শুক্রবার, ১ জানুয়ারী, ২০১৬

গল্প বলি শোন~ আমি পিয়ালী


কোন এক মৃত আলোর বিকেলে পৌষের ঘ্রাণে উতল হাওয়ার দল উড়ো চিঠি পাঠিয়েছে ইউক্যলিপটাসের বাড়ী . .
ইউক্যলিপের না ঝরে পড়া পাতাগুলো ওদের আসার খবর শুনে কলস্বরে বলে উঠে :
এই তোরা গল্প শুনবি ? শুনবি তো বল্
আমি আমার কুলপিতে রোদ জমিয়ে রেখেছি অনেক, সোনা-রোদ !
এলোচুলে শাকচুন্নিটা রোজ এসে দাঁড়ায় ওটা চুরি করে পালাবে বলে ! কিন্তু আমি তোদের জন্য সেই সুখীরোদ আগলে বসে আছি কতকাল ! সে খেয়াল আছে তোদের ?
ওরে রে রে রে রে . রে . রে . . . . . .
আরে ! এসেছিস ! আয় আয়,
কিন্তু দ্যাখনা তোরা দেরী করছিস দেখে রোদ গুলো সব বেচে  দিলাম এইমাত্র শূন্য মেঘেদের কাছে . . .
মন খারাপ করিস না ! ! ! !
তার চেয়ে তোদের নদীর গল্প বলি চল্
ছলাত্ ছল ছলাত্ ছল . . . . . . . .
সে এক কিশোরী নদী ঘুঙুর পায়ে লবণের মরুভূমি বুকে ছুটে চলেছে কবে থেকে, তাকে জিগ্যেস করি - কিগো কন্যে বয়েস কত তোমার ?
" আলসে নদী বিবাগ মানে
ঠিক যেনো ওই উদাস মেয়ে
দুঃখগুলি পত্রাবলি
উড়ছে রাঙা আকাশ ছেয়ে . . "
দেখি লবণ বিন্দু গুলো ভরা আছে তার ক্ষীণ স্তব্ধতাতে !
সেকি ! নদীর গল্প ভালো লাগেনি ?
তবে চল্ রাজ্পুত্তুরের গল্প বলি - রাজকন্যা যার রুপমতী
হা হা হা ! এবার খুশী ?
" কিন্তু রাজা রানীর গল্পে বড়ই একলা হবার ধ্বস
প্রজাপালক রাজার মন অল্প কথায় বশ
তবুও দেখি নিকষ আঁধার ওদের অলংকারে
কথায় কথায় লড়াই করে ওরা আড়ে ঢাড়ে "
হাওয়ারা এখন বেজায় খুশি," বলে- তারপরে, তারপরে ?
আমি তখন গল্প হারাই অথৈ বালির চড়ে"
ততক্ষণে . . .
" মুখ ব্যাজারে হাওয়ারা সব ফিরতি ঘরের পথে
সময় দেখি হাত রেখেছে ইউক্যলিপের হাতে "
বলছে সময় -
"থামছ কেন? বহন করো ক্ষত
আমি তোমায় পাঠিয়ে যাব ইশারা অবিরত
আমিই শুধু থাকব সাথে আর যাকিছু বাসি
ইউক্যালিপটা বোকা সত্যি , আড়াল করে হাসি"

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

সম্পাদিকার ডেস্ক থেকে

উৎসবের আলোড়ন কিছুটা স্তিমিত , তবুও মনের অলিন্দে হৈমন্তী স্বপ্ন । বারো মাসের তেরো পার্বণ প্রায় শেষ মুখে , উৎসব তিথি এখন অন্তিম লগ্ন যাপনে ব...