব কিছু অরণ্য-সবুজ।
.
প্রতিদিন সন্ধেবেলায় মায়ের ছবির কাছে একটা মোমবাতি জ্বালাই।মোমবাতির আলো কাছেই পড়ার ছোটো কাঠের টেবিলটায় আশ্রয় খোঁজে।গ্রীষ্মের সন্ধেবেলার একটা উষ্ণ দমকা হাওয়াও মোমের আলোকে নেভায় না।তারও শীতল হওয়ার খিদে...!! ঝড়-ঝাপ্টার মধ্যেও এরকম কিছু টুকরো ভালোলাগায় নিত্য অবগাহন আমার।
.
যে কোনো ঝড় এলেই আমি সামলে নেবো ঠিক?
.
সেই চেনা ঝড়ের সাথে আমার নিত্য লড়াই- নিত্য চ্যালেঞ্জ। মুঠি দৃঢ় হয়, দৃষ্টি প্রখর হয়। বহমান জীবনের অবসন্নতাকেও লুটিয়ে দিচ্ছি বারবার।
.
কিন্তু যখন ঝড়ের অভিমুখ ঘুরে যায় অন্য দিকে,আচম্বিতে!!!... আমার সমস্ত কথন তীব্র প্রতিবাদ করে ওঠে।তীক্ষ্ণ ফলার মতো তার ধুলো-হাওয়া আমায় বিঁধে দিয়ে যায়।আমার আত্মনিমগ্নতা ছিন্ন হয়। এতোদিনের একটা সংগ্রামী প্রচ্ছদ, যা আমি তিলে তিলে তৈরী করেছি আমার নিজস্ব অনুসঙ্গ দিয়ে,--যার বুকে দুরবর্তী এক স্নিগ্ধ ছবি অপেক্ষমান, ছিন্ন হয়ে যেতে চায় সেই প্রচ্ছদ... বেইমান কুঁজো ঝড়ের শেয়ালী চতুরতায় ; তার চরিত্র লুটোপুটি খায়...
প্রকৃত ঝড়ের রাজকীয় রূপ এক লহমায় ধ্বংস হয়।
তবু আমার ক্ষতবিক্ষত প্রচ্ছদকে আগলে রাখি আবার...ছবি মুছে গেলেও, আবার একটা ট্রেসিং পেপারের সন্ধান করি, আবার...এবং আবার। নিজেকে ঝেড়ে-মুছে নিই সম্ভাব্য কোনো সুস্থ ঝড়ের অপেক্ষায়...
।
সুদূরে কোনো সিঁদুর-পরা মহানক্ষত্র তাকিয়ে থাকে...
.
চাষীর মতো খরাভূমিতেও নামমাত্র ফসল ফলিয়ে চলেছি। সেই ফসল ঘরে তোলার সময় আমি আবার ঝড়ের আঁচ পাচ্ছি। মন্দ নয়। অদৃশ্য, অথচ এক সম্ভাব্যের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিচ্ছি। এক নতুন কাজ হয়েছে আমার । সম্ভাব্য শূন্যতাকে আত্মস্থ করবার মতো একটা বীজের অঙ্কুরোদ্গমও হচ্ছে যেন্। পাশে একটা বৃদ্ধ বটগাছ বহুদিন ধরে ছায়া জুগিয়ে যাচ্ছে।সেও এই খেলার পরোক্ষ সামিল হচ্ছে, ছায়া জুগিয়েই চলেছে।
.
আসলে আমার সামনে লক্ষ্য একটাই... একটা ছোট্ট ধানের গোলা, সে গোলার গায়ে একটু সোনা রোদ লাগবে, উঠোনের কোণের মাধবীলতা, নয়নতারা, আর জুঁইগাছে আবার কয়েকটা ফুল ফুটবে।কলের জল পড়বে একটু বেশী শব্দ করে...ছরছর...ছরছর। সেই সবুজ স্বপ্নটাই চাগিয়ে তুলছে আমায় বারবার...সেখানে সব কিছু অরণ্য-সবুজ।
.
প্রতিদিন সন্ধেবেলায় মায়ের ছবির কাছে একটা মোমবাতি জ্বালাই।মোমবাতির আলো কাছেই পড়ার ছোটো কাঠের টেবিলটায় আশ্রয় খোঁজে।গ্রীষ্মের সন্ধেবেলার একটা উষ্ণ দমকা হাওয়াও মোমের আলোকে নেভায় না।তারও শীতল হওয়ার খিদে...!! ঝড়-ঝাপ্টার মধ্যেও এরকম কিছু টুকরো ভালোলাগায় নিত্য অবগাহন আমার।
.
যে কোনো ঝড় এলেই আমি সামলে নেবো ঠিক?
.
সেই চেনা ঝড়ের সাথে আমার নিত্য লড়াই- নিত্য চ্যালেঞ্জ। মুঠি দৃঢ় হয়, দৃষ্টি প্রখর হয়। বহমান জীবনের অবসন্নতাকেও লুটিয়ে দিচ্ছি বারবার।
.
কিন্তু যখন ঝড়ের অভিমুখ ঘুরে যায় অন্য দিকে,আচম্বিতে!!!... আমার সমস্ত কথন তীব্র প্রতিবাদ করে ওঠে।তীক্ষ্ণ ফলার মতো তার ধুলো-হাওয়া আমায় বিঁধে দিয়ে যায়।আমার আত্মনিমগ্নতা ছিন্ন হয়। এতোদিনের একটা সংগ্রামী প্রচ্ছদ, যা আমি তিলে তিলে তৈরী করেছি আমার নিজস্ব অনুসঙ্গ দিয়ে,--যার বুকে দুরবর্তী এক স্নিগ্ধ ছবি অপেক্ষমান, ছিন্ন হয়ে যেতে চায় সেই প্রচ্ছদ... বেইমান কুঁজো ঝড়ের শেয়ালী চতুরতায় ; তার চরিত্র লুটোপুটি খায়...
প্রকৃত ঝড়ের রাজকীয় রূপ এক লহমায় ধ্বংস হয়।
তবু আমার ক্ষতবিক্ষত প্রচ্ছদকে আগলে রাখি আবার...ছবি মুছে গেলেও, আবার একটা ট্রেসিং পেপারের সন্ধান করি, আবার...এবং আবার। নিজেকে ঝেড়ে-মুছে নিই সম্ভাব্য কোনো সুস্থ ঝড়ের অপেক্ষায়...
।
সুদূরে কোনো সিঁদুর-পরা মহানক্ষত্র তাকিয়ে থাকে...
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন