এই সেই পথ । দু’পাশে ধূধূ ক্ষেত ।অনেকগুলো গঞ্জ-গাঁ ছুঁয়ে ছুঁয়ে চলে গেছে ওদিকে ।যেমন যায় সব পথ।আর অগুন্তি মানুষকে ঘর থেকে টেনে বের করে আনে ।যারা বেরয় তারা আর ঘরে ফেরেনা ।ফিরলেও বেশ বদল হয় তাদের । মুকুন্দ-আজিজ-সঞ্জয়রাও এই পথ ধরেই বেরিয়েছিলো ।জমি জিরেত তাদের ভরণ পোষণ করতে অপারক হওয়ায় ,১০০ দিনের কাজ করে একে তাকে দিয়ে থুয়ে পেট ফাঁকা ,সারা বছরে মেরেকেটে এক-দেড়’শ দিনের কাজ ; অবশেষে এই পথই ভরসা ।দাওয়া থেকে উঠোন , উঠোন থেকে পায়ে চলা পথে , সে পথ মিশেছে বড়রাস্তায় ।গাঁ খালি করে ভোর ভোর পৌঁছে যায় শহরের মোড়ে ।হ’য়ে যায় কেউ রাজমিস্ত্রি ,কেউ রঙ মিস্ত্রি ; নতুন লাইনে এলে সে জোগাড়ে – হেল্পার ।
এই সেই পথ । দু’পাশে খাঁখাঁ জমি । চাষ নেই …খচ্চা ওঠেনা ।ওই পথ ওদের ফেরৎ আনে ।কিন্তু একটু একটু করে ওরা পালটে যায় ।রোজ ।ওদের গায়ে শহরের গন্ধ বাসা বাঁধে ।ওরা আর পাঁচজনের কাছে ক্রমশ অচেনা হ’য়ে যায় ।ওদের পকেটে গান বেজে ওঠে…হ্যালো…হ্যালো…।আর সকলে অবাক হয়না তবে কেমন ভাবে যেন দ্যাখে ।সে নজরে না থাকে রাগ না থাকে রগড় ।
এই সেই পথ । ভুটভুটি ভ্যানে এ পথ দিয়ে ভোরভোর হল্লা করতে করতে ওরা গাঁ ছাড়ে রোজ ।ওদের হাতে হাতে এখন নেট … পকেটের নোট হড়কে বেরিয়ে যাচ্ছে ।ওরা মোবাইলে নাচ দ্যাখে … গা শিরশির করা উলঙ্গ ছবি দ্যাখে…খ্যা-খ্যা করে হাসে…যত জোরে হাসা যায়…চোখ মটকায় একে তাকে ।এক রঙ্গীন মস্করা ।সন্ধেটা কিছুতেই পার পায়না পাঁইট ছাড়া ।
এই সেই পথ ।ওদের পালটে দেওয়া পথ ।ওদের রঙ্গ-রসিকতা যত বাড়ে , নেটের খচ্চা বাড়ে । তত ঘরের চাল বাড়ন্ত হয় , বাচ্ছার জামা কেনার টাকা বাড়ন্ত হয় ।তখন দস্তুর হয় মীরাদের কাজে বেরনো ।চ চ । শহরে মেলা কাজ ।ভোর ভোর উঠে কেউ মা’র কাছে কেউবা স্যায়না মে’টার কাছে কোলেরটা কে জমা করে বেরিয়ে পরে ।মীরারাও দু’চার মাস পরে মোবাইল জুটিয়ে নেয় ।ওরাও মজা পায় ।এ ওর ভাতারের সঙ্গে জুটে যায়…খ্যাখ্যা করে হাসে ।ধরা পড়ে…স্বামী-স্ত্রীতে পেটাপেটি করে…
এই সেই পথ । এই পথের ধারে বাবলার ঝোপে আবিস্কার হয় কোনও একদিন সাবিত্রির মৃতদেহ ।তার দেহে সূতো বলতে কিছু ছিলনা ।গলায় ছিল গামছার প্যাঁচ ।পাশে পড়ে ছিল বইএর ব্যাগ ।আর একটা মোবাইল…তখনও তাতে স্থির ছিল সাবিত্রীর উলঙ্গ ছবি… ।
এই সেই পথ । দু’পাশে খাঁখাঁ জমি । চাষ নেই …খচ্চা ওঠেনা ।ওই পথ ওদের ফেরৎ আনে ।কিন্তু একটু একটু করে ওরা পালটে যায় ।রোজ ।ওদের গায়ে শহরের গন্ধ বাসা বাঁধে ।ওরা আর পাঁচজনের কাছে ক্রমশ অচেনা হ’য়ে যায় ।ওদের পকেটে গান বেজে ওঠে…হ্যালো…হ্যালো…।আর সকলে অবাক হয়না তবে কেমন ভাবে যেন দ্যাখে ।সে নজরে না থাকে রাগ না থাকে রগড় ।
এই সেই পথ । ভুটভুটি ভ্যানে এ পথ দিয়ে ভোরভোর হল্লা করতে করতে ওরা গাঁ ছাড়ে রোজ ।ওদের হাতে হাতে এখন নেট … পকেটের নোট হড়কে বেরিয়ে যাচ্ছে ।ওরা মোবাইলে নাচ দ্যাখে … গা শিরশির করা উলঙ্গ ছবি দ্যাখে…খ্যা-খ্যা করে হাসে…যত জোরে হাসা যায়…চোখ মটকায় একে তাকে ।এক রঙ্গীন মস্করা ।সন্ধেটা কিছুতেই পার পায়না পাঁইট ছাড়া ।
এই সেই পথ ।ওদের পালটে দেওয়া পথ ।ওদের রঙ্গ-রসিকতা যত বাড়ে , নেটের খচ্চা বাড়ে । তত ঘরের চাল বাড়ন্ত হয় , বাচ্ছার জামা কেনার টাকা বাড়ন্ত হয় ।তখন দস্তুর হয় মীরাদের কাজে বেরনো ।চ চ । শহরে মেলা কাজ ।ভোর ভোর উঠে কেউ মা’র কাছে কেউবা স্যায়না মে’টার কাছে কোলেরটা কে জমা করে বেরিয়ে পরে ।মীরারাও দু’চার মাস পরে মোবাইল জুটিয়ে নেয় ।ওরাও মজা পায় ।এ ওর ভাতারের সঙ্গে জুটে যায়…খ্যাখ্যা করে হাসে ।ধরা পড়ে…স্বামী-স্ত্রীতে পেটাপেটি করে…
এই সেই পথ । এই পথের ধারে বাবলার ঝোপে আবিস্কার হয় কোনও একদিন সাবিত্রির মৃতদেহ ।তার দেহে সূতো বলতে কিছু ছিলনা ।গলায় ছিল গামছার প্যাঁচ ।পাশে পড়ে ছিল বইএর ব্যাগ ।আর একটা মোবাইল…তখনও তাতে স্থির ছিল সাবিত্রীর উলঙ্গ ছবি… ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন