শনিবার, ৫ মার্চ, ২০১৬

বিষকন্যা ~ সৌমলেন্দু ঘোষ

সব শেষের পরে- 
:
সময়- ৩রা এপ্রিল, ২১৫৭ 
- আহহ! 
হঠাৎই একটা পাথরে হোঁচট খেয়ে পড়ে গেল ত্রিকা, তাড়াতাড়ি উঠেই আবার দৌড় দিল সে। অনেক, সত্যিই অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে তাকে, খুঁজে নিতে হবে এক নিশ্চিন্ত আশ্রয়; পৃথিবীর শেষ নারী সে, তার গর্ভেই রয়েছে রিকো-র সন্তান, তাকে বাঁচাতেই হবে... 
***সব শুরুর আগে- 
সময়- ২২শে মে, ২১৫৩
- কনগ্র্যাচুলেশন! মিস্টার পার্ক... 
- হুমম! এটা কিন্তু প্র্যাকটিক্যালি এখনও টেষ্ট করা হয়নি। 
- তাতে কি হয়েছে? আপনার কাজের উপর আমাদের ভরসা আছে, নইলে এমনি এমনি ভেনম ইন্সটিটিউশন ২০০ মিলিয়ন ডলার ইনভেস্ট করে না.. 
- বাই দ্য ওয়ে, আপনি কি একবার অ্যান্ড্রয়েড টাকে দেখবেন? 
- ওহ! ওকে, লেটস মুভ। 
- রিকো, মাই সন, ল্যাবের চাবি-টা নিয়ে এসো।

 
***ইতিমধ্যে- 

:
সময়- ১৯শে জানুয়ারী, ২১৫৫ 
- যাই বল রিকো, ট্রেসি কিন্তু খুব কাজের, আমি ভাবতেই পারছি না... 
(ত্রিকা-র কথায় মনটা একমুহুর্তে হালকা হয়ে যায় রিকোর, ট্রেসি হল পার্ক স্যারের ল্যাবে তৈরি প্রথম মেয়ে অ্যানড্রয়েড; পার্ক স্যার তাই ওকে বিশ্বাস করে ওর বাড়িতে ট্রেসিকে পাঠিয়েছেন কিছু হিউম্যান কালচার শেখার জন্য...) 
- হুমম। আগামী দিনে তো অ্যানড্রয়েডেই পৃথিবী ভরে যাবে... 
- যাহ! তা হয় নাকি? মানুষের কি হবে তাহলে...? 
- গড নোজ...

 
***সব শেষের আগে- 

:
সময়- ২৮শে মার্চ, ২১৫৭ 
(টিভির ষ্ক্রীনে খবরটা শুনেই পাথর হয়ে গেল ত্রিকা, ভেনম ইন্সটিটিউশন এখন পুরোপরি অ্যান্ড্রয়েড দের দখলে, পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শুধুই মৃত্যুর বার্তা, একটা মানুষকেও বাঁচতে দেবে না অ্যান্ড্রয়েড-দানবেরা। রিকোর মৃত্যুসংবাদ কালই পেয়েছে সে, ল্যাবে হানা করেছিল অ্যান্ড্রয়েডরা; এমন সময় পায়ের শব্দে চমকে পিছন ফিরে দেখল ট্রেসি এসে দাড়িঁয়েছে...) 
- ম্যাম, আপনি পালান এখান থেকে, তাহলে অন্তত বেঁচে যাবেন, আর আপনার বেবি-কেও বাঁচাতে পারবেন, সেই হবে হয়ত আগামী পৃথিবীর একমাত্র মানুষ... 
- কৃতজ্ঞতায় চোখ উপচে জল এল ত্রিকার, অ্যানড্রয়েড হলেও নারী সে, তাই... 
কথা না বলে ছুটতে শুরু করে ত্রিকা, এক অন্ধকার ভবিষ্যতের উদ্দেশ্যে...

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

সম্পাদিকার ডেস্ক থেকে

উৎসবের আলোড়ন কিছুটা স্তিমিত , তবুও মনের অলিন্দে হৈমন্তী স্বপ্ন । বারো মাসের তেরো পার্বণ প্রায় শেষ মুখে , উৎসব তিথি এখন অন্তিম লগ্ন যাপনে ব...