শনিবার, ২ এপ্রিল, ২০১৬

ফেরা ~ সৌমলেন্দু ঘোষ

বকখালি, ২৩শে আগস্ট 
ভেজা বালির উপর দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে সায়কের আজ বেশ ভাল লাগছিল, লাগবে নাই বা কেন; কাল থেকে সে মুক্ত, আর তাকে কারো গোলামি করতে হবে না। বস না বললেও এটাই হবে তার শেষ কাজ। ** (কয়েকদিন আগে, ১৮ই আগস্ট) - বাট, স্যার কাজটা খুব রিস্কি; বিচে প্রচুর লোকজনের মাঝে... - কোনো লেম এক্সিকিউজ নয়, যে আমার গ্যাং এর সব খবর পুলিশের কানে তুলে দিচ্ছে তাকে আমি আর বাঁচতে দিতে পারি না; নাউ মুভ... ** (পাঁচদিন পর, রাত্রিবেলায়...) - স্যার, পাখি খাঁচায় ধরা পড়েছে; কি করব? - গ্রেট নিউজ ম্যান, আমি কাল সকালেই বকখালি পৌঁছাব; তারপর শালা-কে খতম করব, খোচরগিরি আমি ঘুচিয়ে দেব। ** বকখালি, ২৪শে আগস্ট (বিকালে...) - তোকে ছাড়ব না, কুত্তা! আমার খেয়ে আমাকেই কামড়াবি...??? - চুপ, একদম চুপ! মনে পড়ে একবছর আগে আমার ছোট্ট ছেলেটাকে আর রুমিকে কিভাবে খুন করেছিল তোর লোক? শুধু তোকে মারার জন্যই তোর দলে ভিড়েছিলাম, আজ তোকে পেয়েছি; তোকেও শেষ করে তবে আমার শান্তি। - প্লিজ সায়ক, ছেড়ে দে আমায়; কত টাকা চাস তুই বল...?? - টাকা..!!! হা হা... - আহহহ...!!! ** (ফ্ল্যাশব্যাক, প্রায় বছরখানেক আগে..) - প্লিজ বাপি, আমিও ওটা খাব.. - না সোনু , ওগুলো বাজে খাবার; আমি তোমাকে আজ রাতে চাইনিজ খাওয়াবো.. - না মম, আমি এখনই কোকোনাট ওয়াটার খাব.. - আচ্ছা ঠিক আছে, কিনে দিই না; একদিনই তো... দূরে দাঁড়িয়ে থাকা ঠেলাগাড়ি-টার দিকে এগোল সায়ক, তিনটে শাঁসওয়ালা বড় ডাব কিনল; খাওয়া হলে সায়ক বলল- - চলো না রুমি, বিচ থেকে একটু বেরিয়ে আসি.. - ওকে চল, দাঁড়াও চটিগুলো বরঞ্চ হাতে নি; খালি পায়ে ভিজে বালির উপর হাঁটতে খুব ভাল লাগে.. - একটা কবিতা বল না রুমি, তুমি তো কলেজ লাইফেও... - ধুস! কী যে বল না.. - প্লিজ মম...!! রুমি গলাটা একটু ঝেড়ে বলে উঠল- "অনিমিখ রাত ঢাকা দেওয়া আছে আকাশের ক্যানভাসে, আর বাকিটা আদুরে চোখে... সায়ক আর সোনু মুগ্ধ হয়ে শুনতে লাগল, তারা জানতেও পারল না যে পিছনের অন্ধকার ফুঁড়ে বেশ কয়েকজন ওদের ঘিরে ফেলছে....

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

সম্পাদিকার ডেস্ক থেকে

উৎসবের আলোড়ন কিছুটা স্তিমিত , তবুও মনের অলিন্দে হৈমন্তী স্বপ্ন । বারো মাসের তেরো পার্বণ প্রায় শেষ মুখে , উৎসব তিথি এখন অন্তিম লগ্ন যাপনে ব...