বৃহস্পতিবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০১৫

ঈশ্বর বিশুদ্ধ কল্পনা-মাত্র~ আশিষ সমাদ্দার


১)
কতদিন ধরে যে পথে পথে ঘুরছি
কত কত আলো পেড়িয়ে লক্ষ্য লক্ষ্য পুন্যার্থীদের ভিড়ে হারিয়েছি,
অথচ আজও ভীষণ শান্ত জলের কাছে গেলেই-
আমার গাল ভরা দাঁড়ি,
আমার উসকো খুসকো চুলের জট,
আমার নোংরা গেরুয়া কাপড়,
এইভাবেই শূন্যতার সাথে পা মেলে হাটি।
২)
এই শহর নিয়ে আমার অনেক কিছু জানার আছে,
বলার আছে,
তেমন কেউ নেই
শুধু বোবা চার্চ মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে ক্যানিং রোডের
ধারের কালি গুলো মুছে যাচ্ছে।
পাগল কবি তার লেখা গুলি টুকরো টুকরো করে
রেললাইনে ছড়িয়ে দিয়ে যাচ্ছে।
আর একটা বৃহন্নলা তার রূপ নিয়ে
দিনের পর দিন বাথরুমে লুকিয়ে কাঁদছে।
এইসবের ভিতর থেকেও ভিখারি গুলো মন্দিরের বাইরে জড়ো
হয়ে ভক্তি গানের সূর ধরে।
৩)
সারি সারি শিমুলগাছের পাশ দিয়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হাঁটে,
বৃদ্ধটি বহুদিন ধরে বৃষ্টিতে ভিজছে এই শহরে,
সমস্ত আঘাতের পর সে একলা,
এই শহরে রাতের সাথে যুদ্ধ করে,
আর প্রতিদিন সকালে সে জয়ী ঘোষণা হয়
আমার বাড়ির শিমূল গাছটার সাদা সাদা ফুলের সাথে।
৪)
“ ঈশ্বর বিশুদ্ধ কল্পনা-মাত্র”
এই কথা ভাবার পর, আমার চোখ জুড়ে শূন্যতা নামে
নিঃস্ব হয়ে যাই নিজের কাছে,
এইভাবেই বোধহয় কবিরা এক একটি কবিতাকে গলা টিপে মারে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

সম্পাদিকার ডেস্ক থেকে

উৎসবের আলোড়ন কিছুটা স্তিমিত , তবুও মনের অলিন্দে হৈমন্তী স্বপ্ন । বারো মাসের তেরো পার্বণ প্রায় শেষ মুখে , উৎসব তিথি এখন অন্তিম লগ্ন যাপনে ব...