আর কবিতা লেখেনা সাগ্নিক। সময়ের দোলাচলে দুলতে দুলতে এক-দুই-তিন করে যখন তার নবম কবিতার বইটি প্রকাশিত হয় --- একটি কবিতা নিয়ে প্রচুর সমালোচনামূলক চিঠি পেল সে। পূর্ব প্রকাশিত আটটি কাব্যগ্রন্থ সর্ব সাকুল্যে একশো কপি করেও বিক্রি হয়নি। অথচ এই নবম কাব্যগ্রন্থে তার চিঠির সংখ্যা ছাড়িয়েছে দশ হাজার।
:
কেউ বলছেন, "আপনার কবিতায় কোন ধার নেই।" কেউ বলছেন, "এতো সাদামাটা ভাষায় কবিতা হয় নাকি!" আবার কেউবা, "আরে মহাশয়, কবিতা পড়ে যদি একটু ভাবনাই না পেলো তো আপনার বই কিনতে যাব কেন।"
:
আজ সাগ্নিক বুঝতে পারে কেন টলস্টয় বলেছিলেন, "আমার লেখাকে রাশিয়ানদের মানে না নামিয়ে, রাশিয়ানদেরকে আমার লেখার মানে উন্নীত করুন।" বুঝতে পারে রবিঠাকুরের সেই "জামা" আর "মোজা"র মর্ম।
অভিমানের শেষ ভাষায় সে লিখে চলে---
"যে ভাষা হারায়ে কাব্য প্রবেশিল অন্তরে মম
দুর্ভেদ্য কাব্যের প্রাচীরে ভেদিল সে শিকড় সম।"
:
কেউ বলছেন, "আপনার কবিতায় কোন ধার নেই।" কেউ বলছেন, "এতো সাদামাটা ভাষায় কবিতা হয় নাকি!" আবার কেউবা, "আরে মহাশয়, কবিতা পড়ে যদি একটু ভাবনাই না পেলো তো আপনার বই কিনতে যাব কেন।"
:
আজ সাগ্নিক বুঝতে পারে কেন টলস্টয় বলেছিলেন, "আমার লেখাকে রাশিয়ানদের মানে না নামিয়ে, রাশিয়ানদেরকে আমার লেখার মানে উন্নীত করুন।" বুঝতে পারে রবিঠাকুরের সেই "জামা" আর "মোজা"র মর্ম।
অভিমানের শেষ ভাষায় সে লিখে চলে---
"যে ভাষা হারায়ে কাব্য প্রবেশিল অন্তরে মম
দুর্ভেদ্য কাব্যের প্রাচীরে ভেদিল সে শিকড় সম।"
দারুণ
উত্তরমুছুন