শনিবার, ৫ মার্চ, ২০১৬

বুকপোষ্ট (৩) ~ শুভাশিস সিংহ

প্রতিবিম্ব উল্টো জীবনের পুরাণ. আয়নার সামনে এর আগে শিখা নিজেকে অনেকবার দেখেছে, কিন্তু আজকের শিখার মত জ্বলে ওঠেনি.
অরূপের সঙ্গে প্রথম এ বাড়িতে আসা. চন্দন, লাল চেলি, রাঙা পা.....
হম রাঙা পা
আজ বৃহস্পতিবার, নিয়ম করে সে আলতা পড়েছে.
তারপর টুকুন-বুকুন এর জন্ম শিখার পাঁচমিশালি সংসারে. না, ঠিক সংসার নয়, মধ্যবিত্তের সাত হাজারি মাস. যেখানে সাতটা , মাসের প্রথম সপ্তাহ গিলে নেয়. আর শূন্যরা বাকী দিনগুলোর শূন্যতায় ছন্দ খুঁজে পায়.
মেরামতির জীবনে শিখার চাকরি একটা মেরুদণ্ড হয়. না পাওয়ার যন্ত্রণারা করপুরের মত উবে যায়. কিন্তু কিছু অহেতুক সন্দেহ অরূপের চোখ ছুঁয়ে শিখার কানে পৌঁছায়. দিন-মাসের গোনাগুনতি বছরে সেই ছোঁয়ার গভীরতা বাড়তে থাকে. শিখার চোখে ভিড় জমায় কিছু শব্দের কোলাজ-
"নারীরে আপন ভাগ্য জয় করিবার
কেন নাহি দিবে অধিকার?"
নিজের প্রতি খুব রাগ হয় ওর. চল্লিশ ছুঁই ছুঁই সিক্ত শরীরে বসন্ত এসে থেমে গেছে. ইচ্ছা করলেই অনায়াসে অরূপের এই ফার্নিচারের দুনিয়া ছেড়ে দিতে পারত. কিন্তু হয়নি মাথা ভর্তি মিডিলক্লাস জটের কারনে.
দুচোখ দিয়ে নেমে আসে বিগত ইতিহাস. দেশলাইয়ের এক চিলতে শিখায় শেষবারের মতো শিখা তাঁর গা-পিওি জ্বালানো শরীরটাকে পরখ করে.

২টি মন্তব্য:

  1. "।" এর বদলে "." ব্যবহারের মাহাত্ম্য কি জানতে পারি লেখক!

    উত্তরমুছুন
  2. "।" এর বদলে "." ব্যবহারের মাহাত্ম্য কি জানতে পারি লেখক!

    উত্তরমুছুন

সম্পাদিকার ডেস্ক থেকে

উৎসবের আলোড়ন কিছুটা স্তিমিত , তবুও মনের অলিন্দে হৈমন্তী স্বপ্ন । বারো মাসের তেরো পার্বণ প্রায় শেষ মুখে , উৎসব তিথি এখন অন্তিম লগ্ন যাপনে ব...