বাংলা কাব্যের ইতিহাসে প্রগতির লক্ষণ স্পষ্টতই চোখে পড়ে তাঁর যুগান্তকারী আবির্ভাবের সময় থেকে । ১৮৮৭-৮৮৮৮ সালে রচিত মানসী কাব্যগ্রন্থের কবিতাগুলিতে আধুনিকতা ও প্রগতির প্রথম সাক্ষর পাওয়া যায় । গীতাঞ্জলীর ভুমিকায় ইয়েটস লেখেন ," These lyrics display their thought a world , I have dreamed of all my life " অর্থাৎ রবীন্দ্রনাথের কবিতাগুলি কোন এক স্বপ্ন রাজ্যের কথা বলে , যে রাজ্যে যাবার স্বপ্ন আমাদের প্রত্যেকেরই ।
কাব্য সৃষ্টির প্রেরনা হিসেবে একদিকে যেমন বৈষ্ণব পদাবলী অন্যদিকে তেমনই বোদ লেয়ার ...রবীন্দ্রনাথ প্রমাণ করে দিয়েছিলেন সাহিত্য কে দেশ, কাল বা সময়ের গণ্ডীতে বেঁধে রাখা যায়না । তাঁর কবিতাগুলি একাধারে যেমন ঐতিহাসিক বা historical , অন্যদিকে তেমনই বিষয়গত বা subjective...বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন সময়ে রচিত সমস্ত কবিতা যে আসলে একটি জীবন্ত বাড়ন্ত কাব্য শরীরেরই অঙ্গ প্রত্যঙ্গ এ কথাটা মেনে নিয়ে বলা যায় , রবীন্দ্রনাথের কবিতা বিচিত্র ও বিপরীতের প্রকৃষ্ট মেল্ বন্ধন , আর তাই তা চিরকালীন ।
সন্ধ্যাসঙ্গীত থেকে মহুয়া কাব্য গ্রন্থের প্রকাশ কালের সময়সীমা পঞ্চাশ বছর , আর এই পঞ্চাশ বছর জুড়ে তাঁর কবিতায় মধুর রসের প্রকাশ। আর এই মধুর রসই তাঁর কবিতাগুলির মূল standing force ...জগতের যা কিছু পবিত্র , সুন্দর ও প্রাণ স্ফূর্ত রবীন্দ্র কাব্যে তার প্রকাশ প্রথম থেকে শেষ পরজায় পর্যন্ত অনবচ্ছিন্ন ।
কাব্য সৃষ্টির প্রেরনা হিসেবে একদিকে যেমন বৈষ্ণব পদাবলী অন্যদিকে তেমনই বোদ লেয়ার ...রবীন্দ্রনাথ প্রমাণ করে দিয়েছিলেন সাহিত্য কে দেশ, কাল বা সময়ের গণ্ডীতে বেঁধে রাখা যায়না । তাঁর কবিতাগুলি একাধারে যেমন ঐতিহাসিক বা historical , অন্যদিকে তেমনই বিষয়গত বা subjective...বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন সময়ে রচিত সমস্ত কবিতা যে আসলে একটি জীবন্ত বাড়ন্ত কাব্য শরীরেরই অঙ্গ প্রত্যঙ্গ এ কথাটা মেনে নিয়ে বলা যায় , রবীন্দ্রনাথের কবিতা বিচিত্র ও বিপরীতের প্রকৃষ্ট মেল্ বন্ধন , আর তাই তা চিরকালীন ।
সন্ধ্যাসঙ্গীত থেকে মহুয়া কাব্য গ্রন্থের প্রকাশ কালের সময়সীমা পঞ্চাশ বছর , আর এই পঞ্চাশ বছর জুড়ে তাঁর কবিতায় মধুর রসের প্রকাশ। আর এই মধুর রসই তাঁর কবিতাগুলির মূল standing force ...জগতের যা কিছু পবিত্র , সুন্দর ও প্রাণ স্ফূর্ত রবীন্দ্র কাব্যে তার প্রকাশ প্রথম থেকে শেষ পরজায় পর্যন্ত অনবচ্ছিন্ন ।
'জগতের মাঝে কত বিচিত্র তুমি হে
তুমি বিচিত্র রূপিণী'
তুমি বিচিত্র রূপিণী'
জগতের বিচিত্র রূপ তাঁর চোখে ধরা দিয়েছিলো শুভ ও সুন্দর হয়ে । নৈবেদ্য থেকে গীতাঞ্জলী পর্ব তার জীবনে ইশ্বর নির্ভরতার পর্বও বটে । আর তাই স্বামী সোহাগের বাস্তব চিত্র ছাড়িয়ে তার জীবন দেবতা কবিতা পৌঁছয় চিরকালীন অনন্য অন্য কোন এক জগতে
'গলায়ে গলায়ে বাসনার সোনা
প্রতিদিন আমি করেছি রচনা
তোমার ক্ষণিক খেলার লাগিয়া
মূরতি নিত্য নব'
প্রতিদিন আমি করেছি রচনা
তোমার ক্ষণিক খেলার লাগিয়া
মূরতি নিত্য নব'
জগত যে পাল্টাচ্ছে একথা বুঝেছিলেন তিনি , বুঝেছিলেন মমতা শূন্য মানবজাতির নিষ্ঠুর হৃদয়ের কথা । সে সুর তীব্র ভাবে ধ্বনিত তাঁর 'নবজাতক' কবিতায়
আমি আজ পৃথক হব
ও থাক ঐখানে দ্বারের বাহিরে
ও থাক ঐখানে দ্বারের বাহিরে
বাংলা কাব্য ইতিহাসে an equality of value & power র কথা বলতে গেলে তাই প্রথমেই আসে তাঁর নাম । আজ ২২ শে শ্রাবণে সেই মানুষটির জন্য রইল অন্তরের যাবতীয় শ্রদ্ধা ,যার জুগান্তকারী আবির্ভাব বাংলা কবিতার ইতিহাসটাকেই আমুল বদলে দিয়েছিলো
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন