' রোদ্দুর সাপ্তাহিকী ' ( বিষয় - অবচেতন ) বিভাগের তৃতীয় স্থানে নির্বাচিত
--------------------------------------------------------------------------------
যে লোকটার সাথে কথা বলছি, তার জীবনে কিছু জটিলতা ছিলো। তাই লোকটিকে ধীরে ধীরে জানতে হচ্ছে!
তার সাথে আমার শুরু থেকেই কোন বন্ধুতা নয়! ডিরেক্ট বিয়ের পিঁড়িতেই বসবো বলে দিয়েছি। সে আমাকে প্রপোজ করেছিলো, ভালোবাসি বলেছিলো! আর ‘আমার একজন ভালো জীবনসঙ্গী প্রয়োজন’ বলেই তাকে একসেপ্ট করেছি। যেহেতু দুজনার ক্যারিয়ার লাইন একই দিকে।
তার সাথে আমার শুরু থেকেই কোন বন্ধুতা নয়! ডিরেক্ট বিয়ের পিঁড়িতেই বসবো বলে দিয়েছি। সে আমাকে প্রপোজ করেছিলো, ভালোবাসি বলেছিলো! আর ‘আমার একজন ভালো জীবনসঙ্গী প্রয়োজন’ বলেই তাকে একসেপ্ট করেছি। যেহেতু দুজনার ক্যারিয়ার লাইন একই দিকে।
- আচ্ছা!
আমি শহুরে মেয়ে। শহরে মানুষ হয়েছি। বেড়ে উঠেছি। আর সে গ্রামের। গ্রামেই চর এলাকায় বেড়ে উঠেছে। তার বাড়ির মেঝে পাকা। চাল টিনের। ওরকম বাসা আমার নির্বাচন করা পাত্র হিসাবে প্রেস্টিজ নষ্ট হবার বিষয়! তাই সে বাড়ি ঠিক করাচ্ছে!
- বাহ! ভালো তো!
আর আমি তাকে বলি, "কবে বউ হবো?" সে বলে, "এত অস্থির কেন? আগে আমার সম্পর্কে পুরাপুরি নিশ্চিত হও যে ছেলে কেমন; তুমি আমাকে খুব ভালোভাবে বুঝে নাও, যাতে হাওয়ার উপরে দাঁড়িয়েও তোমার ডিসিশনের কোন নড়চড় না হয়! বিশ্বাসের ভিত্তিটা যেন মজবুত হয়!"
বিয়ে তো করলাম না অনেকদিন। দেখিই না, আর কটা দিন অপেক্ষা করে! লোকটা যদি পজিটিভ থাকে, সবকিছু যদি পজিটিভ হয়, আমার খুব ভালোই লাগবে। কারণ-আমার হুট হাট মুড সুইং করে; তার পরেও তার কাছে আমি গুরুত্ব পাচ্ছি। কখনোই তাকে চেতানো যায় না। আমারই বরং রাগ খুউব বেশি, মাঝেমাঝে সে আমার রাগের ঝাপটাও পাচ্ছে, কিন্তু সেখানেও সে আমাকে ভালোভাবেই হ্যান্ডেল করছে।
মন খারাপ থাকলেও কেমনে জানি বুঝে ফেলে। কাল আমার খুব মুড অফ ছিলো। রাতে ঘুম হয়নি। সকালেই ফোন করে জানিয়েছে, "তুমি আজকে একটুও বাসায় থাকবা না। সারাদিন বেড়ায়ে বাসায় ফিরবা। বাসায় বসে থেকে থেকে তোমার মগজে ভুত ঢুকেছে। মন মেজাজ খারাপ না করে মনকে সুস্থ কর!" আমিতো তাকে কিছু বলিনাই। সে বুঝলো কিভাবে! জীবনে অনেকবার বিশ্বাস ভাংতে ভাংতে আর হেরে যেতে যেতে এই লোকের প্রপোজালটাকে আমি গত তিন মাস ফেলেই রেখেছিলাম এভাবে, " আগালে সেই আগাবে। যা কিছু করার সেই করবে। আমি এগুবো না। আমি কিচ্ছু করবোনা।" কিন্তু ধীরে ধীরে দেখলাম, আমি যা চেয়েছি, সেরকমই হচ্ছে। আমি আগাই না। আমি মাঝেমাঝে ঘাড় গোঁজ করে বসে থাকি, যোগাযোগ করবো না, খোঁজ নেবোনা। দেখা যায় সেই আতিপাতি করে খুঁজছে আমায়, "সাড়াশব্দ নাই কেন, জান? কোন সমস্যা?"
মন খারাপ থাকলেও কেমনে জানি বুঝে ফেলে। কাল আমার খুব মুড অফ ছিলো। রাতে ঘুম হয়নি। সকালেই ফোন করে জানিয়েছে, "তুমি আজকে একটুও বাসায় থাকবা না। সারাদিন বেড়ায়ে বাসায় ফিরবা। বাসায় বসে থেকে থেকে তোমার মগজে ভুত ঢুকেছে। মন মেজাজ খারাপ না করে মনকে সুস্থ কর!" আমিতো তাকে কিছু বলিনাই। সে বুঝলো কিভাবে! জীবনে অনেকবার বিশ্বাস ভাংতে ভাংতে আর হেরে যেতে যেতে এই লোকের প্রপোজালটাকে আমি গত তিন মাস ফেলেই রেখেছিলাম এভাবে, " আগালে সেই আগাবে। যা কিছু করার সেই করবে। আমি এগুবো না। আমি কিচ্ছু করবোনা।" কিন্তু ধীরে ধীরে দেখলাম, আমি যা চেয়েছি, সেরকমই হচ্ছে। আমি আগাই না। আমি মাঝেমাঝে ঘাড় গোঁজ করে বসে থাকি, যোগাযোগ করবো না, খোঁজ নেবোনা। দেখা যায় সেই আতিপাতি করে খুঁজছে আমায়, "সাড়াশব্দ নাই কেন, জান? কোন সমস্যা?"
- বেশ তো!
আমার ভাগ্যে কি আছে আমি জানিনা। কখনো মনে হচ্ছে, “স্বপ্নটা সত্যি করতেই এলো বুঝি!” কখনো মনে হচ্ছে, "মিথ্যে হয়ে যাবেনা তো?"
- বিশ্বাসে বাঁধো মনকে শক্ত করে! যাই ঘটুক না কেন, পজিটিভ থাকো!
আদরের বোনটি যে মনের অবচেতনে একটু একটু করে ইরেশ নামের লোকটিকে ‘হবু’ হিসেবে ভালোবাসার গাঁথুনিতে স্বপ্নের আবাসে জায়গা দিতে শুরু করেছে-সেই গল্পটা পিঠাপিঠি ভাই হিসেবে ভালোই উপভোগ্য ঠেকলো জাকিরের কাছে। ফোনটা কানে ঠেকিয়ে কাউকে উদ্দেশ্য করে বললো, “বিয়ের শানাই বাজলো বলে!”
ওদিকে ঠকাস শব্দে রিসিভার আছড়ে পড়লো, “আইবুড়িটার বিয়ে হয়ে গেলে এ সংসারের ঘানি টানবে কে?”
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন