বাসটা ধরতেই হবে সুবর্ণাকে। নইলে দেরী হয়ে যাবে অফিসে পৌঁছোতে। আজই যোগ দেবে অনেক চেষ্টায় পাওয়া চাকরীটায়। প্রচুর কষ্ট সয়েছে এতকাল। কত জায়গাতেই না হন্যে হয়ে ঘুরেছে সামান্য একটা চাকরীর জন্য। অনেকেই অজুহাত দেখিয়েছে, আপনি মেয়ে মানুষ, পারবেন না। অথচ খুব দরকার ছিলো একটা চাকরীর। ঘরে অসুস্থ বাবা, অসহায় মা।
সামর্থ না থাকলেও পড়াশোনাটা ছাড়েনি। পড়াশোনার ফাঁকেই ঠোঙা বানিয়েছে। এর তার ছেড়াফাটা কাপড় সেলাই করেছে। যেবার বাবার হাত ভাঙলো এই সুবর্ণাই সেবার বাবার ভ্যানরিক্সাটা চালিয়েছে স্কুলের পর। তবুও পড়াশোনায় দাড়ি টেনে দেয়নি। সংগ্রাম করে গিয়েছে নিজের সাধ্যমতো। অবশেষে সাফল্য লাভ। গ্র্যাজুয়েট হবার পর বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের এই চাকরিটাও জোগাড় করেছে স্বচেষ্টায়।
সুবর্ণা আজও হাল ছাড়লো না। ভিড়ে ভারাক্রান্ত বাসের হ্যাণ্ডেল ধরতে যেতেই লোকটার কনুইয়ের গুঁতোয় হ্যাণ্ডেলটা হাতছাড়া হলো। বাসটা যেকোনো মুহূর্তে ছেড়ে দেবে। সুবর্ণা মরিয়া চেষ্টা চালাতে চালাতেই ভেবে দেখলো, পরের বাসটার জন্য অপেক্ষা করতে গেলে অফিসে পৌঁছোতে অনেক দেরী হয়ে যাবে।
অগত্যা মরিয়া হয়ে উঠলো। “নারীরে আপন ভাগ্য জয় করিবার / কেন নাহি দিবে অধিকার?” - রবীন্দ্রনাথের কবিতার লাইনদুটো মনে মনে আউড়েই পা গুঁজে দিলো বাসের পাদানিতে। তারপর কষে চেপে ধরলো সেই লোকটার কলার যার কনুইয়ের গুঁতোয় হাতছাড়া হয়েছে বাসের হ্যাণ্ডেল। আজ লোকটার জামার কলার ধরেই ঝুলে যাবে। এতদিন হার মানেনি যখন আজও মানবে না। অধিকার ছিনিয়ে নেবেই।
সামর্থ না থাকলেও পড়াশোনাটা ছাড়েনি। পড়াশোনার ফাঁকেই ঠোঙা বানিয়েছে। এর তার ছেড়াফাটা কাপড় সেলাই করেছে। যেবার বাবার হাত ভাঙলো এই সুবর্ণাই সেবার বাবার ভ্যানরিক্সাটা চালিয়েছে স্কুলের পর। তবুও পড়াশোনায় দাড়ি টেনে দেয়নি। সংগ্রাম করে গিয়েছে নিজের সাধ্যমতো। অবশেষে সাফল্য লাভ। গ্র্যাজুয়েট হবার পর বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের এই চাকরিটাও জোগাড় করেছে স্বচেষ্টায়।
সুবর্ণা আজও হাল ছাড়লো না। ভিড়ে ভারাক্রান্ত বাসের হ্যাণ্ডেল ধরতে যেতেই লোকটার কনুইয়ের গুঁতোয় হ্যাণ্ডেলটা হাতছাড়া হলো। বাসটা যেকোনো মুহূর্তে ছেড়ে দেবে। সুবর্ণা মরিয়া চেষ্টা চালাতে চালাতেই ভেবে দেখলো, পরের বাসটার জন্য অপেক্ষা করতে গেলে অফিসে পৌঁছোতে অনেক দেরী হয়ে যাবে।
অগত্যা মরিয়া হয়ে উঠলো। “নারীরে আপন ভাগ্য জয় করিবার / কেন নাহি দিবে অধিকার?” - রবীন্দ্রনাথের কবিতার লাইনদুটো মনে মনে আউড়েই পা গুঁজে দিলো বাসের পাদানিতে। তারপর কষে চেপে ধরলো সেই লোকটার কলার যার কনুইয়ের গুঁতোয় হাতছাড়া হয়েছে বাসের হ্যাণ্ডেল। আজ লোকটার জামার কলার ধরেই ঝুলে যাবে। এতদিন হার মানেনি যখন আজও মানবে না। অধিকার ছিনিয়ে নেবেই।
দারুণ লাগলো।
উত্তরমুছুনমসকারা করে বলি, চলন্ত বাসে তাও আবার কলার ধরে ঝোলা, হে ড্রাইভার সংগ্রামী মেয়েটির ঘটেও কিছু দিও।