'আজ পঞ্চমী, চাদ্দিকে আজ থেকেই ঠাকুর দেখার সাজো সাজো রব । কোথায় সবচেয়ে বড় দুর্গা কোথায় আহিরিটোলার বেতের ঝুড়ি দিয়ে সাবেকী ঠাকুর। লোকজন নতুন নতুন জামা কাপড় পরে ছুট দিয়েছে উত্তর থেকে দক্ষিণে।'
এইটুকু লিখে পেন টা নামিয়ে রাখলো অনমিত্রা, আজ হাত যেন সরছেই না। জোর করে মন কে গুছিয়ে যতবার লিখতে চাইছে ততবার অভীকের রূঢ় কথা গুলো ঘুরে ফিরে আসছে।
" এই টি শার্ট টা কোথা থেকে কিনেছো? এত লাল?
এই শার্ট টা? রঙ ছিটকে আসছে যেন! রোজকার পরার মত কিছু কিনতে পারোনি?
একটা কিচ্ছু পছন্দ হয়নি আমার! এরপর থেকে আমার শপিং আমি নিজে করে নেব। আর শোনো, কাল পুরনো জামা পরেই বেরোচ্ছি, এখানে পরার যোগ্য কিছু নেই!"
কথা গুলো খুবই সামান্য শুনতে, কিন্তু, তিলতিল করা জমানো টাকায় আহ্লাদ করে কেনার আনন্দ প্রতি শব্দের সাথে কমতে থাকে। কথা গুলো ছুঁড়ে দিয়ে হাত ঝেড়ে অভীক বেরিয়ে গেছে তারপর, একটাও উত্তর দেয়নি সে, গলা উঁচু করে ঝগড়াও না, যেটায় সে এক্সপার্ট অভীক প্রায়শই আদর করে বলে থাকে। শুধু অভীক ঘর থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর একরাশ অবসাদ ঘিরে ধরেছে তাকে।
সেই অবসাদ কাটানোর জন্যই লেখা নিয়ে বসেছিলো, কিন্তু মন বাগ মানলে তো!
অনমিত্রার শক্তি হল যখন যা করবে প্রাণ ঢেলে করবে, যখন যাকে ভালোবাসবে, তার জন্য নিজের সবটুকু উজাড় করে ভালো নিয়ে আসবে, আলো নিয়ে আসবে আর নিজে যদি অন্ধকারে থাকে, তাতেও তার আপত্তি কই?
আর তার দুর্বলতা? মুখের ওপর অপছন্দের কথা জানাতে না পারা, এই যে অভীকের দেওয়া লাল শাড়িটাও তো তার... কিন্তু সে বলেনি, শাড়িটায় ভালোবাসার রঙ এত ঘন ছিলো যে বাকি সব টেক্সচার কোয়ালিটি স্টাইল সবের খুঁত ফিকে হয়ে গিয়েছে। কাল সেটাই পরবে ঠিকও করেছিল, যদিও ট্রায়ালের সময় আয়নায় নিজেরই নিজেকে দেখে পছন্দ হয়নি, তবু... অপছন্দেও আলো খুঁজে নিতে চায় সে। কিন্তু কি লাভ? সবকিছুর পরেও তো সে অবসাদ, সেই গলার মধ্যে কি যেন আটকে রেখে সারাদিন কাটানো। একটা প্রতিবাদ কি দরকার নয়?
ধীর পায়ে উঠে দাঁড়ালো সে, স্থির হাতে আলমারি খুলে একটা ধপধপে সাদা সাউথ কটনের শাড়ি বের করলো।
এইটুকু লিখে পেন টা নামিয়ে রাখলো অনমিত্রা, আজ হাত যেন সরছেই না। জোর করে মন কে গুছিয়ে যতবার লিখতে চাইছে ততবার অভীকের রূঢ় কথা গুলো ঘুরে ফিরে আসছে।
" এই টি শার্ট টা কোথা থেকে কিনেছো? এত লাল?
এই শার্ট টা? রঙ ছিটকে আসছে যেন! রোজকার পরার মত কিছু কিনতে পারোনি?
একটা কিচ্ছু পছন্দ হয়নি আমার! এরপর থেকে আমার শপিং আমি নিজে করে নেব। আর শোনো, কাল পুরনো জামা পরেই বেরোচ্ছি, এখানে পরার যোগ্য কিছু নেই!"
কথা গুলো খুবই সামান্য শুনতে, কিন্তু, তিলতিল করা জমানো টাকায় আহ্লাদ করে কেনার আনন্দ প্রতি শব্দের সাথে কমতে থাকে। কথা গুলো ছুঁড়ে দিয়ে হাত ঝেড়ে অভীক বেরিয়ে গেছে তারপর, একটাও উত্তর দেয়নি সে, গলা উঁচু করে ঝগড়াও না, যেটায় সে এক্সপার্ট অভীক প্রায়শই আদর করে বলে থাকে। শুধু অভীক ঘর থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর একরাশ অবসাদ ঘিরে ধরেছে তাকে।
সেই অবসাদ কাটানোর জন্যই লেখা নিয়ে বসেছিলো, কিন্তু মন বাগ মানলে তো!
অনমিত্রার শক্তি হল যখন যা করবে প্রাণ ঢেলে করবে, যখন যাকে ভালোবাসবে, তার জন্য নিজের সবটুকু উজাড় করে ভালো নিয়ে আসবে, আলো নিয়ে আসবে আর নিজে যদি অন্ধকারে থাকে, তাতেও তার আপত্তি কই?
আর তার দুর্বলতা? মুখের ওপর অপছন্দের কথা জানাতে না পারা, এই যে অভীকের দেওয়া লাল শাড়িটাও তো তার... কিন্তু সে বলেনি, শাড়িটায় ভালোবাসার রঙ এত ঘন ছিলো যে বাকি সব টেক্সচার কোয়ালিটি স্টাইল সবের খুঁত ফিকে হয়ে গিয়েছে। কাল সেটাই পরবে ঠিকও করেছিল, যদিও ট্রায়ালের সময় আয়নায় নিজেরই নিজেকে দেখে পছন্দ হয়নি, তবু... অপছন্দেও আলো খুঁজে নিতে চায় সে। কিন্তু কি লাভ? সবকিছুর পরেও তো সে অবসাদ, সেই গলার মধ্যে কি যেন আটকে রেখে সারাদিন কাটানো। একটা প্রতিবাদ কি দরকার নয়?
ধীর পায়ে উঠে দাঁড়ালো সে, স্থির হাতে আলমারি খুলে একটা ধপধপে সাদা সাউথ কটনের শাড়ি বের করলো।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন