মিলটি রাতের খাবার খেয়ে নিজেদের ঘরে এলো। মৃদু আলো জ্বেলে দেখলো তুষার হাত দুটো দিয়ে চোখ ঢেকে শুয়ে পড়েছে। রাতের পোশাক পরে এসে বিছানায় বসল। তুষারের মাথার চুলগুলো একটু ঘেঁটে দিয়ে মিহি গলায় বললঃ-
- জেগে আছো? কাল দিদির মেয়ের জন্মদিন, নেমন্তন্নটার কথা মনে আছে তো, গো? মিথ্যে করে শুধু তোমাকে কিন্তু বলতে হবে যে, তুমি মহেন্দ্র এন্ড মহেন্দ্র কম্পানীর ডাইরেক্টর। অবশ্য যদি কেউ জিজ্ঞেস করে। নাহলে বলতে হবে না। কি গো, আমার কথাটা মনে থাকবে তো। 'হ্যাঁ কি না' একটা কিছু বলবে তো!
-কিছু মনে কোরো না, প্লিজ ! ঘুর্ণি ঝড়ের সঙ্গে বুকে উড়ে আসে চাপা বিষাদ। আত্মহনন! না না !সত্যের অপলাপ করলে যত না ফাঁকি দেওয়া হয় অন্যকে- তার চেয়ে অনেক বেশি ফাঁকি দেওয়া হয় নিজেকে। মিথ্যার ফাঁকা আওয়াজে আমি ফাঁকি দিতে চাই না মিলটি।
মিলটি রেগে বলেই ফেল্লঃ “বিষ নেই তার আবার কুলপানা চক্র।”
-বিষ নেই বলেই তো কুলপানা চক্র ধরতে ভরসা পেয়েছি। সত্যকে আড়ালে লুকিয়ে রাখলে ডিনামাইট যেমন পাথরকে ভেঙ্গে চৌ্চির করে আত্মপ্রকাশ করে। তেমনি আত্মপ্রকাশ করে সত্যও। সবরকম আড়ালকে ভেঙ্গে টুকরো টুকরো করে দেয়। তখন কী জবাবের মুখোমুখি হব, বলতে পারো?
-প্লিজ! আর সত্যপীর যুধিষ্ঠির সাজতে হবে না। পারবে্ না তুমি এটুকু কথা রাখতে, আমার? ধরা গলায় মিলটি তুষারকে বলল।
-আমায় ক্ষমা করো মিলটি। আমি সামান্য মানুষ। আর এই পরিচয়েই আমি থাকতে বেশি ভালবাসি।
মিলটি তখন অগ্নি স্ফুলিঙ্গের টুকরো টুকরো অগ্নিকণা ছিটিয়ে বল্লঃ
-তাহলে কাল নেমন্তন্ন যাওয়া হবে না, তাই তো?
-আমি নাচার মিলটি। তোমাকে তো যেতে বারণ করছি না। ইচ্ছে হয় তো অঙ্গে জড়াও অথবা ঘৃণায় দূরে ফেলে দাও আমাকে, যা তোমার খুশি।
-মানে? প্রতিপ্রশ্ন ছুঁড়ে দেয় মিলটি।
- জেগে আছো? কাল দিদির মেয়ের জন্মদিন, নেমন্তন্নটার কথা মনে আছে তো, গো? মিথ্যে করে শুধু তোমাকে কিন্তু বলতে হবে যে, তুমি মহেন্দ্র এন্ড মহেন্দ্র কম্পানীর ডাইরেক্টর। অবশ্য যদি কেউ জিজ্ঞেস করে। নাহলে বলতে হবে না। কি গো, আমার কথাটা মনে থাকবে তো। 'হ্যাঁ কি না' একটা কিছু বলবে তো!
-কিছু মনে কোরো না, প্লিজ ! ঘুর্ণি ঝড়ের সঙ্গে বুকে উড়ে আসে চাপা বিষাদ। আত্মহনন! না না !সত্যের অপলাপ করলে যত না ফাঁকি দেওয়া হয় অন্যকে- তার চেয়ে অনেক বেশি ফাঁকি দেওয়া হয় নিজেকে। মিথ্যার ফাঁকা আওয়াজে আমি ফাঁকি দিতে চাই না মিলটি।
মিলটি রেগে বলেই ফেল্লঃ “বিষ নেই তার আবার কুলপানা চক্র।”
-বিষ নেই বলেই তো কুলপানা চক্র ধরতে ভরসা পেয়েছি। সত্যকে আড়ালে লুকিয়ে রাখলে ডিনামাইট যেমন পাথরকে ভেঙ্গে চৌ্চির করে আত্মপ্রকাশ করে। তেমনি আত্মপ্রকাশ করে সত্যও। সবরকম আড়ালকে ভেঙ্গে টুকরো টুকরো করে দেয়। তখন কী জবাবের মুখোমুখি হব, বলতে পারো?
-প্লিজ! আর সত্যপীর যুধিষ্ঠির সাজতে হবে না। পারবে্ না তুমি এটুকু কথা রাখতে, আমার? ধরা গলায় মিলটি তুষারকে বলল।
-আমায় ক্ষমা করো মিলটি। আমি সামান্য মানুষ। আর এই পরিচয়েই আমি থাকতে বেশি ভালবাসি।
মিলটি তখন অগ্নি স্ফুলিঙ্গের টুকরো টুকরো অগ্নিকণা ছিটিয়ে বল্লঃ
-তাহলে কাল নেমন্তন্ন যাওয়া হবে না, তাই তো?
-আমি নাচার মিলটি। তোমাকে তো যেতে বারণ করছি না। ইচ্ছে হয় তো অঙ্গে জড়াও অথবা ঘৃণায় দূরে ফেলে দাও আমাকে, যা তোমার খুশি।
-মানে? প্রতিপ্রশ্ন ছুঁড়ে দেয় মিলটি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন