শুক্রবার, ৪ মার্চ, ২০১৬

ডুয়ালিটি ~ সৌমলেন্দু ঘোষ

শুরু থেকে শেষ-- 
:
- বুঝলে আজ টাকাটা ফিক্সড করেই দিলাম, টুপুর বড় হচ্ছে, বিয়ের জন্য এখন থেকেই... 
- যা বলেছো, কিন্তু টুবান এর জন্য কিছু.. 
- আরে রাখো তো, টুবান তো চাকরি পেয়েই যাবে, তখন দেখবে টাকা কোথা থেকে আসে...!!! 


- বাপি, আমি ভাবছি এইচ-এস করে ইঞ্জিনিয়ারিং লাইনে যাব... 
- প্লেন অনার্স লাইনে পড়বি, তোর দাদার পড়া, হোষ্টেল এসবে কত খরচ বল দিকিনি...?? 


- মা, তাড়াতাড়ি খেতে দাও, ক্লাস আছে.. 
- দাঁড়া, তোর দাদার ভাত-টা আগে দিয়ে দি, অফিসে মিটিং আছে তাড়াতাড়ি বেরোবে.. 


- মা, বলছি যে সামনের মাস থেকে ঝুমুরকে নিয়ে আলাদা থাকব, অফিস কোয়ার্টার পেয়েছি... 
- কিন্তু, তোর বাবার পেনশনের সামান্য ওই কটা টাকায় চলবে কি করে...?? 
- মেলা বোকো না, নেক্সট ইয়ারে আমার স্টেটস যাওয়ার প্ল্যান আছে, প্রচুর টাকা লাগবে... 

***শেষ থেকে শুরু-- 

:
- মা, ছেড়ে দাও; আমার স্কুলের চাকরিতেই আমাদের চলে যাবে.. 
- কিন্তু, টুপুর তুই আর কতদিন, একদিন তো তোর বিয়ে হবে... 
- আহ!! কতবার বলেছি না তোমাদের ছেড়ে যাব না.. 


- হ্যালো, টুবান; ওরে কোথায় তুই? বাবা যে হাসপাতালে... 
- ওকে, ২/৩ দিন খুব চাপে আছি, টুপুরকে বল না ম্যানেজ করে নিতে.. 


"নারীরে আপন ভাগ্য জয় করিবার, 
কেন নাহি দিবে অধিকার?" 
স্কুল-লাইফের আবৃত্তি করা সেই কবিতাটা আজ বারবার মনে পড়ছিল টুপুরের, তার জীবনটাও যেন এক হার না মানা ডায়েরীর পাতা, যেখানে আছে শুধু অধিকার ছিনিয়ে নেওয়ার কাহিনী। 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

সম্পাদিকার ডেস্ক থেকে

উৎসবের আলোড়ন কিছুটা স্তিমিত , তবুও মনের অলিন্দে হৈমন্তী স্বপ্ন । বারো মাসের তেরো পার্বণ প্রায় শেষ মুখে , উৎসব তিথি এখন অন্তিম লগ্ন যাপনে ব...