দশম শ্রেণীর মেয়েটি মুড়ি খেয়েই পড়তে যাবে।
সদ্য বর্ষা গেছে। পুরোনো শরিকি বাড়ির উঠোনের আনাচে কানাচে এখনো শ্যাওলার পুরু পরত। উঠোনের মাঝখানে এক-পা চওড়া সরু চলার রাস্তা। ফাঁক-ফোকর খুঁজে ফিনকি দিয়ে রোদের ঝলক গা এলাচ্ছে শ্যাওলায়। ভিজে শ্যাওলা একটু বেশী ঘন সবুজ মনে হচ্ছে।...বর্ষার মেদুর ভাবটুকু নেই।অথচ দুটো সৌন্দর্যই মন টানে। পাঁচিল ঘেষে পুরোনো দড়িতে সদ্য ধোঁয়া একটা রংচটা শাড়ি , একটা সালোয়ার কামিজ ও আরো দুএকটি মলিন জামা কাপড় মেলা রয়েছে। আগামীকালের পরিধান। আগামীকাল আসবে। টপ টপ করে জল পড়ছে...শ্যাওলার ওপর। রোদে- জলে রামধনু তৈরী হলো কি?? শ্যাওলায় রামধনু!! জীবন এভাবেই কথা বলে। ভাতের গন্ধে ঘরদোর ম' ম' করছে। সাথে মিশেছে স্টোভের আঁচের গুমগুমে গন্ধ। দশম শ্রেণীর মেয়েটি একবাটি মুড়ি নিয়ে বসেছে, খেয়ে পড়তে যাবে। মুখেচোখে ষোলো বছরের দীপ্তি। আটপৌরে সালোয়ার কামিজে শেষ কৈশোরের গন্ধ। মেয়েটি 'সুন্দর' খুঁজতে জানে। ছোটো ছোটো চোখে শ্যাওলায় ভালোলাগার দৃষ্টি রেখেছে। ছোট্ট রামধনু দেখছে । মুড়ি শেষ করেই পড়তে যাবে, ঝোপের পাশ দিয়ে দিদিমনির বাড়ি যাওয়ার পথ। ফিরতে ফিরতে নির্জন দুপুর......নির্জন...
.
মেয়েটির কাচা সালোয়ার দড়িতে ঝুলছে । আগামীকাল পরবে......ভাত ফুটছে, মা অপেক্ষা করবে।
মেয়ে বাড়ি ফিরলে একসাথে খাবে। আগামীকালও শ্যাওলায় রামধনু রঙ ছড়াবে...মেয়েটি দেখবে..
সমস্ত চোখেমুখে শরীরে যৌবন-উন্মুখ কৈশোরের ঘ্রাণ ছিটকে পড়বে। মেয়েটি মাধ্যমিক দেবে এবার। কাকদ্বীপ স্কুল থেকে পাশ করে , বড় স্কুলে যাবে পড়তে...
.
যেন সত্যি হয় সবকিছু....সত্যি করে যেন মেয়েটির সবটুকু পাওয়া সত্যি হয়...
সদ্য বর্ষা গেছে। পুরোনো শরিকি বাড়ির উঠোনের আনাচে কানাচে এখনো শ্যাওলার পুরু পরত। উঠোনের মাঝখানে এক-পা চওড়া সরু চলার রাস্তা। ফাঁক-ফোকর খুঁজে ফিনকি দিয়ে রোদের ঝলক গা এলাচ্ছে শ্যাওলায়। ভিজে শ্যাওলা একটু বেশী ঘন সবুজ মনে হচ্ছে।...বর্ষার মেদুর ভাবটুকু নেই।অথচ দুটো সৌন্দর্যই মন টানে। পাঁচিল ঘেষে পুরোনো দড়িতে সদ্য ধোঁয়া একটা রংচটা শাড়ি , একটা সালোয়ার কামিজ ও আরো দুএকটি মলিন জামা কাপড় মেলা রয়েছে। আগামীকালের পরিধান। আগামীকাল আসবে। টপ টপ করে জল পড়ছে...শ্যাওলার ওপর। রোদে- জলে রামধনু তৈরী হলো কি?? শ্যাওলায় রামধনু!! জীবন এভাবেই কথা বলে। ভাতের গন্ধে ঘরদোর ম' ম' করছে। সাথে মিশেছে স্টোভের আঁচের গুমগুমে গন্ধ। দশম শ্রেণীর মেয়েটি একবাটি মুড়ি নিয়ে বসেছে, খেয়ে পড়তে যাবে। মুখেচোখে ষোলো বছরের দীপ্তি। আটপৌরে সালোয়ার কামিজে শেষ কৈশোরের গন্ধ। মেয়েটি 'সুন্দর' খুঁজতে জানে। ছোটো ছোটো চোখে শ্যাওলায় ভালোলাগার দৃষ্টি রেখেছে। ছোট্ট রামধনু দেখছে । মুড়ি শেষ করেই পড়তে যাবে, ঝোপের পাশ দিয়ে দিদিমনির বাড়ি যাওয়ার পথ। ফিরতে ফিরতে নির্জন দুপুর......নির্জন...
.
মেয়েটির কাচা সালোয়ার দড়িতে ঝুলছে । আগামীকাল পরবে......ভাত ফুটছে, মা অপেক্ষা করবে।
মেয়ে বাড়ি ফিরলে একসাথে খাবে। আগামীকালও শ্যাওলায় রামধনু রঙ ছড়াবে...মেয়েটি দেখবে..
সমস্ত চোখেমুখে শরীরে যৌবন-উন্মুখ কৈশোরের ঘ্রাণ ছিটকে পড়বে। মেয়েটি মাধ্যমিক দেবে এবার। কাকদ্বীপ স্কুল থেকে পাশ করে , বড় স্কুলে যাবে পড়তে...
.
যেন সত্যি হয় সবকিছু....সত্যি করে যেন মেয়েটির সবটুকু পাওয়া সত্যি হয়...
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন